Wednesday, February 25, 2015

দূরের আকাশ

তোমাকে ভালোবেসে
সাধারণ বালক থেকে ভীষণ দুরন্ত প্রত্যয়ী
যোদ্ধা হয়ে যাই আমি এক সোনামুখী ভোরে।
তোমায় ছুঁয়ে দেখার প্রাণান্ত প্রয়াসে
রাগান্ধ অশ্বের মতো  ছুটে চলি আমি
দুইশ ছয় ফুট সামনে সলজ্জ তোমাকে দেখে আমি মুগ্ধ হই
তোমার বুকের আশ্রয় আরাধ্য চিরদিনের...
ছুঁতে যাই হাত বাড়িয়ে
মুহূর্তে নাই হয়ে যাও তুমি
ছুটে চলি
ছুটে চলি
ওই তো তুমি  দুইশ ছয় ফুট সামনে
ডাকছো ইশারায়...
এ মহাল আমার - আমি হাত বাড়াই
মুহূর্তে নাই হয়ে যাও তুমি।
ক্রমশ গেছি জেনে-
হাতছানি দিয়ে যাও তুমি দিগন্তে
দূরের আকাশ তুমি
আমি এক বালক সাধারণ । 

২৫.২.১৫






Wednesday, February 18, 2015

লিমেরিকঃ লঞ্চডুবির দায়



লঞ্চডুবিতে মরছে মানুষ দুদিন বাদে বাদে
নিরীহ সব যাত্রী শিকার অশুভ কোন ফাঁদে!
তাজাপ্রাণের বিদায়
কে নেবে আজ এ দায়?
স্বজনহারার দুঃখ দেখে পরান শুধু কাঁদে। 

ঢাকা
২৩/২/২০১৫
পাদটীকাঃ পদ্মায় গতকালের লঞ্চডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে পৌঁছেছে।

লিমেরিকঃ ভাষার প্রতি ভালোবাসা



ভাষার প্রতি ভালোবাসা ভাসাভাসা হলে, 
শহীদগণের আত্মত্যাগ যায় বুঝি বিফলে!
একুশ এলেই তোড়েজোড়ে
বাংলাচর্চা আসে ঘুরে
ভাষাপ্রেমের প্রকৃত-রূপ বেরুক হৃদয় গলে।
  -
ঢাকা
১৮/২/১৫

Saturday, February 14, 2015

ভালোবাসা নিতি

যাচ্ছে শোনা আজকে
ভালোবাসার দিবস
তাহলে তো কিং ডে
দি বস, কী বস!

দিনক্ষণ বুঝে তোমরা বুঝি
বাসো ভালো?
জানাতে তা বিশ্ব-ব্যাপি
তোলো তালও!

বছরের বাকি দিনসব
ভালোবাসাহীন?
কাটবে তবে ক্ষণগুলো কি
আলো-আশাহীন!

মন ও হৃদয়  কাঁদবে তবে
মরবে জ্বালায়?
ভালোবাসা ঠুকবে মাথা
বদ্ধ তালায়!

গোলাপের দাম গেছে বেড়ে
অনেকগুন আজ,
ভালোবাসা পার্কে পথে
সুবর্ণ সাজ।

বোধের ঘরে ভালোবাসা
সাজও মেলে
ঋদ্ধ তা হয় মন-ছোঁয়ায়
নকল ফেলে।

আমার তো হায় ভালোবাসা
লাগেই নিতি
বাঁচি না একদিনও বিনে
প্রেম ও প্রীতি।

--
ঢাকা
১৪/২/১৫




Friday, February 13, 2015

মেকি

ফাগুনে আজ সাজছে সবাই
রঙে
প্রকাশটা তার পাচ্ছি নানান
ঢঙে।

এতো সাজের মাঝেও কী যে
ধূসর
মাটি কাঁদে করুণ হয়ে
ঊষর।

তাল কেটে যায় সুর বাজে না
আর
কেউ ধারে না একটু মনের
ধার।

সব কি তবে পোশাকী আর
মেকি
দৃশ্যমানে আমড়া কাঠের
ঢেঁকি! 




Thursday, February 12, 2015

লাল-কাফনের অন্তরালে

নীহার শুভ্র শাড়ি পরে কাঙ্ক্ষিত প্রভাত আসে
ফাগুনের বিভাবরী পেরিয়ে
প্রশান্ত আমেজে
স্নিগ্ধতায়। 

কে জানতো এমন প্রভাতেও
লাশ হয়ে আসবে কোনো ভাই
তার বোনের আঙিনায় !

অথচ এসেছে...
বুকের রুধিরে স্নাত হয়ে
ধবধবে সাদা শার্ট তার
লেগে আছে গায়ে
লাল কাফন হয়ে।

আর হৃদয়ের দুর্লঙ্ঘ্য বাসনায় জয়ী হবার
দুর্জয় শপথ এখনো দীপ্তিমান তার অবয়বে।

যেনো বলতে চাচ্ছে--
"দেখো, তোমরা দেখে নিও
কাল প্রভাতে যে সূর্য আসবে
তার মুখে সত্যি থাকবে হাসি
বিজয়ের গৌরব
কণ্ঠ নিঃসৃত হবে- অ, আ, ক, খ।

আর আমি হাসবো
লালকাফনের অন্তরালে থেকেথেকে
হাসবো আমি।"
 --
 ০৫/০২/১৯৮৯

Wednesday, February 11, 2015

লিমেরিকঃ সাগর-রুনি


বলছে ডেকে আমায়  কাতর সাগর-রুনি
ও বাঙালি, কোথায় সেসব ঘৃণ্য খুনি?
মেঘ রবে কোন সে আশে
বাঁচবে ঘৃণা আর ত্রাসে !
দিন মাস বছর তিন যায়!- প্রহর গুনি!!
-
ঢাকা
১১/০২/২০১৫
সকাল ০৮ঃ৪২মিঃ

Sunday, February 8, 2015

সময়-চরিতঃ ভাষার প্রতি ভাসাভাসা ভালোবাসা


সময় চলে। চলে। ঘন্টা। দিন। মাস। বছর। সতত আবর্তনশীল সময়।  সময় সব সময় একই রকম থাকে না। কখনো মধুর।  কখনো অম্ল। আবার কখনো অম্ল-মধুর। সময়ের এই পথচলায় সময় আমাদের সঙ্গী করে নেয়। সময় পাল্টায়ও। সেই প্রাগৈতিহাসিক থেকে আধুনিক বা উত্তরাধুনিক। সময় ইতিহাস হয়ে থেকে যায়  তার ধরন-ধারণের মধ্যে। তবে সময়ের সবচেয়ে বড় যে গুণ, তা হলো সময় অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয়। এর বিপরীত ব্যাখ্যাও থাকতে পারে। কিন্তু Time is the best healer - এটা মন থেকে মেনে নিয়েই সময়ের হাতে আমরা অনেক কিছু সঁপে দিয়ে নিশ্চিত বা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সময়ের এই পরিভ্রমণে সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং স্বাভাবিকভাবেই ভাষাও পরিবর্তিত হয়। ভাষার নির্যাস ও প্রকাশভঙ্গিও পরিবর্তিত রূপ পরিগ্রহ করে। বঙ্কিম-আমলের ভাষা  এখন সাহিত্যে আর ব্যবহারিক পরিমণ্ডলে নেই। কিন্তু তার গুরুত্ব কোনো অংশে ফেলনা নয় মোটে।

জাতি হিসেবে ভাষা নিয়ে গর্ব করার স্বীকৃত অধিকার  আমাদের আছে। ভাষার জন্য ভালোবাসার যে পরাকাষ্টা আমরা দেখাতে পেরেছি তা এ বিশ্বে অতূল্য। আর সেজন্যই ভাষার সঠিক মূল্যায়ন, তার যথার্থ তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিশ্লেষণ ও ব্যবহার অনেকটা গুরুত্ব বহন করে। 

তবে দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো এই যে, আমাদের ভাষাকেন্দ্রিক আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য, অতিমন্তব্য, আতিশায্য - সবই ফেব্রুয়ারি ঘিরে। ফেব্রুয়ারি এলে আমরা বাঙালি হই। চেতনা নবায়ন হয়। দোষের কিছু নেই এতে। তবে ভাষার প্রতি ভালোবাসা সারা বছরজুড়েই থাকা উচিত। লক্ষ্য রাখা উচিত- সারাবছর ভাষার প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক প্রমিতকরণের দিকে। 

চোখ কান খোলা বা বন্ধ রেখেই বুঝা যায় বেশ - অদ্ভুত এক কালচারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। বেড়ে  উঠছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। আশপাশে একটু একটু খেয়াল করলেই শোনা যায় কিছু ভিন্ন ধারার সংলাপ ও সম্বোধন। এই যেমনঃ হাই মামা, জটিল হইছে মামা, মামা জোস, চরম লাগতাছে, অস্থির, পুরাই পাঙ্খা ... ইত্যাদি

শব্দগুলো সমস্যা নয়; বেখাপ্পা লাগে শব্দগুলোর ব্যবহার বা প্রয়োগিক প্রেক্ষিত। একজন বন্ধু অন্যজনকে সম্বোধন করছে  "মামা' বলে। একজন বন্ধু, যার সাথে মায়ের পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই- সে কীভাবে মামা হতে পারে জানি না। আর সেই বন্ধুর মাকে কী সম্বোধন তাও বুঝি না। শুধু তাই নয়, রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার, স্টাফ এমনকি অপরিচিত যেকোনো সম্বোধনে মামা শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে অবলীলায়। বয়েসভেদে ভাই, মামা, চাচা, দাদা যেকোনো সম্পর্কই হওয়া উচিত। শুধু মামা'র উপর এই জোর কেনো বুঝা মুশকিল।

আমার অবশ্য জানা নেই, একজন ছেলে তার মেয়েবন্ধুকে কী বলে সম্বোধন করে কিংবা একজন মেয়ে তার ছেলেবন্ধুকে মামা বলে ডাকে কিনা। অথবা, কোনো মেয়ে অন্য মেয়েকে মামা নাকি খালা নাকি অন্যকিছু বলে সম্বোধন করে।

তারপর,  কিছু শব্দের ব্যবহার ঠিক বিপরীত বলে মনে হয়। তারা বলে "মামা জটিল হইছে"। আমার বুঝতে দেরি হয়েছে যে, জটিল বলতে আসলে ভালো, দারুণ বা সুন্দর কিছু বুঝিয়েছে। অর্থ দাড়ালো- জটিল মানে Complex নয়। অথচ, অভিধানে জটিল শব্দের অর্থ করা আছে - "সমাধান করা বা উত্তর দেওয়া শক্ত এমন, কঠিন, গোলমেলে।"  ঠিক একই রকম অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে  চরম, অস্থির ইত্যাদি শব্দের। সব আমার জানা নেই।

উত্তরাধুনিক এ সময়ে, টেকনোলোজির ব্যাপক উন্নতির এ লগ্নে  ভাষার অন্য  এক ধরনের ব্যবহারও লক্ষ্যণীয়। অনেক উদাহরণে না গিয়ে শুধু উল্লেখ করছিঃ "মন চায়" একে লেখা হচ্ছে "মুঞ্চায়"। ভেবে দেখুন! এখানে কী ব্যবহারিক সুবিধা পাওয়া গেলো জানি না। এমন অনেক শব্দ আছে। যেমনঃ  - আওয়ামী লীগ কে বলা হচ্ছে - আম্লীগ আর বিএনপি কে বলা হচ্ছে বিম্পি। আমাকে মেরে ফেলো একে বচলছে "আম্রে মাইরালা" ইত্যাদি । প্রিয় বাংলা ভাষার এমন রূপান্তর প্রয়োজন আছে কি? থাকলে তা কী -- জানতে মন চায় (মুঞ্চায় নয়)। 

আমাদের সকলের জানা আছে, ভাষার একটি প্রমিত রূপ আছে । আমাদের লেখায়, আনুষ্ঠানিক কথায় প্রমিত রূপটি ব্যবহারই কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু সময়-তাল মেলাতে কী দেখতে পাচ্ছি?

কথোপোকথন বা নাটকের সংলাপে  শিক্ষিত চরিত্রে অভিনেতাও প্রমিত বাংলা ব্যবহার করছেন না। আমরা জানি, কাহিনীর প্রয়োজনে কোনো কোনো চরিত্র ভাষার আঞ্চলিক বা কথ্য রূপ অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যখন একজন শিক্ষিত চরিত্রের মুখে "ভালো হইছে/ আমি দ্যাখতাছি/ কী করতাছছ " টাইপের সংলাপ শুনি, তখন ভাষার প্রমিত রূপের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ হয় বৈকি।

আর এফএম কালচারের কথা না বলাই ভালো। কারণ, তাদের কথার স্টাইল লিখে প্রকাশ করা দায়। সব ভাষার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে হয়, বাংলা ভাষাকে তারা কোথায় নামাতে চান, তা বোধগম্য নয় মোটেও।  

বাংলা বানান নিয়ে অল্পশিক্ষিতজনের ভুল মেনে নিয়ে শুদ্ধ করার প্রয়াস নেয়া যায়। যেমনঃ কদিন আগে, আমার অফিসের ক্লিনার সুমি তার ছেলের নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদনে লিখলোঃ "আমার বর ছেলের ভর্তির জন্য টাকা দরকার।" আসলে সে বুঝাতে চেয়েছিলো- বড় ছেলে। কিন্তু শিক্ষিত ডিগ্রিধারীগণ যখন বাংলা বানানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন, তখন লজ্জা পাই কিঞ্চিৎ। 

আর ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষা নিয়ে, ভাষা সৈনিক নিয়ে মাত্রাতিরক্ততা যাচিত কি? ভাষাকে ভালোবেসে প্রতিক্ষণই আমাদের ভালোবাসতে হবে একে। ভাষার প্রতি ভালোবাসা ভাসাভাসা বা লোক দেখানো হলে তা হবে আত্মঘাতের সমান। 


শেষ করছি একটি লিমেরিক দিয়েঃ

ভাষার প্রতি ভালোবাসা উথলে পড়ে একুশ এলে,
বাংলা নামের হৃদ্য-পাখি রূপ ও রঙ্গিন পাখনা মেলে।
বর্ণমালার গান গেয়ে যায় 'দৈনিক'
বর্ষ-কদরে (!) সিক্ত ভাষা সৈনিক ,
ধন্য হতাম বছর জুড়ে এমন ভালোবাসা পেলে। 


আমরি বাংলা ভাষাঃ

ভাষার প্রতি ভালোবাসা
শুধু ফেব্রুয়ারিতে নয়,
প্রাত-সাঁঝে, মন ও মননে
বছর জুড়ে যেনো রয় ।।




বন্ধু ওরে

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার প্রিয় শার্টের বোতাম হবি?
সারাটিক্ষণ
এই বুকেতে ভালোবাসায় জড়িয়ে রবি।


বন্ধু ওরে
তুই কি আমার চোখের কোণের দৃষ্টি হবি?
তোরই তরে
জগৎ দেখে দৃষ্টিহারা হবে কবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার রাত্রিবেলার জ্যোৎস্না হবি?
তোকে মেখে
প্রাণ জুড়াবে,  মুগ্ধ হবে রোশনা সবি ।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার সকাল বেলার আকাশ হবি?
স্নিগ্ধতা তোর
হৃদয় ছুঁয়ে দৃষ্টি তোরণ ভরবে যবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার জানলা পাশের গাছটি হবি?
বাড়িয়ে দু'হাত
স্পর্শে তোরই সবুজপাতার অবুঝ ছবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার প্রিয় কবির কাব্য হবি?
তার দ্যোতনায়
ভালোবাসায় হৃদয় ভরে দ্রাব্য হবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার গল্পে আঁকা দীপটি হবি?
জ্বালবে আলো
খুব আদুরে সময়বিশেষ আবার ভবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার পদ্য লেখার নিপটি হবি?
তোর আঁচড়ে
স্বপ্ন-পৃথ্বী; নয়তো এটা গান আজগবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার দেশের ভূমি, ভাষা হবি?
তোর বুকেতে
বিছান আমার; মন-হৃদয়ের আশা হবি।

বন্ধু ওরে
তুই কি আমার হৃদয় বাড়ির রানী হবি
তোর বুকেরই
সৌরভেতে গলি আমি,  আমি দ্রবি।
--
ঢাকা
২০১৫০১২৭

Friday, February 6, 2015

জরুরি আবশ্যকঃ বোমারু চাই




আকর্ষণীয় বেতন
আনুসাঙ্গিক সমূহ-সুবিধাসহ
এক স্কোয়াড দক্ষ-প্রশিক্ষিত বোমারু আবশ্যক
বয়েস বাধা নয় কোনো;
অশীতিপরও আবেদনের রাখেন যোগ্যতা  
কোয়ান্টাম-গুরু
মেডিটেশন-বিশেষজ্ঞ
কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
ঝগড়াটে কিংবা প্রত্যুৎপন্নমতি টকবার্ডঁও আসতে পারেন
ওয়াক-ইন-ইন্টারভিউ
স্পট এডমিশন।

চৌদ্দ শ’ চল্লিশ মিনিট শূন্য সেকেণ্ড
বিরামহীন ব্রেইন- স্টরমিং
হবে নির্বাচিতদের প্রবেশনারি পিরিয়ড। 
মিশনঃ হীলিং পীস বম্ব
না,
শুধু আর্টিকেল ২২ নয়;
সরাসরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এ বোমার
সাফোকেটেড হবে নির্ঘাত –
হৃদয়হীনতা
ক্ষমতালোভ
লালসা
হিংসা
দ্বেষ
পরচর্চা
ছিদ্রান্বেষণ
মোসাহেবী বাগাড়ম্বতা
মিথ্যার হাওয়াই মিঠাই
নিঃশ্বাসহীন অসহ্য তড়পাবে প্রাণান্ত
নিথর  হবে
পাথর হবে
হবে ভস্ম বা মাটি
--- বার্ন ইউনিট বা আইস ইউনিট ব্যর্থ সেখানে সতত।

মানবীয় নিঃশ্বাসে ভালোবাসা
সমবেদনা
বোধের নাগরদোলা
মায়া মমতার স্নিগ্ধ সরোবর
আহা, হীলিং পীস বোমার ইনগ্রেডিয়েন্ট বাংলা মায়ের প্রান্তরে পরতে
চৌদ্দ শ’ বাইশটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত প্রাইভেট অপারেটরস থেকে
বৈমানিক হারনেসড
অপেক্ষায় স্ক্রাম্বল-এর শুধু।

জরুরি আবশ্যক
চাই শান্তি-বোমারু স্মার্ট স্কোয়াড একটি
শ্বাপদে চাই না ভূমি
আপদে চাই না ভূমি
আ-পদে চাই না ভূমি
চাই না বিপদে

শান্তি ছুঁয়েছুঁয়ে যাবে আমার মা-পদে।
এক স্কোয়াড দক্ষ-প্রশিক্ষিত বোমারু আবশ্যক।
--
ঢাকা
২০১৫০২০৬



Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়