Sunday, March 29, 2015

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসঃ প্রত্যাশা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। স্বাধীনতা ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে এক পরম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাঙালি দেশমাতৃকাকে রক্ষার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে তুলে নিয়েছিল অস্ত্র। আক্রমণকারী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নেমেছিল সশস্ত্র যুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিজয় অর্জিত হয়। অর্জিত হয় স্বাধীনতা। আমাদের এই স্বাধীনতা অনেক রক্ত আর অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। মুক্তিযুদ্ধে শহীদগণ তাদের বর্তমানকে বিসর্জন দিয়ে গেছেন এ দেশের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করার জন্য। শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের সব সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর কেটে গেছে অনেক বছর। জাতি আজ স্বাধীনতার ৪৪ বছর উদযাপন করছে। মহাকালের বিচারে এটা অনেক লম্বা সময় না হলেও জীবনকালের হিসেবে তা নেহায়েত কম নয়। এরকম সময়ে উন্নতির নজির স্থাপন করতে পেরেছে কোনো কোনো জাতি। আজ আমাদের বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন -স্বাধীনতার এতো বছরে আমরা কতটা এগোতে পেরেছি? কতোটা পূরণ হয়েছে আমাদের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা?
বিগত তেতাল্লিশ বছরে আমাদের অর্জন একেবারে কম না। কিন্তু তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে কিনা তা ভাবনার অবকাশ রাখে। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়িয়েছে – এমনটি বাস্তবতার আলোকে বলা যায় না। সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা আর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আর অন্যের মতকে মূল্য দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো অনেক পথ হাঁটতে হবে। রাজনীতি নিয়ে মানুষ যেনো উদ্বেগ ও শঙ্কায় না থাকে।
আমরা একটা পজেটিভ বাংলাদেশ দেখতে চাই। উদ্বেগ-শঙ্কা থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ একটি শান্তি ও সাম্যের দেশ হবে। অর্থনৈতিক বিকাশলাভের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হব প্রাণের বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবসে এটুকু প্রত্যাশা।
সবাইকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা …
Dhaka
26/3/2015

No comments:

Post a Comment

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়