উত্তরাধুনিক আমাদের এ সময়টাকে স্মার্ট সময় বলা যায়। নিত্যনূতন টেকনোলজির বদৌলতে সময় গেছে পাল্টে। এক স্মার্টফোনই সময়কে করে দিয়েছে "স্মার্ট সময়"। সবকিছুরই সাইড-ইফেক্ট থাকে- এ হিসেবে এই স্মার্ট সময়েরও আছে। এই স্মার্ট সময়- মানুষকে এক ধরনের অসুস্থ করে তুলেছে। স্মার্ট ফোন ছাড়া এখন এক মুহূর্ত চলতে না পারার ভয় - এখন রোগে পরিণত হয়েছে। আর একেই বলে নোমোফোবিয়া।
ফোবিয়া সম্পর্কে কম বেশি ধারণা সবারই আছে। কোনো বিষয়ে অস্বাভাবিক ভীতিকে সাধারণভাবে ফোবিয়া বলা যায়। আর ফোবিয়া জগতে আধুনিক সংযোজন হলো - নোমোফোবিয়া (Nomophobia)।
Nomophobia কে ভেঙ্গে লেখা যায়ঃ
No
Mobile
Phobia
এরকম মোবাইল নির্ভরতা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? সহজে লক্ষ্যণীয়, সকালে ঘুম থেকে ওঠে এখন সবার আগে চোখ যায় আপানার মোবাইল ফোনটির স্ক্রীনে- নতুন নোটিফিকেশন দেখার জন্য। সারাদিন সকল কাজের মাঝেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে থাকে এই ফোন। আবার রাতে ঘুমাবার আগে এর মুখ দেখেই কিন্তু সবাই যাচ্ছে ঘুমাতে।
ছবিতে দেখা যাকঃ
Huffingtonpost এর এক সমীক্ষায় দেখা দেখা গেছে- মানুষ ব্যাপকহারে Nomophobia তে আক্রান্ত হচ্ছে । ২০১৩ সালে চালানো এ সমীক্ষায় দেখা গেছে- ৬৩% মানুষ প্রতি ঘণ্টায় ফোন চেক করছে আর ৯% করছে প্রতি ৫ মিনিটে। ৬৪% মানুষ মোবাইল হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ছে। বর্তমানে চালালে সমীক্ষার ফল কী হবে তা সহজে অনুমেয়।
নোমোফোবিয়ার স্বাস্থগত অনেক নেতিবাচক ও ভয়াবহ প্রভাব আছে। সে আলোচনায় এখন যাচ্ছি না। এই ট্রেন্ড আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনকেও করছে ভয়ানকভাবে প্রভাবিত। কাছে থেকেও আজ দুজন মানুষ কাছে থাকে না।
সময় এখনই সজাগ হওয়ার। তা কীভাবে? আমারও নেই জানা। আপনার?
--
ছবিঃ গুগল থেকে
--
১৪/৮/১৫