Saturday, May 25, 2019

কাভার লেটারঃ কীভাবে লিখবেন একটি সফল প্রোপোজাল?

কাভার লেটার বা প্রোপোজাল নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। জবে এপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একটি প্রোপোজালকে "উইনিং প্রোপোজাল" করতে পারাটাই আমাদের লক্ষ্য। সেটা করা সহজ নয়; কিন্তু অসম্ভবও নয়। পরিকল্পিত ও পেশাদারিত্বসম্পন্ন একটি কাভার আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিসকে হাতের কাছে এনে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। 

 চলুন শুরু করা যাকঃ

কাভার লেটার কী? কীভাবে লিখবেন কাভার লেটার?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কাভার লেটার (Cover Letter) হলো কোনো জবের জন্য আবেদনপত্র। সাধারণভাবে, আমরা তাই বলতে পারি। এটাকে প্রোপোজালও বলা হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি এর চেয়ে বেশিকিছু। কাভার লেটার হলো- আপনার প্রথম এবং সম্ভবত একমাত্র উপায় যা দিয়ে আপনি আপনার পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। অন্য অর্থে,মন জয় করে নিতে পারেন তার।

আপনার কাভার লেটারে কী ওঠে আসে জানেন?
ওঠে আসে আপনারঃ
# অভিজ্ঞতা
# ব্যক্তিত্ব
# আগ্রহ



কীভাবে লিখবেন আপনার কাঙ্খিত জবের জন্য সুন্দর কাভার লেটার?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০) পড়ুন > আবার পড়ুনঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আপনার কাভার লেটার শুরু করার আগে জব পোস্টটি পড়ুন। প্রথম থেকে শেষ- সবকিছু। আবার পড়ুন। প্রয়োজন হলে আবার। নোট করুন মেইন পয়েন্টগুলো।

(১) শুরুটা হবে আন্তরিকভাবে প্রফেশনালঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মনে রাখবেন, যিনি প্রথম আপনার কাভার লেটার পড়ছেন, তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। সম্বোধন করুন আন্তরিকভাবে এবং পেশাদারিত্বের সাথে। নাম জানা থাকলেঃ
Dear Mr. Christopher
Dear Dena
এভাবে শুরু করতে পারেন। নাম জানা না থাকলে Dear Hiring Manager বা Hi বলেও শুরু করতে পারেন। ক্লায়েন্টের সময় বুঝে গ্রিটিংস করুন। (Good Morning/Afternoon/Evening).

[ক্লায়েন্টের নাম জানার টিপসঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জবপোস্টের সাথে নাম দেয়া থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনি ক্লায়েটের প্রোফাইলে প্রাপ্ত ফিডব্যাক থেকে অনেক সময় পেয়ে যেতে পারেন তা। এই বিষয়টি ক্লায়েন্টকে আকৃষ্ট  করে। ক্লায়েণ্ট উৎসাহী হয়ে আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেন।]


(২) সংক্ষিপ্ত করুন আর মূল পয়েন্টে থাকুনঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আপনার জীবন বৃত্তান্ত জানতে কিন্তু কোনো ক্লায়েন্টই আগ্রহী নন। এতো সময়ও নেই কারো। আগের নোট করা মেইন পয়েন্টগুওলো দেখে আপনি ক্লায়েন্টকে বুঝাতে চেষ্টা করুন- আপনার প্রয়োজনীয় স্কিলস আর অভিজ্ঞতা আছে। এটাই মূলকথা।

(৩) স্কিল হাইলাইটিংঃ
~~~~~~~~~~~~~~
বেশির ভাগ জবপোস্টেই কিছু বিশেষ দক্ষতা চায় কিংবা কিছু স্কিল উল্লেখ করে দেয় যা অবশ্যই থাকতে হবে। আপনি আপনার কাভার লেটারে বিশেষভাবে তা মেনশন করে দিবেন। এটি আপনার প্রতি ক্লায়েটের আস্থা বাড়াবে।

(৪) নির্দেশনার সঠিক অনুসরণঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কিছু ক্লায়েন্ট জবপোস্টে স্পেসিফিক কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যেমনঃ তিনটি জোড়া সংখ্যা দিয়ে শুরু অথবা নির্দিষ্ট কোনো শব্দ বা বাক্য উল্লেখ করে দেন যা কাভার লেটারের কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিতে হবে। এগুলো করা হয় আপনি পুরো জবপোস্ট মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা নিশ্চিত করতে এবং কাভার লেটার কপি পেস্ট থেকে বিরত রাখতে।

(৫) স্যাম্পল উপস্থাপনঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আপনার সফল কাজের স্যাম্পল দিতে পারেন কাভার লেটারের সাথে। এটা ক্লায়েন্টের আস্থা বড়াবে।
 

(৬) নিজেকে সতর্কভাবে উপস্থাপনঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষের দিকে, আপনি উল্লেখ করতে পারেন- সপ্তাহে কতো ঘন্টা আপনি ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারবেন। রাতে কাজ করতে কোনো অসুবিধা আছে কিনা। আমন্ত্রণ জানাতে পারেন আরো কিছু জানার থাকলে আপনি প্রস্তুত আছেন তা জানাতে।

বললেন না যে আপনাকে হায়ার করা উচিৎ। বরং এই বিষয়গুলো উল্লেখ করতে  পারেনঃ

  • আপনি কত দিনের/ বছরের অভিজ্ঞ
  • আপনার ভালো ফিডব্যাক
  • কতগুলো প্রজেক্ট সফল্ভাবে সম্পন্ন করেছেন
  • সংশ্লিষ্ট কোনো টেস্ট দিয়ে থাকলে তা । 

(৭) পড়ুন, এডিট করুন আর আরেকবার ভাবুনঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কাভার লেটার লেখা শেষ! সেন্ড বাটন প্রেস করার জন্য পাগল হয়ে যাবেন না। প্রথম থেকে পড়ুন। টুকটাক কিছু ভুল পেয়ে যাবেন। ঠিক করুন। কিছু বিষয় সাজিয়ে লেখতে ইচ্ছে করবে। করুন। তারপর আবার প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ুন। নাউ সেন্ড!!


কাভার লেটারে কি টেমপ্লেট ব্যবহার করা যাবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কাভার লেটারে টেমপ্লেট ব্যবহার করা যাবে কি না এ নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু নিজের তৈরি করা টেমপ্লেট ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই ভালো রেজাল্ট আনতে  এবং সময় বাঁচিয়ে সঠিক সময়ে আমাদের প্রোপোজালটি পাঠাতে  সহায়ক। লক্ষ্য করুনঃ এখানে কপি পেস্টের কথা বলা হয়নি কোনোভাবেই।

আপনার নিজস্ব স্কিলের ওপর বানানো টেমপ্লেটটি প্রতিবার জবপোস্টের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপডেট করতে হবে।



*************
কিছু সংক্ষিপ্ত টিপসঃ
==============
** আপনার কাভারলেটারের প্রথম দুলাইনে ফোকাস পয়েন্টগুলো রাখার চেষ্টা করুন।
**ক্লায়েন্ট মেটা ডেসক্রিপশন আকারে প্রথম দুলাইন (১৬০ ক্যারেক্টার) দেখতে পান এবং তাতে মনে ধরলে ক্লিক করে ডিটেইলস পড়েন।
***জেনেরিক কথাবার্তা না লিখে রিলেভেন্ট কথা উল্লেখ করুন।
**জব সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন যা জবপোস্টে উল্লেখ করা নাই, তা করুন।
**পরে এপ্লাই করছেন বলে হতাশ হবার কারন নেই। ক্লায়েন্ট প্রপোজাল্গুলো লাস্ট ইন ফার্স্ট আউট (LIFO) আকারে দেখতে পায়।
***কপি পেস্ট?? না, করবেন না।
~
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।
~

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়