Wednesday, December 31, 2014

লিমেরিকঃ জিপিএ সঙ্গীত



পরীক্ষা না দিয়েও হায় জিপিএ  ফাইভ পাওয়া যায়
এমনতরো সিস্টেম ছেড়ে কোথাও কি আর যাওয়া যায়?
পরীক্ষা সব সহি জেনে
স্বর্ণ-রেজাল্ট নিচ্ছি মেনে
"আহ মজা! আহা মজা!"  - এমনই গান গাওয়া যায় !!


ছবিঃ ইন্টারনেট

লিমেরিক : থার্টি-ফার্স্ট প্লান


থার্টিফার্স্টে  চাইনা কোনো ডার্টি প্লান
কালচার ঠিক রেখে করো গান ও ফান
শালীনতায় সুখটি খোঁজো
স্ব-কৃষ্টিতে মুখটি গুঁজো
নিজের ও দেশের মান করো না ম্লান।

Monday, December 29, 2014

শীত - বিভেদে



কারো কাছে শীত মজারু
কারোর জীবনমর্‌ণ
কেউ থাকে উম-বিভবে  
কেউ খালি গা চরণ ।

কেউ থাকে হিটেট রুমে
দামি কম্বল জড়িয়ে,
স্টেশন ফুটপাত ডেরায় কারো
রাত চলে যায় গড়িয়ে।

কেউবা মত্ত পুলিপিঠায়
ঘরে কিংবা উৎসবে,
কারো ঘরে রয় না খাবার
হাতিয়ে ফেরে খুদ সবে।

বিভেদের এই শীতের ছোঁয়া
বিভেদহীন ও সুখের হোক
মানুষ হয়ে মানুষ নিয়ে
ভালোবাসায় ভরুক লোক।

Sunday, December 28, 2014

লিমেরিকঃ আমরা সফল

আমরা অনেক ট্রেনিংপ্রাপ্ত,  দক্ষ খুব
হোক তা গহীন সাগর কিংবা অন্ধকূপ
ভোঁতা পাবলিক ফুঁড়ি
উদ্ধারে নেই জুড়ি
আমরা সফল, দেখাও কেনো ব্যর্থ-রূপ!


Tuesday, December 23, 2014

লিমেরিকঃ বেকারের পে-স্কেল



সকলস্তরে হচ্ছে দ্বিগুণ বেতনভাতা
সংশ্লিষ্টজন নিচ্ছে বুঝে বাজেটখাতা
বাড়িভাড়া বাজার দর!
কাঁপছি ভয়ে থরথর!!
বেকার আমার পাগল বুঝি হয় এ মাথা!





Friday, December 19, 2014

লিমেরিকঃ জ্ঞানের সারথি

জ্ঞানের সারথি দিয়ে গেছো প্রাণ দেশের তরে
প্রজ্ঞা দিয়ে সাহস দিয়ে গেছো যে লড়ে
জ্বেলেছো আঁধারে বাতি
ভুলবে না কভু এ জাতি
শ্রদ্ধা জানাই ভালোবাসা থাকে প্রাণমন ভরে।

লিমেরিকঃ ক্ষত

হাসপাতালের মর্গে উঠে লাশ নড়ে
ডাক্তার-নার্সের প্রফেশনকে ফাঁস করে
এটাই তবে সেবার ব্রত
মানবতায় দুষ্ট ক্ষত
একেএকে সকল খাতকে গ্রাস করে।

——————————————
পাদটীকাঃ সকল ভালো মনের ডাক্তার- নার্সদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি।

Monday, December 15, 2014

লিমেরিক : সুন্দরবন

সুন্দরবনের মূল্যমানটা বুঝলি না মন
হাতের কাছে রত্ন ছিলো খুজলি না ধন
হেলায় তারে ফেলে
ডুবিয়ে বিষম তেলে
বাঁচাতে তারে প্রাণপণে যুঝলি না ক্ষণ।

Friday, December 12, 2014

লেখাচুরিঃ সেকাল-একাল

ইদানিং অনলাইন মিডিয়াতে লেখাচুরির ঘটনা খুব বেশি বেড়েছে। অবলীলায় একজনের লেখা কেউকেউ কপি পেস্ট করে নিজের নামে, নিজের পেজে, নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিচ্ছে। লেখকের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করছে না; লেখকের নামটি পর্যন্ত মেনশন করছে না। এ ধরনের চৌর্যবৃত্তির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে আমি নিজেও তা যাচাইয়ের সামান্য চেষ্টা করে অবাক হয়েছি এই দেখে যে, আমার মতো সামান্য একজনের লেখাও এরকম তস্করের কবলে পড়েছে।  

আমার কয়েকটি কবিতা গুগল করতে গিয়ে দেখেছি- এগুলোর অনেকগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে, আবার কারো নিজেদের ওয়েবে  হুবহু পাবলিশ করা হয়েছে। নাম উল্লেখ না করেই। আমার চার লাইনের "পরানের কথা"র বেশির ভাগই শিকার হয়েছে কারো নিজের ফেসবুক পেজে, টুইটিং-এ, বেশতোসহ অন্যান্য সাইটে। 

আমি জানি না মানুষের এ কেমন হীন-মানসিকতা!! 

এ যুগে লেখাচুরিটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। কেউ মানসিকভাবে চোর হলেই- সিম্পল কপি-পেস্ট করে চুরিটা সম্পন্ন করতে পারে। কিন্তু ধিক এ মানসিকতায়!!

তবে লেখাচুরির বা বিকৃতি করে চুরির ঘটনা আগেও ঘটতো। অনেকদিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়ছে । প্রায় বিশ বছর তা মনের মধ্যেই ছিলো। কাউকে বলা হয়নি।  তখন আমি স্বভাবজাত লিখতাম। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় আমার নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হওয়ায় আমার কিঞ্চিৎ পরিচিতি ছিলো ক্ষুদে কবি-লেখক হিসেবে । সে সময় একজন (নামটা আজও প্রকাশ করলাম না) তার একটি কবিতা আমাকে দেখিয়ে জানতে চাইলো - কেমন হয়েছে।  কবিতা পড়ে আমি অবাক হয়েছিলাম।  এতো সুন্দর আর মানসম্মত কবিতা!! আমি নিজেও সেই কবিতা পুরোপুরি বুঝতে পারছিলাম না। এর কদিন পর, আমি অই কবির মেসে যাই কোনো কাজে। এক ফাঁকে, তার বালিশের নিচে পুরনো ইত্তেফাক পত্রিকা পেয়ে পড়তে গিয়ে সাহিত্যপাতায় ঠিক সেই কবিতাটা দেখে আশ্চর্য হয়েছিলাম। একজন বিখ্যাত কবি লিখেছিলেন সেই কবিতা।

তো তখনকার চৌর্যবৃত্তি আর এখনকার চুরির মধ্যে টেকনোলজির পার্থক্য আছে বটে, কিন্তু চুরি তো চুরিই। ঘৃণা এর লেখা চোরদের জন্য ।


হৃদয় ভাঙ্গার গান

তোমার যা- তা সবই তবে
ছিলো তোমার ভাণ?
ভালোবাসা ভেবেছি তা
করেছি অভিমান।

ভেবেছি তো তুমি আমায়
মন করেছো দান!
থমকে গেছি বারেবারে
পাইনি মন-ঘ্রাণ।

কথায় কথায় বলতে তুমি
আমি তোমার জান,
সাঁঝবেলাতে আজ বুঝি তা
ছিলো কেবল ফান।

তোমার তরে মনটি ছিলো
পাগলপারা টানটান
ভাঙ্গার সুর যায় বেজে আজ
হৃদয় ভেঙ্গে খানখান। 



Friday, December 5, 2014

তোমার দরোজা

তোমার দরোজা বন্ধ জেনেও
দাঁড়িয়ে আছি আমি ঠায় 
দরোজার ঠিক অপরপাশে
তোমার জন্য প্রতীক্ষায় ।

আমার তরে তোমার মনে
শুধু ঘৃণার নহর বয়
তোমার জন্য ভালোবাসা 
তবু থাকে তা অক্ষয়। 

একটা সময় জানি তোমার
মনের পাথর গলবে 
তোমার হৃদয় নদীবুকে
প্রেমের খেয়া চলবে। 

তাইতো আমি দাঁড়িয়ে আছি
তুমিই আমার ধ্যানে
কবে তুমি খুলবে ও দ্বার
নেবেই কাছে টেনে। 




খুঁজে ফিরি তোমার ভণিতাহীন ভুল

অনেক ভুল করতে তুমি তখন
তোমার কথায়
কাজে
চলনে
ঢঙে।

আমি অপার মুগ্ধতায়
ছুঁয়ে দেখেছি তোমার ভুলগুলোন
আহা কী মায়াময়!
ভণিতাহীন হীরন্ময়  ভুল তোমার!!

মাঝেসাঝে অনেক বড়ো ভুলও করতে তুমি
অতঃপর অনায়াস সাবলীল চোখের
নিঃশব্দ কথা - ভণিতাহীন।

তোমার প্রতিকণা ভুলের সাথে
চক্রবৃদ্ধিহারে বেড়ে যেতো আমার প্রেম।
অসাধারণ এক সাধারণ মানবী  ছিলে তুমি।

অনেক পরিণত আজ তুমি
বিশিষ্টজন আখ্যায়িত সংঘবিশেষে
আজ আর কোনো ভুল করো না তুমি
কিংবা ভুলগুলোন তোমার ঢেকে যায়
তোমার কৌশলী ভণিতার আবরণে।
ধন্য ধন্য তকমা পাও তুমি...

কেবল আমি খুঁজে ফিরি তোমার সেই সহজ চোখ
আমার মন নস্টালজিক হয়...
তোমার ভণিতাহীন ভুলগুলোন খুঁজে ফেরে আঁতিপাঁতি। 

লিমেরিক: বেতাল সময়

সত্যটাকে মূল্যবান আর ভাবে কেউ আজ
মিথ্যের উপর ঘরবসতি নানান কারুকাজ
সত্য থাকে নির্বাসনে
মিথ্যে হাসে উচ্চাসনে
সত্যবাদী কেঁদে ফেরে মিথ্যুকে পায় তাজ।

Sunday, November 30, 2014

অহনা ও অহনা

অহনা ও অহনা
এতো ডাকি
শোন না কি
কথা কেনো কহ না?

অহনা ও অহনা
চাই যে পাশেই
বারো মাসেই
তবু কেনো রহ না?

অহনা ও অহনা
মনের টানে
উছল প্রাণে
কেনো তবু বহ না?

অহনা ও অহনা
সুখে অসুখে
তনু ও মুখে
প্রেমাগুনটা সহ না!

অহনা ও অহনা
তুমি হৃদে
দিবা ও নিদে
দূরের কোনো গ্রহ না। 

অহনা ও অহনা
তোমার তরে
পরান পোড়ে
তুমি হৃদয় মোহনা।

Saturday, November 29, 2014

লিমেরিকঃ স্কুল-ব্যাগের ভার



জানো মাগো ব্যাগটা আমার লাগে ভীষণ ভারি
রোজ সকালে কষ্ট যে হয়, বইতে বোঝা তারি
একটু মাগো দাও কমিয়ে বোঝা
চলি আমি বুক ফুলিয়ে সোজা
এটুকু তো চাওয়া শুধু, পেতে কি তা পারি?

ছবিঃ ইন্টারনেট

Friday, November 21, 2014

শীতের বুড়ি

শীতের বুড়ি
তোমার বিয়ে
আসছো কি গো
ঘোমটা দিয়ে?

নেই আমাদের
কাঁথা-কম্বল,
ছোট্ট কুটির
সেইতো সম্বল।

তোমায় বরণ
করবো কীসে...
ভাবছি বসে
পাইনে দিশে।

আমি কেবল তোমার কষ্টপক্ষ ছুঁয়ে থাকতে চাই

তোমার সুখপক্ষে জানি হবে না আমার ঠাই
আক্ষেপও নেই কোনো
তুমি সুখ উদযাপন করো-
অন্তলীনা চাঁদবতী সুখ
খুব-ইচ্ছে-ডুবসাঁতার
ডাক-ডুবানো উম-আদর
আর ভালবাসা-ভেজা শ্রান্ত তনু
থাকুক মুখ গুঁজে তোমার স্পর্শ-বন্ধুর।
আমার কোনো অনুযোগ নেই
নেই কোনো আক্ষেপ।


শুধু এতোটুকুন প্রতীতি
জেগে আছে আজও মনে-
কষ্টপক্ষে তোমার
আমি ছুঁয়ে যাবো তোমার হৃদয়।

তোমার কষ্টটুকু ছুঁয়ে দেখতে দিও কেবল আমায় 
আমি তোমার কষ্ট-আধার হবো অনায়াস সুখে
রাখবো বন্দি তা
ভেতরবাড়ির ছোট্ট ঘরে
যতনে।

তোমার সুখপক্ষে আমার নাইবা হলো ঠাই
আমি কেবল তোমার কষ্টপক্ষ ছুঁয়েছুঁয়ে থাকতে চাই।





পরানের কথা ০২২

ঘুষ বলে নেইতো কিছু হায়
“স্পীড মানি, স্পীড মানি”
এ কথাটাই বুঝে না মন
হাউ ফানি, হাউ ফানি।

Sunday, November 16, 2014

পরানের কথা ০২১

কাজের কাজ হোক কিবা না হোক
লোক দেখানো মূখ্য
আসল কাজী'র রয় না খবর
হোক তা ভালো সূক্ষ্ম...

Thursday, November 13, 2014

লিমেরিকঃ জীবন-চাকা


একটুখানি বাঁচার আশায় জমিয়ে পাড়ি ঢাকায়
আদরের ধন নিয়ে শেষে  ঠাঁই হয়েছে চাকায়
ফুল বেচে রাজপথে
খোঁড়ায় জীবন-রথে
দিনের শেষে হুতাশ থাকে, ভাগ্য ঝুলে ফাঁকায়।
##২০১৪১১১৩(১৩৯)##

Friday, November 7, 2014

খাঁচার পাখি


একটা ছিলো
ছোট্ট পাখির ছানা,
মনের সুখে উড়তো সে যে
মেলে কমল ডানা।


নাচতো সে যে
তা ধিনধিন তা না,
আকাশজুড়ে নীড় ছিলো তার
ছিলো না তো মানা।


মা যে তাকে করতো আদর
খাইয়ে দিতো দানা,
ভালোবাসার মেলা ছিলো
সুখ ছিলো একটানা।


এক শিকারি নিদয় অতি
ধরলো ছানাখানা,
খাঁচার ভেতর সময় কাটে
সুখ হলো অজানা।


Tuesday, November 4, 2014

একলা আঁধার


বাস থেকে নেমে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো দীপা। এখান থেকে তার বাসা রিকশায় দশ মিনিটের পথ। ভাড়া ফুরিয়ে রিকশায় উঠে বসে সে। একটা শিনশিনে কষ্টে তার বুকটা বিষিয়ে উঠে। ঘৃণায় মন মেঘাচ্ছন্ন হয়। বাসে আজকের ব্যাপারটা কোনোভাবেই ভুলতে পারছে না দীপা।

ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করার পর প্রায় একবছর  হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজেছে দীপা। বিডিজবস ডট কমের মাধ্যমে অনেক এপ্লিকেশন করেছে সে চাকরির জন্য। সাড়া পেয়েছে খুব কম। একবার ইন্টারভিউতে ডাক এসেছিলো। চাকরি যদিও হয়নি। দেশের চাকরির বাজার যে খুব খারাপ তা বেশ টের পায় দীপা।


অবশেষে প্রতিবেশী ইমরান সাহেবের রেফারেন্সে এক প্রাইভেট কোম্পনিতে চাকরি হয় তার। ফ্রন্টডেস্ক এক্সিকিউটিভ। অফিস বনানীতে। নয়টা -ছয়টা অফিস তার। পাবলিক বাসে করেই যাতায়াত করতে হয় তাকে।  এ ঢাকায় একজন মেয়ের জন্য একা যাতায়াত যে সুখের হবে না - এটা জেনেও সাহস করেছে দীপা।

প্রতিদিন চলার পথে আশপাশের কিছু মানুষের লোভাতুর দৃষ্টি, লালসার চোখ - সে বেশ বুঝতে পারে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল টিপ্পনি ও মন্তব্য তার কানে আসে। দীপা এসব এড়িয়ে যায়। সচেতনভাবেই।

আজ বিকেলে অফিস ছুটির পর বাসস্ট্যান্ডে এসে লম্বা লাইনের প্রায় পঞ্চাশ জনের পেছনে দাঁড়াতে পারে দীপা। অফিস ছুটির পর এ সময়টায় প্রতিদিনই এমন ভিড় দেখা যায়। তবু রক্ষে যে, এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার  ব্যবস্থাটা আছে।

প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট অপেক্ষার পর গাড়িতে উঠার চান্স পায় দীপা। বাসের ভেতরে লোকে গিজগিজ করছে। বসার জন্য কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। সামনের দিকেই থাকার চেষ্টা করলো দীপা। মহিলা সিটের কাছাকাছি। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে সামনের দিককার এ জায়গাটায় ভিড় থাকে বেশি।

দীপা যেখানে দাড়িয়েছে, তার পাশেই দুজন উঠতি বয়সের ছেলে বসে আছে। এরা দুজন বন্ধু হবে হয়তো। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। দীপার দিকে তাকাচ্ছে। একটু অন্যরকমভাবেই তাকাচ্ছে। চলন্তবাসে ব্যালেন্স রাখতে দীপা ডান হাত দিয়ে উপরের রডে ধরে আছে। ছেলেদুটি নিজেদের মধ্যে কথা বলছে, আর হাসছে।

পরের স্টপ থেকে ভিড় আরো বাড়ে। গায়ের সাথে গা লেগে যাচ্ছে একএকজনের। দীপা টের পায়, তার পেছনে একজন লোক খুব ঘেঁষে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। অস্বস্থি লাগে তার। পেছন ফিরে দেখলো দীপা। লোকটির বয়েস চল্লিশের বেশি হবে। বেশ গোছানো ভদ্রলোক টাইপের। দীপার তাকানো দেখে হাসার চেষ্টা করলো লোকটি। লোকটির হাসি একটু বিচ্ছিরি ঠেকলো দীপার কাছে। সারা-শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে তার। কিছুক্ষণ চলার পর, বাসটি হঠাৎ ব্রেক করলে লোকটি একেবারে দীপার উপরে এসে পড়ে। সাথেসাথে  দীপার পেছনে অশ্লীলভাবে ছুঁয়ে দিয়ে হাত সরিয়ে নেয়।

দুঃখে, কষ্টে ম্রিয়মাণ দীপা ঘৃণার আগুন চোখে নিয়ে লোকটির দিকে ফেরে। একটু যেনো ভয় পেলো লোকটা। একটু দূরে সরে যায় সে। চোখের কোণে পানি এসে যায় দীপার।

--"এই যে আফা, মসজিদের কাছে না নামবেন,  আইস্যা পড়ছি ত। নামবেন না..."

রিকশাওয়ালার কথায় ভাবনায় ছেদ পড়ে দীপার। বাসার সামনে এসে গেছে সে। এখন নামতে হবে।
অতপর, প্রস্তুতি আরেকটি আগামীকালের...।

ছবিঃ ইন্টারনেট
====

২০১৪১০০৪
ঢাকা








Monday, November 3, 2014

প্রেমগাঁথা

ও বন্ধু তুই মনের বাঁধন খুলিস না
চিরটা কাল বাসবো ভালো
দোহাই তোর আমায় কভু ভুলিস না।

সন্দেহ আর মনপীড়ায় দুলিস না
আমিতো সে আগের আমি
ভালোবাসার হৃদয়টাকে ছুলিস না।

সত্য-মিথ্যা এক আধারে গুলিস না
আগুনপোড়া নুড়ি এ মন
ভেজাল আছে- এমন প্রশ্ন তুলিস না।

অন্য আলোর রঙিন আভায় ঢুলিস না
সময় এখন পাথর সময়
মিথ্যা প্রেমের প্রলোভনে ঝুলিস না ।

আমিতো সেই বন্ধু আমি, আইন কিংবা পুলিশ না
থাকিস আমার জীবনভরে
আশায় আমি বুক বেঁধে রই, জানি যে তুই ফুলিশ না। 



Saturday, November 1, 2014

ঘুড়ি ১

উড়ছে ঘুড়ি বাজিয়ে তুড়ি আকাশে
গুণীজনদের ভালোবাসায় মাখা সে
আকাশ এবং বাইরে
যেতে মানা নাইরে
সৃজন আর টেকনো ধী-এ পাকা সে। 

Friday, October 31, 2014

লিমেরিকঃ ঘুড়ি

অই যে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি ছিলো না?
সৃষ্টিশীল কাজে তাদের জুড়ি ছিলোনা।
সেই ঘুড়ি আজ উড়ন্ত
ব্লগ আকাশে দুরন্ত
ঘুড়ির পথে কাঁটা বিছানো বুড়ি ছিলো না। 

গন্তব্য

বনানী থেকে গাড়িতে ওঠার পর ফ্লাইওভারের উপরেই মিজান সাহেবের দুই হাত বেঁধে ফেলে তারা। মিজান সাহেব টের পান পাতাফাঁদে পা ফেলেছেন তিনি। বুঝতে পারেন যাত্রী বেশে অপেক্ষমাণ লাইন থেকে তাঁর সাথে অন্য যে দুজন উঠেছেন তারা আসলে সাধারণ যাত্রী না। এ চক্রেরই সদস্য ওরা। খুব অসহায়বোধ করেন মিজান সাহেব। একটা প্রাইভেট কোম্পানির সাপ্লাইচেইনে জব করেন তিনি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভালোই চেনেন তিনি। আর নানা ছলচাতুরী আর প্রতারণা-ফাঁদের কথা তাঁর অজানা নয়।

মিজান সাহেবের বা পাশে বসা লোকটি বললোঃ
- এই মুখটা বেঁধে ফেল।
- প্লিজ ভাই, আমার মুখ বাঁধবেন না। সেটার কোনো প্রয়োজন নেই। সাথে যা আছে সব নিয়ে যান। চিৎকার চেঁচামেচি করবো না আমি। দয়া করুন ভাই। অনুনয় করে বললেন মিজান সাহেব।

ড্রাইভিং সিটে বসা লোকটি এবার কথা বললোঃ
-এই রাখ। মুখ বাঁধতে হবে না। হি ইজ এ জেন্টলম্যান।
বেশ ভরাট কণ্ঠ। উচ্চারণও সুন্দর। মিজান সাহেব বুঝতে পারলেন- এই লোকটি এদের লীডার। এতো চাপের মধ্যেও মনেমনে ম্লান হাসলেন মিজান সাহেব। লীডার শব্দটি এখানেও প্রযোজ্য হচ্ছে! সত্যি আমাদের জীবনযাত্রা বড়ো অদ্ভুত।
ডানপাশে বসা লোকটি মিজান সাহেবের পকেটসহ সারা শরীর সার্চ করে যাচ্ছে। এ লোকটি গাট্টাগোট্টা টাইপের। একটু নির্দয়ভাবেই মিজান সাহেবকে এদিক সেদিক ধাক্কা দিয়ে, তার সুবিধামতো সব বের করে নিচ্ছে। 

-লীডার, নগদ টাকা আট হাজার তিনশ' পঞ্চাশ, দুইটা এটিএম কার্ড, দুটা মোবাইল...

গাট্টাগোট্টা লোকটা জানালো ড্রাইভিং-এর লীডারকে। টয়োটা করলা গাড়িটি তখন ফ্লাইওভার পেরিয়ে মিরপুরের দিকে ইসিবি চত্বর ক্রস করছে।
- কার্ডের পাসওয়ার্ডগুলো তাড়াতাড়ি নে বেটা।
চাপা চেঁচানো কন্ঠ লীডারের।
ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডের পাসওয়ার্ড মনে ছিলো মিজান সাহেবের। দিয়ে দিলো তা। কিন্তু ব্যাংক এশিয়ার কার্ডের পাসটা মনে নেই তাঁর। খেঁকিয়ে উঠলো ডানপাশে বসা লালচোখা লোকটিঃ
- ভাওতাভাজি করার চেষ্টা করবা না মিয়া। সাইজ করার অনেক মাল-মশলা আছে আমাদের কাছে। বলেই প্যান্টের পকেটে হাত দেয় সে।
- আমি সত্যি বলছি ভাই, আমার মনে নেই। তবে আমার অফিসের ড্রয়ারে একটা নোটে লেখা আছে।
কাঁদোকাঁদো তখন মিজান সাহেব।
-ফোন করো। ফোনে জেনে আমাদের জানাও।

ভাবনায় পড়ে যায় মিজান সাহেব। অফিস এখন বন্ধ । এডমিনের অনুমতি ছাড়া এখন অফিস খোলা যাবে না। এডমিন হেডকে ফোন করেন তিনি। হাত বাঁধা অবস্থাতেই। ভাগ্যিস হাতদুটি পেছনে বাঁধেনি তাঁর। ফোনে তিনি জানান, তাঁর ভাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে । টাকার জরুরি প্রয়োজন। কার্ডের পাসওয়ার্ড পেতে তিনি এডমিনের হেল্প চান। এডমিন প্রধান বিপদের কথা জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নেন। পাসওয়ার্ড মোবাইল ফোনে জানানো হয় তাঁকে এক ঘণ্টার মধ্যে ।

গাড়ি ততক্ষণে মিরপুর ঘুরে উত্তরা এলাকা চক্কর দিচ্ছে। গলা শুকিয়ে আসে মিজান সাহেবের। অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি সাড়ে ছটায়। গ্রীন টি খেয়ে বেরিয়েছিলেন তখন। অফিসের পিক-ড্রপের গাড়িটি ব্রেকের সমস্যা হওয়ায় আজ বিকেলে গাড়ি ছিলো না। বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। উত্তরাতে বাসা তাঁর। জানতেন তিনি, এসব প্রাইভেট গাড়িতে উঠা রিস্কি। কিন্তু লাইনে তাঁর পাশে থাকা আরো দুজন উঠায় তিনি সাহস পান। বুঝতে পারেননি - এ লোকগুলোর ছক। এদের বয়স সবার ত্রিশের নিচে হবে- ঠাউর করেন মিজান সাহেব।

উত্তরায় দুটি বুথ থেকে তারা একাঊন্টের সব টাকা তুলে নেয়। তারপর, গাড়ি চলে আশুলিয়ার দিকে। মিজান সাহেকে তিনশ' টাকা ফেরত দেয় তারা। সাথে পুরাতন মোবাইলটিও। এটিএম কার্ড দুটিও দিয়ে দেয়। 

আশুলিয়া হাইওয়ের পাশে গাড়ি থামে। মিজান সাহেবকে নামিয়ে দিয়ে হাইস্পীডে গাড়ি নিমিষে মিলিয়ে যায়। হয়তো তাদের গন্তব্যে।

মিজান সাহেব ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ভাবতে থাকেন- কোথায় যাচ্ছি আমরা? কোথায় যাচ্ছে আমাদের সমাজ? আমাদের যুব সমাজ? কোথায় নিরাপত্তা জীবনের? আমাদের গন্তব্য কি আঁধারে?
একটা ট্রাকের হাইড্রলিক হর্নের শব্দে তিনি সম্বিত ফিরে পান। বাসায় ফিরতে হবে তাঁকে।






Tuesday, October 28, 2014

অনাড়ম্বর তুমি


অনাড়ম্বর তোমাকে বেশি ভালো লাগে
দূর্বাঘাসে হেমন্তশিশির যেনো তুমি
পল্লবিত আমার বুকের জমিনে।

প্রসাধনীর প্রলেপ নেই
স্বরূপে উদ্ভাসিত তোমার হিরণ্ময় রূপাবয়ব
বিদেশি সুগন্ধি ছোঁয়নি তোমায় আজ
শরীরজুড়ে তোমার
দোলনচাঁপার সৌরভ।

আমি থমকে যাই
সামনে এগোতে ভয় হয় আমার
বলতে পারি না অন্যদের মতো
- তুমি সুন্দর
ভেতর বাড়ি আন্দোলিত হয় আমার
আমি ক্রমশ আরো বেশি ভালোবাসি তোমায়।

অনাড়ম্বর তোমাকে বেশি ভালো লাগে
নাইবা জানলে তুমি তা।
##২০১৪১০২৭##



Monday, October 20, 2014

লিমেরিকঃ প্রতিরোধ চাই



সড়ক দুর্ঘটনায় আহা মরছে মানুষ রোজই
হারানো জীবনের হায় রাখছে না কেউ খোঁজই
মানবজীবন এ যেনো নয়
পতঙ্গ-সম তা গোনা হয়
প্রতিরোধের ব্যবস্থাটা জরুরি তো আজই।
##২০১৪১০২০(১৩৭)##
ছবিঃ বিডিনিউজ২৪ডটকম

অণুগল্পঃ দেয়াল

হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো অদৃজার। সাদা চাদরে ঢাকা বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় অদৃজার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।

কাল এ ঘরের বাইরে যাবে অদৃজা। আহা মুক্তি!  পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসেন। মায়ের হাসিটা যেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা অদৃজার মাথায় হাত রাখে। কী যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । একসময় ঘুমিয়ে পড়ে অদৃজা।

ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় অদৃজার। মাকে সে পায়ের কাছের চেয়ারটাতেই বসে থাকতে দেখে। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে দু'জনই। মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ করে অদৃজা। অদৃজা জানে মরণব্যাধি লিম্ফোমা যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা তার একহাজার ভাগের এক ভাগ।

অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযতনে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় অদৃজাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে তাকে। কপালে চুমু  খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক'ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স।

অপারশন থিয়েটার  রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা  ঠেকে অদৃজার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে অদৃজার কাছে। রুমের ছাদটা মনে হয় অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। পাশে দেখার চেষ্টা করে অদৃজা। সাদা দেয়াল ছাড়া সে কিছুই দেখতে পায় না।
                                                     *********************






Sunday, October 19, 2014

পরানের কথা ০২০

প্রতিশ্রুতির তুবড়ি মুখে
কাজের বেলায় উল্টোরথ,
যতন করে গোছায় শুধু
নিজের ভূত ও ভবিষ্যৎ।
##২০১৪১০১৯##

Thursday, October 16, 2014

স্বপ্ন যদি সত্যি হতো

হঠাৎ  ঘুম ভেঙ্গে যায় টুনির। রাত দুপুরে। একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখছিল সে। এ বাড়ির বেগম সাহেবা, যাকে সে খালাম্মা বলে ডাকে, তিনি তাকে আদর করছেন। ভালোভাবে কথা বলছেন টুনির সাথে। কাজের শেষে তিনি তাকে পড়াচ্ছেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।

স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেলো। অতো ভালো একটা স্বপ্ন। সে আবার ঘুমোতে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘুম আর আসে না।

নাম তার টুনি। তবে এ বাড়ির মানুষজন মাঝেমধ্যে তাকে টুইন্যা বলে ডাকে। সে অবশ্য রাগ করে না এজন্য।

ছ' থেকে এগারো। পাঁচ পাচটি বছর। এ পাঁচটি বছর এ বাড়িতে কেটেছে টুনির। মায়ের কথা তার মনে পড়ে। মনে পড়ে তার মা বাড়ি বাড়ি কাজ করতো। ফিরতো সেই সন্ধ্যায়-- তিন-সন্ধ্যের সময়। ফিরেই কত্তো আদর করতো টুনিকে। বুকে জড়িয়ে রাখতো। চুমু খেতো। রাতে কিচ্ছা শুনাতো। কাঠুরিয়ার মেয়ে আর রাজপুত্তরের কিচ্ছা-" এক দ্যাশে আছিলো এক কাঠুইরা। তার আছিলো এক মাইয়া। খুবই সোন্দর। একদিন এক রাজপুত্তর বনে শিকার করতে আইস্যা তারে দেইখ্যা বিয়া কইরা নিয়া যাইবার চাইলো...........।"  এ পর্যন্ত শুনেই ঘুমিয়ে পড়তো টুনি। বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হলো কি না, আজো তার জানা হয়নি।

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পাশ ফিরে শোয় টুনি। একদিন তিন-সন্ধ্যে পেরিয়ে যাচ্ছিলো। মা তবু ফিরছিলো না। অন্ধকার হয়ে গেলো। মা তবু এলো না। তার বাবা দিন-মজুরের কাজ করতো। সেও সেদিন আসছিলো না। রাগ করে টুনি বৃদ্ধা দাদির ঘরে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লো। কিছু খেলো না সে।

সে রাতে টুনির মা ঠিকই এসেছিলো। এসেছিলো লাশ হয়ে। তাদের গাঁয়ের মধ্য দিয়ে একটা সড়ক ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ চলে গেছে। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় একটা ট্রাক এসে আচমকা.........। একটা চাপা চিৎকার ছাড়া টুনির মায়ের বেশি কিছু করার ছিলো না। রাতেই টুনির মাকে দাফন করা হয়।

পরদিন সকালে উঠে টুনি জানতে চেয়েছিলো তার মায়ের কথা। সবাই তাকে তাকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছিলো। বলেছিলো তার মা তার খালার বাড়িতে থেকে কয়েকদিন কাজ করবে। আসার সময় টুনির পুতুলের জন্য শাড়ি নিয়ে আসবে। কথা শুনে প্রতিবাদ করেনি টুনি। কারণ একটা ভালো শাড়ির জন্য তার পুতুলটাকে রুমার পুতুলের সাথে বিয়ে দেয়া যাচ্ছিলো না।

কিছুদিন পরে লাল শাড়ি-পরা একজন মহিলা এলো তাদের বাড়ি। টুনিদের ঘরেই থাকে। প্রথম প্রথম চিনতো না টুনি। বাড়ির লোকেরা বলে দিলো- এ মহিলা তার মা। নতুন মা। সেদিনই টুনি বুঝে নিয়েছিলো তার মা আর আসবে না কোনোদিন। নতুন মাকে টুনি মা বলে ডাকলো না।

কেউ যখন বাড়ি না থাকতো, ভারি ভারি কিল পড়তো টুনির পিঠে। নতুন মা তাকে মারতো। বকতো। দোষ দেখিয়ে টুনির বাবার কাছে নালিশ জানাতো। বাবাটাও যেনো কেমন হয়ে গেছিলো। কিচ্ছুটি বলতো না। মাঝেমধ্যে মারতো টুনিকেই। নিজেও কাঁদতো নীরবে।

এক মহিলাকে ধরে ঢাকার এ বাড়িতে টুনির কাজের ব্যবস্থা করা হলো। সেদিন বাবাকে ছেড়ে আসতে বড় কষ্ট হয়েছিলো টুনির।

বাড়ির বেগম সাহেবা তাকে সারাদিনই এটাওটা নিয়ে মেজাজ দেখান। কিলটি, চড়টি মারেন। লাথিও বসান মাঝেমধ্যে। ঊনিশ থেকে বিশ হবার জো নেই। বেগম সাহেবার ছেলেমেয়েরা পড়ে। স্কুল- কলেজে না কোথায় যেনো যায় রোজ। এসব টুনি বুঝে না। সে তো আর যায়নি কোনোদিন। তবে মা তাকে বলতো, "আমার টুনিরে আমি ইস্কুলে পড়াইয়াম।"  সেসব কথা আজ আর মনে করতে চায় না টুনি।

একদিন এ বাড়ির লিজা আপাকে দুধ গরম করে একটু দেরি হয়েছিলো বলে  যা একটা চড় বসিয়েছিলো টুনির কচি গালটায়।

ঘুম আর হলো না সে রাতে টুনির। ভাবলো সে-- আজকের স্বপ্নটা যদি সত্যি হতো! যদি সবাই তাকে ভালোবাসতো। আদর করতো। তাহলে সে আরো বেশি কাজ করতে পারতো। কততো ভালোই না হতো তাহলে।

মেঝের উপর এপাশ-ওপাশ করতে করতে ভোর হয়ে গেলো। মসজিদ থেকে আযান শোনা গেলো। তাড়াতাড়ি উঠে পড়লো টুনি। তার এখন অনেক কাজ... ।


পাদটীকাঃ ছোটদের দিন আজ। তাই আমার কৈশোরে লেখা এই গল্পটি শেয়ার করলাম। গল্পটি দৈনিক আজাদ-এ ০৫/১১/১৯৮৯ (কার্তিক ২১, ১৩৯৬ বাংলা) তারিখে প্রকাশিত।

Wednesday, October 15, 2014

ভিখিরির হাত

আকাশে আজ ভরাট-যৌবনা চাঁদ
চারদিকে জোছনার
কী ভীষণ-রকম মাতামাতি
আমিও প্রেমিক হলাম
ছাদে বসে তোমাকে ভাবছি আমি
তোমার সাথে প্রথম দেখা---
একটা দুটো অসংলগ্ন কথা
এবং অবশেষে মধ্য-বয়েসী এক রাতে
আমার হলে তুমি
আমারই।

এতোসব ভাবনার ফাঁকে
চাঁদটাকে আর একবার দেখে নেয়ার লোভ হলো খুব
কিন্তু কই? চাঁদটা লাপাত্তা
সলজ্জ হাসছো তুমি ওর জা'গায় বসে।
-- বিশ্বাস করো কথা
মুহূর্তে আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিক হলাম।

হাত বাড়িয়ে ডাকলাম তোমায়
কী যে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলে তুমি
মুহূর্তে ভিখিরির হাত হলো
আমার প্রসারিত বাহু।

রচনাকালঃ ০৬/০৯/১৯৯২
স্থানঃ পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম। 

Monday, October 13, 2014

লিমেরিকঃ মান-এর মান

পণ্য ও সেবার মানে আমরা আছি কোনখানে?
ভেজাল খেয়ে, ভেজাল পেয়ে জানে তা প্রাণ জানে।
ঔষধ ও খাদ্যে গরল
সেবাখাতও নয় যে সরল
আল্লাহমালুম কী যে আছে এসব মান-এর মানে।

পাদটীকাঃ পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিতকরণে ১৪ অক্টোবর  পালিত হচ্ছে বিশ্ব মান দিবস
##২০১৪১০১৩(১৩৫)##

লিমেরিকঃ মুক্তিযোদ্ধা-সনদ জালিয়াতি




মুক্তিযোদ্ধা-সনদ নিয়ে চলে আজো জালিয়াতির জাল
জড়িয়ে থাকে রুই-কাতলাসব, মননে অশুভ চাল
লজ্জা লাগে বড়ো
এ অন্যায় গুরুতরো
কবে হবো শুদ্ধ আমরা? নাকি এভাবেই চিরকাল?
## ২০১৪১০১৩(১৩৬)##

Wednesday, October 8, 2014

কারণ-অকারণের ফাঁদে অণুগুছ



(১)............
অকারণটা বুঝি
কারণটা বুঝি না
কারণে অকারণে
তাই আমি যুঝি না।

 (২)...........................
প্রেম দেখে, বিরহ দেখে
কেনো অকারণ কষ্ট পায় আফসানা
কারণ অকারণ যাই হোক না
প্রেম বড় তা তো সাফ জানা।

 (৩)........................
এক সুতোয় বাধা হলে
কষ্ট পাবার কারণ আছে
অকারণে প্রিয়জনে
কষ্ট দেয়া বারণ আছে




(৪).....................
কারণ আছে কারণ
বলতে কেবল বারণ
ভালোবাসাই আনছে টেনে
করছে হৃদে ধারণ।

(৫).............................................
অকারণে মিসকল দিয়ে সে যে ক্ষান্ত
কারণে খুঁজেছি তারে, যদি তা সে জানতো!
কারণে-অকারণে সবই তাই ভ্রান্ত।

(৬).....................
ভালোবাসি তারে
কারণে অকারণে
ভালোবাসি তারে
ধারণে ও বারণে।

(৭)
ভুলে যাবে সকারণ?
যাও তবে,
ভালোবেসো অকারণ
তাই রবে।

(৮).................................
কী কারণে সে ভেবেছিলো আমি তার
জানি না আমি তা
কেনো অকারণে সে ঘুরে যেতো আমার উঠোন
আমি তা বুঝি আজ।

লিমেরিক: ভাষাসৈনিককে শ্রদ্ধা



ভাষা-সৈনিক ভাষা মতিন চলে গেলেন, আর নাই
ভাষার জন্য ভালোবাসায় তাঁর অনন্য দৃষ্টান্ত  পাই
ভাষার তরে লড়ে 
গড়েছেন আপন করে
মহান এ ভাষাপ্রেমীকে হৃদ্য শ্রদ্ধা আজ জানাই । 
##২৯১৪১০০৮(১৩৪)##

Monday, October 6, 2014

লিমেরিকঃ ত্যাগের শিক্ষা

ত্যাগ-মহিমায় উজ্জ্বল হোক কোরবানির এ ঈদ
গর্ব-চূর্ণ যাক হয়ে যাক ভাঙ্গুক ভুলের নিদ
টাকার মূল্যে নিরূপণ নয়
ভালোবাসার হোক শুধু জয়
কাঙালকে আজ আপন করে জাগুক তবে হৃদ ।
##২০১৪১০০৬(১৩৩)##

Friday, September 26, 2014

লিমেরিক: ইতিহাস

ইতিহাসের ইতিহাসটা সুখকর নয় মোটে
নিজের ও দলের মতো সাজানো কেটেকুটে
ইতিহাসতো সত্য
নয় গল্প উপাত্ত
ইতিহাসগৃহ তবে কেনো আঁধার ঘুটঘুটে!

Friday, September 19, 2014

লিমেরিকঃ লোডশেডিংয়ের চাপে


সকাল, দুপুর, সাঁঝ ও রাতে লোডশেডিংয়ের চাপে
জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হায় শ্রম ও দমের ধাপে !
দেয় না নোটিশ মোটে
কষ্টটুকুই জোটে
দিনদিন তা বেড়েই চলে তীব্রতা ও মাপে।
##২০১৪০৯১৯(১৩১)##
ছবিঃ ইন্টারনেট

Monday, September 15, 2014

লিমেরিকঃ সেলফি


সেলফির সময় এখন, চলছে সেলফি খেলা
স্মার্টফোন বা ট্যাব ক্যামেরায় হচ্ছে যে তা ম্যালা
যাচ্ছে পোস্ট সব ফেসবুকে
না না স্টাইল ও নিউলুকে
এ সেলফিই কাল যে হবে স্মৃতির ঘরে ফেলা।
##২০১৪০৯১৫(১৩০)##

লিমেরিকঃ ফুল-কন্যা

 

এই মেয়েটি ফুল বেঁচে যায়, সে যে ফুল-কন্যা
সবাই হাতের ফুল দেখে তার, কেউতো মন না
সকাল থেকে সাঁঝে
থাকে সেতো কাজে
সংগ্রামী জীবন সে, সমাজের একজন না?
##২০১৪০৯১৫(১২৯)##

Sunday, September 14, 2014

প্রথম-আলো ব্লগে পরানের ২০০ কথা




আমার ব্লগিংকাল


আমার ব্লগিং-জীবন শুরু প্রথম আলো ব্লগ দিয়েই। ১৮ মার্চ ২০১৪। আমি আজ যে ব্লগালোচনা লিখছি তা প্রকাশ হলে, এটি হবে আমার ২০০-তম পোস্ট প্রথম আলো ব্লগে। আমার ১০০-তম পোস্টে এক জায়গায় উল্লেখ করেছিলামঃ লেখালেখিটা মজ্জায় ছিলো ছেলেবেলা থেকে। ---- প্রথম আলো ব্লগ যেনো পুরনো অভ্যাসটাকে জাগিয়ে দেয়। আমি নেশাগ্রস্থ হয়ে যাই আবার লেখালেখিতে।

প্রথম আলো ব্লগে আমিঃ

প্রথম আলো ব্লগে ২০০ পোস্টের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি লিখেছি লিমেরিক। কিছু কবিতা আর ছড়াও লিখেছি। আলো ব্লগে আমার লিমেরিকের সংখ্যা ১২৫। লিমেরিক লিখতে গিয়ে কিছু মজার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। পরানের কথা দেখলেই কেউ কেউ ধরে নেন - এটা লিমেরিকই (যদিও লেখাটি অন্য প্রকৃতির)।

লিমেরিক নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা বলেছিলাম আগের এক পোস্টেঃ লিমেরিক কে অনেকেই হাল্কা ফর্ম মনে করেন। আমার কাছে মনে হয়, লিমেরিক হতে পারে সাহিত্যের শক্তিশালী মাধ্যম। সময় ও সমাজকে লিমেরিকে প্রকাশ করা আমার লক্ষ্য। বিনীতভাবে বলতে চাই, আমার সবসময় নিয়মের সবটুকু মেনে লিমেরিক লেখা হয় না। মাত্রা নিয়ে মাঝেসাঝেই সমস্যা থাকে। আমি সময়কে পোট্রে করতে চাই।

লিমেরিক, কবিতা ও ছড়ার পাশাপাশি পরানের কথা নামে একধরনের সিরিজ লেখা শুরু করেছি। চার লাইনের কথকতা। এখানে আমার লক্ষ্য হলো-- কতো কম কথায় একটা ভাব(বিষয়) তুলে আনা যায়। সহ-ব্লগার আয়শা আহমেদ আপার সুবচন থেকে অনুপ্রাণিত এ প্রয়াস আমার। এছাড়াও, ভাবের কণা নামেও কিছু লেখা ধারাবাহিকভাবে দিচ্ছি। অনেকটা অণুকবিতার মতোঃ
ভাবের কণা
পরানের কথা ০১৬

আমার লেখা আমার প্রিয়ঃ

পরানের ১০০ লিমেরিক
মানিয়ে চলা এবং অতপর
প্রতীক্ষা
আদুরি উপাখ্যান
ভালোবাসার মহাকাব্য
আড্ডাঃ সেদিন এদিন
ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে

আলো ব্লগে ভালোলাগাঃ

প্রথম আলো ব্লগের সাথে জড়িত হবার পরপরই একটা বিষয় বুঝতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তাহলো - এখানে সহ-ব্লগারগণের মাঝে একটা প্রগাঢ় আত্মিক বন্ধন লক্ষ্যনীয়। পোষ্টে বিভিন্ন মন্তব্য থেকে তা সহজে অনুমেয়। আড্ডা থেকে তা বুঝা যায়। যেনো একই পরিবারের কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সদস্য। এঁরা প্রাণের টানে জাল বুনে আলো ব্লগে।
কিছু ব্যতিক্রম হয়তো আছে; কিন্তু একজন পজেটিভ মানুষ হিসেবে আমি তা ধর্তব্যে নিতে নারাজ।

আলো-ব্লগে ভালো না লাগাটুকুঃ

যখন তখন নোটিশ না দিয়ে ব্লগ হ্যাং হয়ে যাওয়া;
পোস্ট রিলিজে কনসিস্টেন্সসি না থাকা।
নোটিফিকেশনের ব্যবস্থা না থাকা।

অনুরোধঃ

আলোব্লগের ব্লগারগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন পোস্ট মুক্তি পাবার। পোস্ট রিলিজে অনুগ্রহ করে কন্সিস্টেন্স হোন। টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে নোটিফিকেশনসহ অন্যান্য স্ট্যাটিস্টিক্স দেখার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। প্রাণের এ মেলাকে প্রাণবন্ত করার ও তা ধরে রাখার প্রয়াস নিন।

আলো ব্লগের আলোগণঃ

ব্লগের আলো হলো ব্লগারগণ। ব্লগারগণই ব্লগকে আলোকিত করে রেখেছেন। লিখে। মন্তব্য দিয়ে। বিভিন্ন আয়োজনে। আমার অল্পদিনের (পাঁচ মাস) ব্লগাভিজ্ঞতায়ও অনেক সম্মানীয় ব্লগারকে পেয়েছি সুহৃদ হিসেবে। তাঁরা নানা ভাবে পাশে থেকেছেন সবসময়। কেউ প্রশংসা করে, কেউ উৎসাহ দিয়ে; কেউবা গঠনমূলক সমালোচনা করে। এ তালিকাটা অনেক বড়ো। যাদের কথা না বললেই নয়ঃ

বালুচর
আরজু মুন জারিন
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক
মেজদা
আলভী
অনিন্দ্য অন্তর অপু
নাসরিন চৌধুরী
কামরুন্নাহার
আলমগীর সরকার
সুখেন্দু বিশ্বাস
আয়েশা আহমদ
সাদাত সবুজ
রব্বানী চৌধুরী
ফেরদৌসা
ডাঃ সুরাইয়া ‍‍‍‍হেলেন
ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী)
রুদ্রনীল
ধ্রুব নুর
নীল সাধু
সনৎ ঘোষ
রোদের ছায়া
মাঈনউদ্দিন মইনুল
লুৎফুন নাহার জেসমিন
শ্রাবণ মাহমুদ
উননুর
সফিউল্লাহ লিটন
কামাল উদ্দিন
বিষাদনীলিমা
মো: মালেক জোমাদ্দার
দীপংকর চন্দ
হামিদ
এম এ কাশেম
শাহ আলম বাদশা
শ‍হীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ তোমায় ধ্বংসের নিমন্ত্রণ
এই মেঘ এই রোদ্দুর
শাহিদুল হক
উদয়ের বাণি
নূর মোহাম্মদ নূরু
মুক্তমন৭৫
আমির হোসেন
চারুমান্নান
অসংজ্ঞায়িত মেহেদী
কষ্টের দেবতা
আহমেদ রব্বানী
আদম অনুপম
পুলক বিশ্বাস
বৈশাখী ঝড়
আজিম হোসেন ’আকাশ’
হাফিজুল ইসলাম
সাঈদ চৌধুরী
ছায়া
রুবিনা মজুমদার
সালমা কবীর
আমির হোসেন
মোসাদ্দেক
এক রঙ্গা এক ঘুড়ি
নাজনীন পলি
আরবাচীন পথিক
কাজী আনোয়ার হোসেন
শরিফুল আলম
সোলাইমান ইসলাম নিলয়
জি এম আরিফ
বিপ্লব মন্ডল
লিনা জামবিল
মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা
মোস্তফা সোহেল
আমির আসহাব
বিল্লাল হোসাইন
ভোরের মিছিল
প্রতীক্ষা
হারানো ওয়াছিম
এন্টি ভাইরাস
অপদেবতা



(সবার নাম হয়তো এখানে আসেনি। আর এ তালিকা কোনো ক্রমঃ রক্ষা করে করা হয়নি।)

আমার সীমাবদ্ধতাঃ

বর্তমানে আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। মানবসম্পদ নিয়ে। তাই সময় আমাকে দেয় না সময়। বড়ো কোনো প্লট নিয়ে চিন্তার সময়ই বের করতে পারি না মাল্টিটাস্কিং এর চাপে পড়ে। তাই বেঁছে নিয়েছি ছোট ছোট ফর্মেট ।

একই কারণে, অন্যদের বড়ো লেখাগুলো ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পড়তে পারি না। গল্পগুলো পড়তে পারি না। আমার না কষ্ট হয় খুব।

আমার ২০০তম পোষ্টে সকল সহ-ব্লগারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জানাচ্ছি সালাম । সবার সহযোগিতা কামনা করছি পথ চলায়।

আলো ব্লগের সাফল্য কামনা করছি। কামনা একটি অনিন্দ্য সুন্দর একটি ব্লগ পরিবার আর স্বপ্নের বাংলাদেশের ।



পরানের কথা চায় যে বলতে পরান
মন আর প্রাণকে একসুতোয় জড়ান
শুদ্ধচিন্তার শুধু ফেরি
সত্যকথনে নেইতো দেরি
হৃদয়ের অলিগলি ভালোবাসায় ভরান।





সোহেল আহমেদ পরান
(পরানের কথা)


https://www.facebook.com/shohel121
https://www.facebook.com/poranerkotha
http://banglakobita-limerick.blogspot.com/
bd.linkedin.com/in/shohelahmed/
৬৯ টি মন্তব্য
fardousha ফেরদৌসা১৭ আগস্ট ২০১৪, ১৯:১৮
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৩৮
আন্তরিক ধন্যবাদ আপা।

শুভেচ্ছা মুছে ফেলুন
Rabbani রব্বানী চৌধুরী১৭ আগস্ট ২০১৪, ১৯:২৩
অনেক অনেক অভিনন্দন পরাণ ভাই, নিয়মিত লিখবেন। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪০
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় রব্বানী ভাই।

পাশে পেয়েছি সবসময়।

ভালোবাসা: মুছে ফেলুন
nuru07 নূর মোহাম্মদ নূরু১৭ আগস্ট ২০১৪, ২০:০৫
চমৎকার উপস্থাপন
ধন্যবাদ পরাণের কথা
পরাণের সাথে গেঁথে নিলাম।
শুভকামনা সর্বদা। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪১
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নূরু ভাই।

ভালো থাকুন মুছে ফেলুন
kamaluddin কামাল উদ্দিন১৭ আগস্ট ২০১৪, ২০:১০
২০০০ ব্লগে স্বাগতম জানানোর অপেক্ষায় থাকলাম, আপনার যে গতি খুব সময় লাগবে না বলেই আমার বিশ্বাস। চালিয়ে যান আছি সাথে.............শুভেচ্ছা অনেক। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
Mzarin31 আরজু মুন জারিন ১৭ আগস্ট ২০১৪, ২১:২০
কামাল ভাই এর মত আমার ও। শুভেচ্ছা। মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪৩
২০০০!!!

পাশে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ কামাল ভাই।

ইনশাল্লাহ । পথ অফুরান।

ভালো থাকবেন মুছে ফেলুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪৪
আরজু আপা ধন্যবাদ মুছে ফেলুন
kamaluddin কামাল উদ্দিন১৯ আগস্ট ২০১৪, ০৯:২৪
আপনিও ভালো থাকুন সব সময় মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
ZOMADDER মো: মালেক জোমাদ্দার ১৭ আগস্ট ২০১৪, ২০:১৪
পরানের বন্ধু কহিল সকলের পরানেরই কথা,ভালো থাকবেন সদা এই কামনা রইল।
আপনার প্রতিটি লেখাই আমার কাছে বেশ অর্থবহ মনে হয়েছে, পরানের কথা ২০০টি লেখা যা আমাদের বাংলা সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করছে।আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞ রইল। সুদীর্ঘ জীবন কামনা করছি।


উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪৭
আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করছে।

যদিও আমি ভাবি না আমার লেখা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তার থেকে আমি অনেক দূরে।

আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় জোমাদ্দার ভাই মুছে ফেলুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৪৯
আমার সংগ্রহে তো ছবি নাই।

হৃদয়ের ধন্যবাদ কামাল ভাই মুছে ফেলুন
Maeen মাঈনউদ্দিন মইনুল১৭ আগস্ট ২০১৪, ২০:২৬
নিঃসন্দেহে বিশাল অর্জন এবং বাংলা ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি হয়ে থাকবে........

আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫৩
নিঃসন্দেহে বিশাল অর্জন এবং বাংলা ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি হয়ে থাকবে........

আপনার এ মন্তব্যটুকু আমার কাছে অনেক মূল্যবান হয়ে থাকবে। আমার শততম লিমেরিকে আপনি বলেছিলেন, যারা লিমেরিক লিখে তারা শুধু কবি না, লিমেরিক শিল্পী।

আমার হৃদ্য ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই মুছে ফেলুন
ANIKA2012 আমির হোসেন১৭ আগস্ট ২০১৪, ২০:৫০
২ লাখ পোস্ট দিন এই আশা করি। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫৩
Mzarin31 আরজু মুন জারিন ১৭ আগস্ট ২০১৪, ২১:১৯
লিমেরিক কে অনেকেই হাল্কা ফর্ম মনে করেন। আমার কাছে মনে হয়, লিমেরিক হতে পারে সাহিত্যের শক্তিশালী মাধ্যম। সময় ও সমাজকে লিমেরিকে প্রকাশ করা আমার লক্ষ্য। বিনীতভাবে বলতে চাই, আমার সবসময় নিয়মের সবটুকু মেনে লিমেরিক লেখা হয় না। মাত্রা নিয়ে মাঝেসাঝেই সমস্যা থাকে। আমি সময়কে পোট্রে করতে চাই।

পরান ভাই দুইশ পোস্ট হয়ে গেছে। ....ওহ। ..অভিনন্দন অনেক অনেক। ...

আমি হালকা ফর্ম মনে করিনা লিমেরিক কে। আর তুমি অনেক ভাল লিখ।

অনেক অনেক ভক্ত পরানের কথার ,পরানের লিমেরিকের।

চমত্কার পোস্ট টির জন্য জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫৬
আমি হালকা ফর্ম মনে করিনা লিমেরিক কে। আর তুমি অনেক ভাল লিখ।

অনেক অনেক ভক্ত পরানের কথার ,পরানের লিমেরিকের।


প্রিয় আরজু আপা, আপনার মন্তব্য আমার কাছে মহামূল্যবান।

শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন মুছে ফেলুন
BABLA মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা ১৭ আগস্ট ২০১৪, ২১:৩৩
সময় ও সমাজকে লিমেরিকে প্রকাশ করা আমার লক্ষ্য।

কাজটি আপনি দারুনভাবে করেছেন।অভিন্দন ২০০তম পোস্টের জন্য।
শুভকামনা। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫৮
স্বীকৃতি কার না ভালো লাগে?

আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় বাবলা ভাই।

আশাকরি পাশে থাকবেন মুছে ফেলুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫৯
MUSADDEK71 মোসাদ্দেক১৮ আগস্ট ২০১৪, ০৬:১৭
MUSADDEK71 মোসাদ্দেক১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:২৭
খুব লাজুক লাগছে কিন্তু শিখতে হলে অবশ্যই সংকোচ দূর করতে হবে......

লিমারিক শব্দটা আর এর বিষয়টা আমার অজানা...

প্রায়ই দেখে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে আপনি কিছু তুলে ধরেন ছন্দে....

একটু জানাবেন প্লিজ উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:০৩
লাজুক লাগার বিষয়টি একটু ক্লিয়ার করবেন প্লিজ।

লিমেরিক(limerick) ইংরেজি শব্দ। শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলায় গৃহীত হয়েছে। লিমেরিক পদ্যের এক বিশেষ ধরনের রচনা শৈলী। সাধারণত ৫ টি চরণে হয়। মিলের বিন্যাস : ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি অন্যগুলোর চেয়ে মাপে ছোট হয়।

A limerick is a five-line witty poem with a distinctive rhythm. The first, second and fifth lines, the longer lines, rhyme. The third and fourth shorter lines rhyme. (AABBA)

This five line poem also follows a syllable count.
Line 1: 7-10 syllables
Line 2: 7-10 syllables
Line 3: 5-7 syllables
Line 4: 5-7 syllables
Line 5: 7-10 syllables

লিমেরিকের সংজ্ঞা নিয়ে আমার একটি লিমেরিক আছেঃ

পাঁচ লাইনে ভাবের বিন্যাস, নিয়মটা মেনে ঠিক
প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম ছন্দমিলে হয় আন্তরিক
তৃতীয় চতুর্থ লাইন দুটো
ছন্দে হয় কিঞ্চিৎ ছোট
একটা ভাবের দীপ্ত প্রকাশ, এইতো লিমেরিক।



অনেক ধন্যবাদ মুছে ফেলুন
MUSADDEK71 মোসাদ্দেক১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:১৬
ঐ পোস্টেও সম্ভবত আমি জানতে চেয়েছিলাম...

ধন্যবাদ...

আমিও চেষ্টা করব দু একটি লিখবার...

শুভকামনা রইল অবিরাম মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:১৮
MUSADDEK71 মোসাদ্দেক১৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:০৯
KohiNoor মেজদা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:২৮
২০০ তম পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:০৪
অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় মেজদা মুছে ফেলুন
CHOWDHURY88 সাঈদ চৌধুরী১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৩০
আপনাকে অভিনন্দন । ব্লগকে সুন্দর করায় আপনার কৃতিত্বও কিন্তু কম নয় । আপনার প্রিয় ব্লগারের তালিকায় আমার নাম থাকাতে নিজে ধণ্য মনে করছি । অনেক অনেক লিখুন । পাশে আছি সবসময় । ভালো তাকুন প্রতিদিন । উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:০৭
ব্লগকে সুন্দর করায় আপনার কৃতিত্বও কিন্তু কম নয় ।

আমি জানি না সাঈদ ভাই। তবে আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে।]

আর আপনাকে পাশে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ, মন থেকে। মুছে ফেলুন
ahmedrhl আহমেদ রুহুল আমিন১৭ আগস্ট ২০১৪, ২২:৫২
ভাল লাগল । তবে , একটি ব্যাপার আপনিসহ সকল ছদ্মনাম ব্যবহার কারীদের একটি অনুরোধ জানাব আসল নিক নাম ব্যবহার করার জন্য । ছদ্মনাম ব্যবহারে সুবিধা কি ? বনফুলের যুগতো এখন নেই । আমার খুব জানার ইচ্ছা করে লেখকের আসল নাম ও পরিচয় । বিশেষ করে করে , যাদের লেখা ভাল লাগে । ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল । উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:১০
ভালো লাগায় আন্তরিক ধন্যবাদ।

হাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি অবশ্য এই ব্লগ ছাড়া অন্য ব্লগে পুরো নামেই লিখে থাকি।
আর সুবিধার জন্য এই পোস্টের নিচে আমার পুরো নাম দেয়া হয়েছে।

সোহেল আহমেদ পরান
(পরানের কথা)

https://www.facebook.com/shohel121
https://www.facebook.com/poranerkotha
http://banglakobita-limerick.blogspot.com/
bd.linkedin.com/in/shohelahmed/

পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। মুছে ফেলুন
sulary আলভী১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:০৪
অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ২০০শত তম পোষ্টের মাইল ফলক স্পর্শ করে আপনি এক অনন্য নজির স্হাপন করেছেন!
আপনার পথচলা হোক আরো মসৃণ আরো সুদর প্রসারী।
আজকের পোষ্টের প্রতিটি কথা আমার হৃদয়ের একান্ত অনুলিপি।
পোষ্টটিকে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
অনেক কিছু শেখার আছে আপনার কাছ থেকে প্রিয় পরান ভাই।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:১৫
আজকের পোষ্টের প্রতিটি কথা আমার হৃদয়ের একান্ত অনুলিপি।
পোষ্টটিকে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
অনেক কিছু শেখার আছে আপনার কাছ থেকে প্রিয় পরান ভাই।


আমার অন্তরের ধন্যবাদ জানবেন প্রিয় আলভী ভাই। আপনার এতো ভালো লাগায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি ভাই। প্রিয়তে রাখার জন্যও কৃতজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা সতত। মুছে ফেলুন
sulary আলভী১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৩৮
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৪২
sulary আলভী১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৫১
diponkar07 দীপংকর চন্দ১৭ আগস্ট ২০১৪, ২৩:২৫
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই।

২০০তম পোস্ট অনেক বড়ো কৃতিত্ব!

আশাকরি অনন্য এই কৃতিত্ব আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে অধিক সাফল্যের পথে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন। সবসময়। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:১১
আন্তরিক ধন্যবাদ দীপ দা।

অনুপ্রাণিত হলেম।

শুভেচ্ছা অপার মুছে ফেলুন
MirHamid হামি্দ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০০:১৯
পোস্টের ডাবল সেঞ্চুরি উপলক্ষে অভিনন্দন পরান ভাই ......................... উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৪:৫০
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
হামিদ ভাই/ পেয়েছি পাশে সবসময় মুছে ফেলুন
baganbilas1207 কামরুন্নাহার ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০১:০৪
২০০ তম পোষ্টের জন্য অজস্র শুভেচ্ছা, পরানের কথা ভাই।
আপনার পথচলা হোক আরো মসৃণ আরো সুদর প্রসারী।

আজ এই আনন্দমুখর দিনে আপনি বলবেন কি, আপনার নাম কি ?????

উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
baganbilas1207 কামরুন্নাহার ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০১:০৭
সোহেল আহমেদ পরান????????

মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
sulary আলভী১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৪১
আপু আপনি আমার মন্তব্য কপি করেছেন কেন? মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৫:১৪
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় নাহার আপা।

আপনাদের ভালবাসায় আপ্লুত মুছে ফেলুন
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৫:১৫
সোহেল আহমেদ পরান?

মুছে ফেলুন
baganbilas1207 কামরুন্নাহার ২৩ আগস্ট ২০১৪, ২০:০৫
আলভী ভাই কি যে কয় !!!! মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
kamaluddin কামাল উদ্দিন২৩ আগস্ট ২০১৪, ২০:১৭
নকল করলে ম্যজিষ্ট্রেটের হাতে ধরিয়ে দিন মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
rudronil রুদ্রনীল১৮ আগস্ট ২০১৪, ০১:১৭
লিমেরিক কে অনেকেই হাল্কা ফর্ম মনে করেন। আমার কাছে মনে হয়, লিমেরিক হতে পারে সাহিত্যের শক্তিশালী মাধ্যম। সময় ও সমাজকে লিমেরিকে প্রকাশ করা আমার লক্ষ্য। বিনীতভাবে বলতে চাই, আমার সবসময় নিয়মের সবটুকু মেনে লিমেরিক লেখা হয় না। মাত্রা নিয়ে মাঝেসাঝেই সমস্যা থাকে। আমি সময়কে পোট্রে করতে চাই।----------------সহমত।

আপনি তো লিমেরিকের রাজা। আপনার লিমেরিক আমার খুব প্রিয়। আপনার লিমেরিক পড়েইতো আমি লিমেরিক লিখেছিলাম। কিন্তু আপনার মতো আমি পারি না। ষীদ ভাইয়ের ছড়া পড়ে আমি ছড়া লেখা শুরু করি। তাই শহীদ ভাই আমার ছড়ার গুরু, তেমনি আপনি আমার লিমেরিকের গুরু।

প্রথম আলো ব্লগের সাথে জড়িত হবার পরপরই একটা বিষয় বুঝতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তাহলো - এখানে সহ-ব্লগারগণের মাঝে একটা প্রগাঢ় আত্মিক বন্ধন লক্ষ্যনীয়। পোষ্টে বিভিন্ন মন্তব্য থেকে তা সহজে অনুমেয়। আড্ডা থেকে তা বুঝা যায়। যেনো একই পরিবারের কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সদস্য। এঁরা প্রাণের টানে জাল বুনে আলো ব্লগে।
কিছু ব্যতিক্রম হয়তো আছে; কিন্তু একজন পজেটিভ মানুষ হিসেবে আমি তা ধর্তব্যে নিতে নারাজ।
--------------সহমত।


ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো দাদা। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৯ আগস্ট ২০১৪, ২১:০৯
প্রিয় রুদ্রনীল, অপার কৃতজ্ঞতা দাদা।

তবে গুরু নয়; বন্ধু হয়েই থাকতে চাই।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময় । মুছে ফেলুন
tmboss172 তৌফিক মাসুদ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০৪:৪৯
সত্যি এইরকম নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর। আপনি পেরেছেন। আমি যতদিনই ব্লগে এসেছি গত কয়েক মাসে আপনার লেখা পেয়েছি প্রায়ই। সব সময় পড়া হয়নি এটা ঠিক।


আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৯ আগস্ট ২০১৪, ২২:০৭
আপনার মন্তব্যে যারপরনাই ভালো লাগলো ।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন: মুছে ফেলুন
Kabirsalma123 সালমা কবীর১৮ আগস্ট ২০১৪, ০৮:৪২
একেবারেই পরাণের কথা জানা গেল।
শুভ ব্লগিং এর শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে‘ সোহেল আহমেদ পরান’ উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা২০ আগস্ট ২০১৪, ১৪:০৫
অন্নেক আন্তরিক ধন্যবাদ আপা

শুভেচ্ছা সতত মুছে ফেলুন
aihena039 আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ১৮ আগস্ট ২০১৪, ০৮:৫৫
২০০ তম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।

পেশাগত কারণে সাহিত্য চর্চায় (লেখা ও পড়ায়) আপনার কিছুটা অস্থিরতা আছে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। সাহিত্য হলো সৃষ্টিশীল কাজ। এই কাজে কোয়ান্টিটির চাইতে কোয়ালিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য সামান্য কিছু কবিতা লিখে মাত্র ২১ বছর বয়সে পরলোকগমন করেছেন। কিন্তু বাংলা কবিতা যতদিন থাকবে, সুকান্তের নাম ততদিন উচ্চারিত হবে।
তাই সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে সুস্থিরভাবে লেগে থাকাটা অত্যাবশ্যকীয় শর্ত। আপনি খুব সুন্দর লিখেন। বিশেষ করে লিমেরিক গুলো। তবে সাহিত্য জগতের বিশাল ক্যানভাসে ঠাই করে নিতে হলে আপনাকে বৃহত্তর লেখালেখির মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। আর আপনি বলেছেন অন্যের বড় লেখাগুলো পড়ার সময় সুযোগ করে উঠতে পারেন না। ভালো লেখার ক্ষেত্রে এটি কিন্তু একটি অন্তরায়। প্রচুর না পড়লে ভালো লেখা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ, পরানের কথা। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৮ আগস্ট ২০১৪, ১০:০১
তাই সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে সুস্থিরভাবে লেগে থাকাটা অত্যাবশ্যকীয় শর্ত। আপনি খুব সুন্দর লিখেন। বিশেষ করে লিমেরিক গুলো। তবে সাহিত্য জগতের বিশাল ক্যানভাসে ঠাই করে নিতে হলে আপনাকে বৃহত্তর লেখালেখির মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। আর আপনি বলেছেন অন্যের বড় লেখাগুলো পড়ার সময় সুযোগ করে উঠতে পারেন না। ভালো লেখার ক্ষেত্রে এটি কিন্তু একটি অন্তরায়। প্রচুর না পড়লে ভালো লেখা সম্ভব নয়।

প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় আবু হেনা ভাই, আপনার কথাগুলো একবারে নিরেট সত্য। প্রচুর পড়তে হবে। তাহলেই ভালো লেখা যাবে। সময়ের অভাবে বড়ো লেখার প্লট নিয়ে ভাবতে পারছি না বলেই, ছোট লেখা বেছে নিয়েছি আমি। আমি যা লিখি তা কিন্তু পরান থেকেই। না লিখে থাকতে পারি না। ইমোশনাল ইঙ্গেজমেন্ট থেকে লেখা হয়। সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে বেশি লেখা হয় আমার।

আপনার উপদেশ মনে রাখবো। বড়ো পরিসরে ঢুকতে হবে। হবে ইনশাল্লাহ। দোয়া করবেন।

আড্ডায় আপনার উপস্থিতি দেখে আমার একটি লেখা আপনাকে উপহার দিচ্ছি আজঃ

আড্ডাঃ সেদিন এদিন
.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

আগের দিনে আড্ডা হতো
চায়ের কাপে ঝড়-তোলা
সময়-কাঁটা চলতো শুধু
আড্ডাবাজরা ঘরভুলা ।

রাজনীতি আর লেখালেখি
কিংবা দিনের মূলখবর
জমিয়ে তুফান, ঘামিয়ে দেহ
জম্পেশ আড্ডা খুব জবর।

কথাযুদ্ধ, তর্ক হতো
ভাঙ্গার আগে বন্ধুসব
সৃষ্টি বহু দেখতো আলো
মিলিয়ে শেষে কলরব।

আজকে দেখি নেটে বসে
আড্ডা চলে ভার্চুয়াল
দূরত্ব নয় বাঁধা কোনো
ব্যবহার নেই কার চোয়াল।

কফির ঘ্রাণ আর চায়ের স্বাদ
থাকে আড্ডায় অধরা
হৈ-হুল্লুড়ে সেই আড্ডাটা
ইথার আড্ডায় তাই মরা।
মুছে ফেলুন
aihena039 আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ১৮ আগস্ট ২০১৪, ১০:০৮
চমৎকার ছড়ার জন্য ধন্যবাদ, পরানের কথা। এটি পোস্ট আকারে দিলে আরও অনেকে পড়তে পারতেন। মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
neelsadhu নীল সাধু১৮ আগস্ট ২০১৪, ১৩:১৮


অভিনন্দন!
দীর্ঘদিন আপনি লিমেরিক সহ অন্যান্য লেখালেখি চালিয়ে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

সুন্দর থাকুন। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা১৯ আগস্ট ২০১৪, ১৮:১৮
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় নীল সাধু ভাই।

আপনাদের মন্তব্যে খুব অনুপ্রেরণা পাই।

আশাকরি পাশে পাবো সবসময়।

শুভেচ্ছা মুছে ফেলুন
bappi76 সুখেন্দু বিশ্বাস ১৯ আগস্ট ২০১৪, ১০:০০
পরানের কথা দুইশত হল পার,
এখন সময় সাধুবাদ জানাবার।



আপনাকে অভিনন্দন পরান দা। আরও লিখুন

শুভেচ্ছা সতত। উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা২১ আগস্ট ২০১৪, ১০:৫০
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় সুখেন দা।

ভালো থাকুন মুছে ফেলুন
Shariful123 শরিফুল আলম১৯ আগস্ট ২০১৪, ১২:০৩
অভনন্দন । আপনি আরো লিখবেন এই প্রত্যাশা করি । উত্তর দিন | মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
shohel121 পরানের কথা২১ আগস্ট ২০১৪, ১৩:৫৭
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়