রাতের বেলার বৈশাখী
পাবি কোথায় ওই সখি!
বেহাগ কিবা ভৈরবী
মন আঙিনায় তুই রবি।
Sunday, December 31, 2017
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে দৈনিক ৫ অভ্যাস
আপনার কি কখনো মনে হয়েছে, আপনার প্রডাক্টিভিটি লেভেল কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই। সপ্তাহ শেষে এই ভাবনা কি আসে মনেঃ আহা, আরো ভালো করা যেতো? আরো বেশি কিছু করা যেতো?
দিনে ৫টি অভ্যাস আপনার উৎপাদনশীলতা (প্রডাক্টিভিটি) অনেকাংশে দিতে পারে বাড়িয়ে। চলুন তবে দেখে নিইঃ
(১) ঘুমের দিকে দৃষ্টি রাখুনঃ ঘুম আপনার উৎপাদনশীলতার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আপনার স্লীপ সাইকেল বা ঘুম চক্রকে এডজাস্ট করে নিন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম আপনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে অনেকগুণ।
(২) কাজের গুরুত্ব নিরূপণ ক্রুনঃ সারাদিনের মধ্যে কোন কাজটি সবচেয়ে গ্রুত্বপূর্ণ আর কোনটি কম- তা নির্নয় করুন। এভাবে কাজের/প্রজেক্টের প্রায়োরিটি ঠিক করে কাজ করলে আপনার কোনো কাজই দিন শেষে আর বাদ পড়ে থাকবে না।
(৩) নূতন কিছু চেষ্টা করুনঃ প্রতিদিন নূতন কিছু করার চেষ্টা করুন। অথবা, আগের কাজকে নূতন ভাবে করার। দেখবেন, ছোট্ট কোনো উপায় বা ট্রিক আপনার কর্মস্পৃহাকে অনেক এগিয়ে দিচ্ছে। আপনি হতে পারছেন আরো উৎপাদনশীল।
(৪) স্থির বসে থাকবেন নাঃ অনেকক্ষণ একনাগাড়ে বসে কাজ করবেন না। প্রতি ঘন্টায় কয়েক মিনিট ব্যয় করুন- উঠে দাঁড়ানো, হাঁটা আর হাতপা নাড়াচাড়া করায়। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার প্রডাক্টিভিটি লেভেল অনেক বেড়ে যাবে। আপনি সুস্থও থাকবেন।
(৫) জার্নাল রাখুনঃ দিন শেষে একটু নোট করুন- সারাদিন কী করলেন। কীভাবে করলে আরো ভালো করা যায়। নিজেকে নিজে এডভাইস করুন। বাড়িয়ে নিন নিজের যোগ্যতা আর উৎপাদনশীলতা।
~
HUFFPOST -এ প্রকাশিত একটি আর্টিকেলের ভাবানুবাদ।
Sunday, December 24, 2017
আর্টিফিশাল ইন্টিলিজেন্স, বিগডাটা এবং আমাদের বিগ ভাবনা
টেকনোলজির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। প্রতিদিন। প্রতিমুহূর্তে। উন্নয়নও কখনো কখনো কারো কারো জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। উন্নয়নের সাথে তাল মেলানো কঠিন হলে তো কথাই নেই।
বছরের শেষের দিকে, বেশি আলোচিত হচ্ছে বিগ ডাটা ও আর্টিফিশাল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে। বলা হচ্ছেঃ আর্টিফিশাল ইন্টিলিজেন্স (এ আই) ও রোবটিক সায়েন্সের প্রসারের ফলে অনেক গ্রুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেলতে পারবে এ আই রোবট। ফলে বিশ্বে অনেক পেশার মানুষ হয়ে পড়বে বেকার।
এ বিষয়ে কে কী ভাবছেন?
কোন কোন পেশা বেশি হুমকির মুখে?
কীভাবে দ্রুত অভিযোজিত হওয়া যায় এই পরিবর্তনের সাথে?
Monday, December 18, 2017
দুঃখের নারী
দুঃখের নারী
~~~~~~~~~~~
দুঃখগুলো বেতার হয়
দুঃখে বলো কে তার হয়?
দুঃখের দুয়ার, ভেতর বাড়ি
দুঃখের ভেলায় জীবন পাড়ি।
নারী, তুমি দুঃখের নারী।।
~
#অণুঅনুভব
২০১৭১২১৮/০৩০২
Sunday, November 19, 2017
Monday, November 13, 2017
জোকার এবং মানুষনেতা
তুমি বেটে তুমি বুড়ো
এসব বিষয় মূখ্য নয়,
নেতার ছায়ায় তোমরা জোকার
এটা দেখেই দুঃখ হয়।
তোমরা খেলো বিশ্ব নিয়ে
শিশুসুলভ স্বভাবে,
মানবতা কেঁদে মরে
মানুষ-নেতার অভাবে।
তোমরা কেবল বড়াই করো
নিজেই 'সেরা' দেখাতে,
শান্তি-তরে লড়াই করে
একটু যদি দেখাতে।
~
#অণুঅনুভব
Sunday, November 12, 2017
পদত্যাগ | কারণ- ব্যক্তিগত
পদত্যাগ। কখনো সুখের। কখনো কষ্টের। একাধিক প্রাইভেট কোম্পানিতে এইচ আর ডিপার্ট্মেন্টে অনেকদিন কাজ করার সুবাদে পদত্যাগ নিয়ে এমন কিছু স্মৃতি আছে আমার, যা সুখোৎপাদক নয় মোটেও। কিন্তু আমি স্পেসিফিক করে না বলে পদত্যাগের ঘটনাগুলোকে জেনারেলাইজ করছি। কারণ, আমাদের দেশে অনেক কোম্পানিতেই এমনটি হয়ে থাকে।
পদত্যাগের দৃশ্যপটগুলো অনেক সময় (সধারণত) এমন হয়ঃ
সিনারিও-১
(১) টপ ম্যাজেনমেন্ট এইচ আর হেডের সাথে একটা ক্লোজড ডোর মিটিং করেন।
(২) এইচ আর হেড তাঁর রুমে এসে একজন এমপ্লয়ীকে ডেকে পাঠান। এখানেও একটা ক্লোজড ডোর মিটিং হয়।
(৩) মিটিং শেষে সেদিনই বা দু একদিনের মধ্যে উক্ত এমপ্লয়ী একটা পদত্যাগপত্র সাবমিট করেন এবং তা দ্রুত গৃহীত বলে বেবেচিত হয়। উল্লেখ্য, পদত্যাগের কারণ- ব্যক্তিগত!
(৪) এইচ আর থেকে পদত্যাগের বিষয়টি একটা নোটিস সার্ভ করা হয়।
সবাই জানেন, উক্ত স্টাফ ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। সবাই বুঝেন, ঘটনাটা অন্য। নিজের কথা ভেবে তাঁরা কিছুটা ভীতও হন। কেউ কিছু বলেন না। একটা জব, ওই পদত্যাগী (!) স্টাফের কাছে যে কতো বড়, তা সেই ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝতে পারেন না। ভেতরের হাহাকার তো কেউই দেখতে পান না।
সিনারিও-২
(১) এরই মাঝে আবার অন্য ঘটনাও একদু'টি ঘটে - এসব দেখে অন্যরা জব সিকিরিটি নিয়ে আতঙ্কিত হন।
(২) সত্যিসত্যি কেউ পদত্যাগপত্র দিয়ে বসেন। তিনি নিশ্চয়ই ভালো কোনো জব পেয়েছেন। কারণ অবশ্য ব্যক্তিগতই উল্লেখ করেন।
(৩) টপ ম্যাজেনমেন্ট ও এইচ আর হেড এই পদত্যাগী স্টাফকে নিয়ে ক্লোজড ডোর মিটিং করেন। এবার কিন্তু রাখার জন্য। হয়তো এই স্টাফ কোম্পানির জন্য অপরিহার্য ছিলেন (তাঁদের মতে)।
(৪) ম্যাজেনমেন্টের অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।
টু কনক্লুডঃ সব ব্যক্তিগত আসলে ব্যক্তিগত নয়।
পদত্যাগের দৃশ্যপটগুলো অনেক সময় (সধারণত) এমন হয়ঃ
সিনারিও-১
(১) টপ ম্যাজেনমেন্ট এইচ আর হেডের সাথে একটা ক্লোজড ডোর মিটিং করেন।
(২) এইচ আর হেড তাঁর রুমে এসে একজন এমপ্লয়ীকে ডেকে পাঠান। এখানেও একটা ক্লোজড ডোর মিটিং হয়।
(৩) মিটিং শেষে সেদিনই বা দু একদিনের মধ্যে উক্ত এমপ্লয়ী একটা পদত্যাগপত্র সাবমিট করেন এবং তা দ্রুত গৃহীত বলে বেবেচিত হয়। উল্লেখ্য, পদত্যাগের কারণ- ব্যক্তিগত!
(৪) এইচ আর থেকে পদত্যাগের বিষয়টি একটা নোটিস সার্ভ করা হয়।
সবাই জানেন, উক্ত স্টাফ ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। সবাই বুঝেন, ঘটনাটা অন্য। নিজের কথা ভেবে তাঁরা কিছুটা ভীতও হন। কেউ কিছু বলেন না। একটা জব, ওই পদত্যাগী (!) স্টাফের কাছে যে কতো বড়, তা সেই ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝতে পারেন না। ভেতরের হাহাকার তো কেউই দেখতে পান না।
সিনারিও-২
(১) এরই মাঝে আবার অন্য ঘটনাও একদু'টি ঘটে - এসব দেখে অন্যরা জব সিকিরিটি নিয়ে আতঙ্কিত হন।
(২) সত্যিসত্যি কেউ পদত্যাগপত্র দিয়ে বসেন। তিনি নিশ্চয়ই ভালো কোনো জব পেয়েছেন। কারণ অবশ্য ব্যক্তিগতই উল্লেখ করেন।
(৩) টপ ম্যাজেনমেন্ট ও এইচ আর হেড এই পদত্যাগী স্টাফকে নিয়ে ক্লোজড ডোর মিটিং করেন। এবার কিন্তু রাখার জন্য। হয়তো এই স্টাফ কোম্পানির জন্য অপরিহার্য ছিলেন (তাঁদের মতে)।
(৪) ম্যাজেনমেন্টের অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।
টু কনক্লুডঃ সব ব্যক্তিগত আসলে ব্যক্তিগত নয়।
Saturday, November 11, 2017
প্রশ্নফাঁস নাকি মেধা ও মূল্যবোধের ফাঁস
স্কুলে আমাদের বাংলা পড়াতেন সিরাজ কাকু। স্কুলে স্যারই বলতাম। তখন সম্ভবত সেভেনে পড়ি। সিরাজ কাকু আব্বার সাথে কথা বলছেন কোনো এক সন্ধ্যায়। এস এস সি পরীক্ষায় শ্রীপুর সেন্টারে কতো জন যেনো নকল করার জন্য এক্সপেলড হয়েছে। আমার মনে আছে, আমি জিজ্ঞেস করেছিলামঃ"কাকু, নকল কী?" সিরাজ কাকু হেসে জবাব দিয়েছিলেনঃ "বাবা, এটা এখন না জানলেও চলবে।"
পরে অবশ্য নকলের মানে জেনেছি। আমাদের সময়েও কেউ কেউ নকল করতো পরীক্ষায়। বিভিন্ন এবং নূতন নূতন হাস্যকর কায়দায়। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা কখনো শুনিনি। একটা কথা পরিস্কার- নকল করে ছাত্ররা আর প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকে বড়রা। শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
গত কয়েক বছর ধরে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা যেনো অপরিহার্য অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। কী পাবলিক পরীক্ষা, কী চাকুরির ইন্টারভিউ, কী এডমিশন টেস্ট- সর্বত্র। আমাকে সবচেয়ে ব্যথিত করে, কোমলমতি ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায়ও এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটছে। যাদের পর্যায়ে কোনো পরীক্ষা থাকাই বাঞ্চিত নয়; সেই পিএসসি - জেএসসি পরীক্ষায়েও প্রশ্নফাঁস।
প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে আর বরাবরই তা অস্বীকার করা হচ্ছে। পরের আরো বেশিই হচ্ছে। আর যেসকল অভিভাবক নিজের সন্তানের হাতে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন তোলে দিচ্ছেন বা সহযোগিতা/ সমর্থন করছেন- তাঁদেরকে ঘৃণা জানানোর ভাষা জানা নেই।
মাঝেমধ্যে মনে হয়- পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ওপর নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর ভূতের আছড় হয়েছে। নইলে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যাচ্ছে না কেনো? জানতাম, ভূত মানুষের ঘাড় ভেঙে দেয়। এবার কি ভূত জাতির মেরুদণ্ড ভাঙার পাঁয়তারা করছে?
প্রশ্নফাঁস জাতির মূলত তিনটি বিষয়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলছেঃ
- জাতির মেধা পঙ্গুত্ব বরণ করছে
- প্রজন্মের চারিত্রিক দৃঢ়তা নষ্ট হচ্ছে
- মুল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে।
প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমার কয়েকটি টুকরো লেখা তুলে ধরছিঃ
(১)
প্রশ্ন শুধু ফাঁস হয়ে যায়
দাস হয়ে যায় পড়া,
সনদ জোটে বড়ো বড়ো
জ্ঞানই কেবল ধরা।
(২)
প্রশ্নফাঁস-এর কোনো প্রশ্নই উঠে না
এ সংক্রান্ত অভিযোগ সত্য মোটে না
শুধু সেলফোন কিবা নেটে
প্রশ্ন বেড়ায় হেটে.....
শিক্ষার সত্যি মানটাই শুধু ভাগ্যে জোটে না।
(৩)
এ সংক্রান্ত অভিযোগ সত্য মোটে না
শুধু সেলফোন কিবা নেটে
প্রশ্ন বেড়ায় হেটে.....
শিক্ষার সত্যি মানটাই শুধু ভাগ্যে জোটে না।
(৩)
পূর্বরাতে এসএমএস ফেসবুকে প্রশ্ন মেলে যথাতথা!
এ ক্যামন তরো ফাঁস !!
জাতির আগাম সর্বনাশ।
জিপিএ রেকর্ড লক্ষ্য শুধু(!), নেই আর কোনো মাথাব্যথা!
আসুন এগিয়ে। বন্ধ করুন এই প্রবণতা। রক্ষা করুন জাতিতে করুণ পরিণতি থেকে।
~
সোহেল আহমেদ পরান
নভেম্বর ১১, ২০১৭
Thursday, November 9, 2017
অণু অনুভব
সাধুসন্ত নইতো আমি
আমি অতি সাধারণ,
ভুল ও পাপে পরান ভরা
আরো আছে বাঁধা রণ।
~
#অণুঅনুভব #পরানেরকথা
২০১৭১১০৯/১৯১৩
আমি অতি সাধারণ,
ভুল ও পাপে পরান ভরা
আরো আছে বাঁধা রণ।
~
#অণুঅনুভব #পরানেরকথা
২০১৭১১০৯/১৯১৩
Tuesday, November 7, 2017
জীবন
জীবন কোনো চাঁদ তারা নয়
জীবন সাতান্ন ধারা নয়
জীবন দুমুঠো ভাত,
জীবন প্রহর পথেই কাঁদে
জীবন সেথায় যে ঘর বাঁধে
জীবন কঠোর দু'ঘাত!
~
২০১৭১১০৭/০৪২৭
Sunday, November 5, 2017
শেখার জন্য গঠনমূলক মন্তব্য/সমালোচনা
(১) আমাদের মধ্যে কেউ কম জানি; কেউ একটু বেশি জানেন। আমরা কেউই কিন্তু সবজান্তা নই। অনলাইন/ ফ্রিল্যান্সিং এক বিশাল জগত। সবজান্তা হওয়া এখানে প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া, এ জগতের সবকিছু দ্রুত পরিবর্তনশীল। আজ যা আছে কাল দেখা যাবে তা নেই। তাই প্রতিদিন শিখতে হয়।
(২) শেখার জন্য কেউ 'শূন্য' থেকে শুরু করে। কেউবা বেসিক-জ্ঞান নিয়ে।
(৩) নতুন কিছু শেখার জন্য তাই পারস্পারিক আলোচনা/অংশগ্রহণ/মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সেই আলোচনা বা মন্তব্য হতে হয় গঠনমূলক। একজন যা জানেন, তা শেয়ার করলে অন্য যেজন জানেন না, তিনি জানতে পারেন।
(৪) মাঝেমধ্যে কিছু আনাড়ি প্রশ্নে অনেককেই ব্যঙ্গ করতে দেখা যায় গ্রুপে। এমন হাস্যরসাত্মক মন্তব্যগুলো হতাশাজনক। যিনি এমন পোস্ট দিন, হয়তো বিষয়টি ক্লিয়ারলি জানেন না। নিশ্চয়ই হাসির পাত্র হতে নয়। একে অন্যকে সহায়তা করলে কি ভালো হয় না?
(৫) তবে যারা প্রশ্ন করবেন তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগে প্রশ্ন করতে শেখা। এটা মনে রাখলে নিজে নিজেই অনেকটা শেখা হয়ে যায়। আর বাকিটা পূর্ণতা পায় গ্রুপ ডিসকাশনে।
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
~~
|| Start where you are. Use what you have. Do what you can.
- Arther Ashe ||
Monday, October 30, 2017
Tuesday, October 17, 2017
কঠিন ছিলো সিদ্ধান্ত | চাকরি কি কেউ ছাড়ে? (পর্ব-২)
আমার ফর্মাল চাকরি ছাড়ার দুবছর পূর্ণ হবে আগামি মাসে। আমি "পূর্ণ" শব্দটাই ব্যবহার করলাম। কারণ, এই দুই বছরকে একেবারে শূন্য হতে দেইনি আমি। অনেকদিন চাকরি করেছি। সেই কৈশোর না-পেরোনো সময় থেকেই।
দীর্ঘ চাকরি জীবনের ইতি টেনে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিলো। খুবই কঠিন। কারণ চাকরি আমার সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। আর পজিশনটাও মোটামুটি সম্মানজনকই ছিলো। একটা প্রাইভেট গ্রুপে হেড অব এইচ আর অ্যান্ড এডমিন।
জব এবং এথিকস নিয়ে আমি একটি উক্তি অনুসরণ করতে চেষ্টা করেছি বরাবরঃ "If you come down to your ethics vs a job, choose ethics. You can always find another job."
যাহোক, ছেড়েই দিলাম সেটা। মানসম্মান - সেতো উপরওয়ালার হাতে। জব বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং-এ আসাটাকে অনেকে বোকামি বলেছে। অনেকে আড়ালে হেসেছে। আর যারা অন্যের বিপদ দেখে খুশী হয়, তারা যারপরনাই আত্মতৃপ্তি লাভ করেছে। আমি নিশ্চিত কেউ কেউ খুশী হয়েছিলো।
যাহোক ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলাম। শূন্য থেকেই। অনেক ভালো, মন্দ, মিষ্টি, তেঁতো অভিজ্ঞতা আছে এখানেও। সবখানেই থাকে। এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর উৎসাহে মারকেটপ্লেস ওডেস্কে (পরবর্তীতে আপওয়ার্ক) একাউন্ট একাউন্টটি অনেক আগে করা থাকলেও, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের বয়স দুবছর পুরো হচ্ছে এখন।
প্রোফাইল
আর আজ প্রোফাইল চেক করতে গিয়ে দেখিঃ ৫০০০ ঘন্টা কাজ হয়ে গেছে। এর বাইরেও ফিক্সড কন্ট্রাক্টেও কাজ করেছি বেশ কিছু। সব মিলিয়ে ৬৩ টি কন্ট্রাক্ট কমপ্লিট করতে পেরেছি। জব সাকসেস রেটঃ ১০০%। কৃতজ্ঞ আল্লাহর কাছে।
কিছু ফিক্সড কন্ট্রাক্ট জব করার পর যখন প্রথম আওয়ার্লি জব পাই, তখন খুব ভালো লেগেছিলো। এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা করে যখন ১০০ ঘন্টা হলো তখনও এক্সাইটেড ফিল করেছি।
কিছু ফিক্সড কন্ট্রাক্ট জব করার পর যখন প্রথম আওয়ার্লি জব পাই, তখন খুব ভালো লেগেছিলো। এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা করে যখন ১০০ ঘন্টা হলো তখনও এক্সাইটেড ফিল করেছি।
দুই বছরের ফ্রিল্যান্সিং গল্প
গত দুইবছরের গল্পটা খুব সহজ ছিলো না। বিশেষ করে প্রথম বছরের। আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছি। আমি হতাশ হইনি। শেখার অদম্য ইচ্ছেয় আর কাজের প্রতি ডেডিকেশনের ফলে দুতিন মাসের মাথায় আমি "টপ-রেটেড" হই।
শুরু করেছিলাম, রাইটার হিসেবে। আর এখন মেইনলি এসইও, রিসার্চ, এইচ আর এবং কন্সাল্টেন্সি করছি।
কিছু প্রাপ্তিঃ
প্রাপ্তি বিষয়টি আমার কাছে টাকা পয়সার চেয়ে বেশি কিছু।
- পরপর দুবার টপরেটেড ফ্রিল্যান্সারদের মিটআপ "আপওয়ার্ক হাডল ঢাকা" হোস্ট করার সুযোগ পেয়েছি।
- ফ্রিল্যান্সিং-এ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অনেক ভালো ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি। এগুলো আমার কাছে মহামূল্যবান।
Shohel was excellent to work with and provided a very detailed and helpful SEO audit. I would recommend him very, very highly.
He defines the word Professional!
Shohel is very professional, timely and has good understanding and attention to detail. I highly recommend his services.
Shohel is clearly an SEO expert. Excellent communicator and very thorough with his work. I will absolutely use his services again.
Shohel is wonderful to work with. He has very good knowledge about web content and writing for SEO. I will work with him again.
Absolutely fantastic to work with. He is honest, fast , professional, detail oriented and a true pleasure to work with. I will absolutely hire him again.
Excellent work. He really knows what he is doing.
Shohel does a great job writing for the web using the Yoast guidelines.
Good job Shohel, your hard work is an inspiration to us all. We appreciate your efforts during this spike in business.
আবার বলতে হচ্ছেঃ চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিলো; কিন্তু ভুল ছিলো না ।
তবে একটা কথা- ইভেন ফ্রীল্যান্সার্স আর নট ফ্রী। প্রত্যয়, ডেডিকেশন, ইন্টেগ্রিটি, ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন আর শেখার আগ্রহ নিয়ে যেতে পারে সামনে।
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
~
[২০১৭১০১৭/১৮২১]
#Freelancing #Upwork #TopRated
[২০১৭১০১৭/১৮২১]
#Freelancing #Upwork #TopRated
Monday, October 16, 2017
লিমেরিকঃ 2441139
2441139 আজ বিকল
বোধের গলায় চেপে ধরা শিকল।
বেলা বোস আর নেই
আবেগে ধার নেই
যায় না বোঝা কে যে নাড়ে কী কল!
~
#অণুঅনুভব
২০১৭১০১৬/০৯১৭
বোধের গলায় চেপে ধরা শিকল।
বেলা বোস আর নেই
আবেগে ধার নেই
যায় না বোঝা কে যে নাড়ে কী কল!
~
#অণুঅনুভব
২০১৭১০১৬/০৯১৭
Saturday, October 14, 2017
কঠিন ছিলো সিদ্ধান্ত | চাকরি কি কেউ ছাড়ে?
গতকাল আমার ফর্মাল চাকরি ছাড়ার একবছর পূর্ণ হলো। আমি "পূর্ণ" শব্দটাই ব্যবহার করলাম। কারণ, এই এক বছরকে একেবারে শূন্য হতে দেইনি আমি। অনেকদিন চাকরি করেছি। সেই কৈশোর না-পেরোনো সময় থেকেই। দীর্ঘ চাকরি জীবনের ইতি টেনে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিলো। খুবই কঠিন। কারণ চাকরি আমার সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো।
আর পজিশনটাও মোটামুটি সম্মানজনকই ছিলো। একটা প্রাইভেট গ্রুপে হেড অব এইচ আর অ্যান্ড এডমিন। যাহোক, ছেড়েই দিলাম সেটা। মানসম্মান - সেতো উপরওয়ালার হাতে। জব বাদ দিয়ে ফ্রীল্যান্সিং-এ আসাটাকে অনেকে বোকামি বলেছে। অনেকে আড়ালে হেসেছে। আর যারা অন্যের বিপদ দেখে খুশী হয়, তারা যারপরনাই আত্মতৃপ্তি লাভ করেছে।
যাহোক ফ্রীল্যান্সিং শুরু করলাম। শূন্য থেকেই। অনেক ভালো, মন্দ, মিষ্টি, তেঁতো অভিজ্ঞতা আছে এখানেও। সবখানেই থাকে। আমার একাউন্টটি অনেক আগে করা থাকলেও, ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজের বয়স গতকালই এক বছর পুরো হলো। আর আজ সকালে প্রোফাইল চেক করতে গিয়ে দেখিঃ ২০০০ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। এর বাইরেই ফিক্সড কন্টাক্টেও কাজ করেছি বেশ কিছু। সব মিলিয়ে ৪৪ টি কন্ট্রাক্ট কমপ্লিট করতে পেরেছি। জব সাকসেস রেটঃ ১০০%। কৃতজ্ঞ আল্লাহর কাছে।
গত এক বছরের গল্পটা খুব সহজ ছিলো না। আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছি। আমি হতাশ হইনি। শেখার অদম্য ইচ্ছেয় আর কাজের প্রতি ডেডিকেশনের ফলে সম্ভবত দুমাসের মাথায় আমি "টপ-রেটেড" হই।
শুরু করেছিলাম, রাইটার হিসেবে। আর এখন মেইনলি এসইও করছি। সাথে এসইও রাইটিং এন্ড রিসার্চ । আমার ক্লায়েন্ট ফিডব্যাকও বেশ ভালো। আবার বলতে হচ্ছেঃ চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিলো; কিন্তু ভুল ছিলো না ।
তবে একটা কথা- ইভেন ফ্রীল্যান্সার্স আর নট ফ্রী। প্রত্যয়, ডেডিকেশন, ইন্টেগ্রিটি, ইফেক্টিভ কমিউনিকেশন আর শেখার আগ্রহ নিয়ে যেতে পারে সামনে।
~
[২০১৬১১২৫/১০৪২]
Friday, October 6, 2017
Tuesday, October 3, 2017
আকাশের মন
প্রত্যুষের আকাশ দেখে
বলে দিতে পারি আমি
আকাশের ঈশান বাড়িটার মন খারাপ আজ
উৎসব-রাঙানো দখিনা
আর উত্তরটা আজ খুব মেজাজে আছে।
এতোদিন আকাশ দেখে দেখে
আমি পড়তে পারি আজ
আকাশের মন।
Monday, October 2, 2017
Sunday, October 1, 2017
Saturday, September 30, 2017
ফ্রিল্যান্সিং টিপস (পর্ব ৬) | প্রোফাইল এপ্রোভাল কি কঠিন কিংবা জরুরি?
"আমার প্রোফাইল এপ্রোভ হচ্ছে না।"
এবং
"আমার প্রোফাইল সাসপেন্ড করে দিয়েছে।"
- এই দুটি হলো সবচেয়ে বেশি দেখা সমস্যা। নতুন ফ্রিল্যান্সারগণ এই সমস্যা দুটি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই সুযোগে কিছু চতুর লোক প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। প্রোফাইল বিক্রির অফার দিচ্ছে। অনেকেই হয়তো সেসব ফাঁদে ধরাও দিচ্ছেন।
আমার সত্যি অবাক লাগে, হাসি পায় এবং রাগ লাগে। কী করে প্রোফাইল কেনাবেচা করা যায়? কীভাবে অন্যের প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়া যায়। ওখানে তো ঘুষের কোনো ব্যাপার নেই বলেই জানি। নেই স্বজনপ্রীতি।
আচ্ছা প্রোফাইল এপ্রোভাল কি খুবই কঠিন? খুব জরুরি?
অভিজ্ঞতা থেকে বলছিঃ ফ্রিল্যান্সিং করি - এ কথা শোনে অনেককেই বলতে শুনেছিঃ "ও ডিজাইন টিজান করেন, তাই তো?"
এর মানে হলো- ফ্রিল্যান্সিং-এর জেনারেল পারসেপশন (আমাদের সমাজে) ডিজাইন বা এই সম্পর্কিত কাজ। আর বাস্তবতাও তাই। আমাদের নতুনদের প্রোফাইল কেনো এপ্রোভ হচ্ছে না- ভেবে দেখেছেন?
-প্রধান কারণ- মার্কেট ডিমান্ডের তুলনায় একই স্কিলের প্রোফাইল রিকুয়েস্ট এখান থেকে বেশি যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে বাঙালি হুজুগের জন্য। একই কারণে একাউন্টগুলো সাসপেন্ডও হচ্ছে।
প্রোফাইল এপ্রোভাল মোটেও কঠিন কাজ নয়। আর প্রোফাইল সাসপেন্ডও এতো সহজ হবার কথা নয়। একটা বিষয় আপনাকে বুঝতে হবেঃ যতো ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কে আসবে তত তাঁদের লাভ। এটা তাঁদের ব্যবসা।
তাহলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা আমাদের নিজেদের মাঝেই। আমরা নিজেরা জানি না নিজেরা কী চাই। নিজেরা জানি না সত্যি আমরা কী করতে পারি। আমার স্কিলসেট কী? আমি কী অফার করবো? এমনি এমনি কি কেউ আমাকে হায়ার করবে?
কী করণীয়?
এখানেই শেষ নয়; প্রতিদিন আপনাকে শিখতে হবে। কারণ ভালোর পর আরো ভালো এবং উত্তম অপেক্ষা করছে।
এটা একটু দেখে নিন; কাউকে অনুৎসাহিত করার জন্য নয়। বাস্তব অবস্থাটা বোঝাবার জন্য।
একটা ছিলো গোপন কথা বলার
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।
খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।
যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।
মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।
নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"
বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।
মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!
ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
~~
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
***
সোআপ
২০১৭০৯৩০/১৮১৮
এবং
"আমার প্রোফাইল সাসপেন্ড করে দিয়েছে।"
- এই দুটি হলো সবচেয়ে বেশি দেখা সমস্যা। নতুন ফ্রিল্যান্সারগণ এই সমস্যা দুটি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই সুযোগে কিছু চতুর লোক প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। প্রোফাইল বিক্রির অফার দিচ্ছে। অনেকেই হয়তো সেসব ফাঁদে ধরাও দিচ্ছেন।
আমার সত্যি অবাক লাগে, হাসি পায় এবং রাগ লাগে। কী করে প্রোফাইল কেনাবেচা করা যায়? কীভাবে অন্যের প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়া যায়। ওখানে তো ঘুষের কোনো ব্যাপার নেই বলেই জানি। নেই স্বজনপ্রীতি।
আচ্ছা প্রোফাইল এপ্রোভাল কি খুবই কঠিন? খুব জরুরি?
অভিজ্ঞতা থেকে বলছিঃ ফ্রিল্যান্সিং করি - এ কথা শোনে অনেককেই বলতে শুনেছিঃ "ও ডিজাইন টিজান করেন, তাই তো?"
এর মানে হলো- ফ্রিল্যান্সিং-এর জেনারেল পারসেপশন (আমাদের সমাজে) ডিজাইন বা এই সম্পর্কিত কাজ। আর বাস্তবতাও তাই। আমাদের নতুনদের প্রোফাইল কেনো এপ্রোভ হচ্ছে না- ভেবে দেখেছেন?
-প্রধান কারণ- মার্কেট ডিমান্ডের তুলনায় একই স্কিলের প্রোফাইল রিকুয়েস্ট এখান থেকে বেশি যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে বাঙালি হুজুগের জন্য। একই কারণে একাউন্টগুলো সাসপেন্ডও হচ্ছে।
প্রোফাইল এপ্রোভাল মোটেও কঠিন কাজ নয়। আর প্রোফাইল সাসপেন্ডও এতো সহজ হবার কথা নয়। একটা বিষয় আপনাকে বুঝতে হবেঃ যতো ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কে আসবে তত তাঁদের লাভ। এটা তাঁদের ব্যবসা।
তাহলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা আমাদের নিজেদের মাঝেই। আমরা নিজেরা জানি না নিজেরা কী চাই। নিজেরা জানি না সত্যি আমরা কী করতে পারি। আমার স্কিলসেট কী? আমি কী অফার করবো? এমনি এমনি কি কেউ আমাকে হায়ার করবে?
কী করণীয়?
- সেলফ এসেসমেন্ট- আমি নিজে কী জানি এবং কী শিখতে পারবো?
- আমার প্যাশন কী? প্যাশনেট হলেই ভালো করা সম্ভব।
- মার্কেট এনালিসিস- কোন স্কিলের মার্কেট ডিমান্ড ভালো? কোনটা জ্যামে আটকা!
- মার্কেট ডিম্যান্ড আছে এবং আপনি পারবেন - এমন একটি স্কিল সিলেক্ট করুন।
- শিখুন
- শিখুন
- শিশুন
- কনফিডেন্স লেভেল এবার নিশচয়ই খুব ভালো হবে।
এখানেই শেষ নয়; প্রতিদিন আপনাকে শিখতে হবে। কারণ ভালোর পর আরো ভালো এবং উত্তম অপেক্ষা করছে।
এটা একটু দেখে নিন; কাউকে অনুৎসাহিত করার জন্য নয়। বাস্তব অবস্থাটা বোঝাবার জন্য।
উড়ছে ডলার ধরো
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।
খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।
যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।
মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।
নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"
বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।
মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!
ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
~~
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
***
সোআপ
২০১৭০৯৩০/১৮১৮
Sunday, September 24, 2017
আপওয়ার্কে ডিসপিউটঃ কী করবেন? কীভাবে?
অনেক ভালো কাজ করলেও কখনোসখনো আপনি পড়ে যেতে পারেন অনভিপ্রেত ঝামেলায়। নিজে পেশাদারিত্ব ধরে রাখলেও মুখোমুখি হতে পারেন- ডিসপিউটের (Dispute)। মনে রাখবেন- সব ফ্রিল্যান্সার যেমন প্রফেশনাল না, তেমনি কিছু ক্লায়েন্টও আছে খুবই অপেশাদার। তাই ডিসপিউট (Dispute) হতে পারে দুপক্ষেরই ভুল বা অপেশাদারসুলভ আচরণের জন্য।
ডিসপিউট(Dispute) এড়ানো বা ডিসপিউটে জেতা!
একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। আমার শেষ হওয়া ৬১ প্রজেক্টে একটিতে ডিসপিউটের (Dispute) মুখোমুখি হয়েছিলাম। জবটি ইনভাইটেশনে গ্রহণ করেছিলাম। কোনো অফার নেয়ার আগে ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে যাচাই করে নেয়া আমার অভ্যাস। এই জবটি ক্লায়েন্ট প্রোফাইল দেখে নেয়ার ইচ্ছে না থাকেলেও তাঁর পীড়াপিড়িতে নিই। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে শেষের সপ্তাহে কয়েক ঘন্টার জন্য ডিসপিউট ফাইল করে দেয়।
কিন্তু আমি প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলাম। তবু খুবই মেজাজ খারাপ হলো। তারপরও মাথা ঠাণ্ডা করে ক্লায়েন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। নিজে ভুল না জেনেও তাঁকে বিকল্প প্রস্তাব দিলাম। সে কিছুতেই মানবে না!
অগত্যা তাই ডিসপিউট গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ করে দিই। ফলে আপওয়ার্ক বিষয়টি ইনভেস্টিগেট করে এবং দুদিনের মাথায় তাঁদের ডিসিশন জানায়।
কী করবেন / কী করবেন না?
ও হ্যাঁ, আমিও ডিসপিউটে জিতে ছিলাম।
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
~
সোআপ
[২০১৭০৯২৪/১৭০৫]
ডিসপিউট(Dispute) এড়ানো বা ডিসপিউটে জেতা!
একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। আমার শেষ হওয়া ৬১ প্রজেক্টে একটিতে ডিসপিউটের (Dispute) মুখোমুখি হয়েছিলাম। জবটি ইনভাইটেশনে গ্রহণ করেছিলাম। কোনো অফার নেয়ার আগে ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে যাচাই করে নেয়া আমার অভ্যাস। এই জবটি ক্লায়েন্ট প্রোফাইল দেখে নেয়ার ইচ্ছে না থাকেলেও তাঁর পীড়াপিড়িতে নিই। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে শেষের সপ্তাহে কয়েক ঘন্টার জন্য ডিসপিউট ফাইল করে দেয়।
কিন্তু আমি প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলাম। তবু খুবই মেজাজ খারাপ হলো। তারপরও মাথা ঠাণ্ডা করে ক্লায়েন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। নিজে ভুল না জেনেও তাঁকে বিকল্প প্রস্তাব দিলাম। সে কিছুতেই মানবে না!
অগত্যা তাই ডিসপিউট গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ করে দিই। ফলে আপওয়ার্ক বিষয়টি ইনভেস্টিগেট করে এবং দুদিনের মাথায় তাঁদের ডিসিশন জানায়।
কী করবেন / কী করবেন না?
- প্রথম থেকেই সচেতন থাকুন। ক্লায়েন্ট যেমন ফ্রিল্যান্সার যাচাই করে কন্ট্রাক্ট দেয়, তেমনি ফ্রিল্যান্সারেরও উচিত ক্লায়েন্টকে খতিয়ে দেখা।
- টাইম ট্র্যাকারে প্রতিটি কাজের আলাদা আলাদা মেমো রাখেন।
- আপনার এক্টিভিটি লেভেল অবশ্যই ভালো রাখতে হবে হবে। ১০ এর মধ্যে নিদেনপক্ষে ৮ । খুব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি।
- সব ধরনের যোগাযোগ আপওয়ার্ক মেসেজিং-এ করুন। স্বচ্ছতা বজায় রাখুন।
- নিজে ইন্টেগ্রিটি ধরে রাখুন। ইন্টেগ্রিটি মানে - কেউ দেখছে না, তবু আপনি দুই নম্বরি করবেন না।
- এরপরও যদি ডিসপিউট ঘাড়ে এসে পড়ে, হতাশ হবেন না (রাগ তো একটু হবেই)।
- বোঝাতে চেষ্টা করুন ক্লায়েন্টকে। বিভিন্ন অল্টানেটিভ সার্ভিস অফার করুন।
- তাঁকে ডিসপিউট উইথড্র করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
ও হ্যাঁ, আমিও ডিসপিউটে জিতে ছিলাম।
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
~
সোআপ
[২০১৭০৯২৪/১৭০৫]
Friday, September 22, 2017
উড়ছে ডলার ধরো
একটা ছিলো গোপন কথা বলার
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।
খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।
যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।
মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।
নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"
বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।
মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!
ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
~
২০১৭০৯২২/০৭২৮
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।
খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।
যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।
মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।
নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"
বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।
মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!
ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
~
২০১৭০৯২২/০৭২৮
Sunday, September 10, 2017
দেয়াল
নীলিমা,
কেমন আছিস? জানি এই চিঠি তোর কাছে পৌঁছুবে না কোনোদিন। তোর ঠিকানাটাই এমন- কোনো চিঠি যায় না ওখানে। তবে কী জানিস? আমার মন বলছে তোর সাথে আমার দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি। তখন কিন্তু আমরা অনেক কথা বলবো। অনেক গল্প। দুই বছর হয়ে গেলো তোকে দেখি না।
হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো জানিস নীলিমা? সাদা চাদরে ঢাকা আমার বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় আমার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।
তোর যখন মরণব্যাধি লিম্ফোমা ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো। কিছুই করার ছিলো না কারো। দুসপ্তার মাথায় তুই চলে গেলি। কীভাবে গেলি নীলিমা? একবারও কি ভেবেছিলি- তুই চলে গেলে এই পৃথিবীটা আমার কাছে অন্ধকার মনে হবে। আর নিকষ অন্ধকারে মানুষ কদিন বাঁচতে পারে বল? সেই শিশুবেলাটি থেকে আমরা ছিলাম মানিক জোড়। সবাই তাই বলতো। আমরা আসলে তারও বেশি ছিলাম, তাই নারে? দুজনের এক প্রাণ। প্রাণের সই। নীলিমা আর অদৃজা।
সেই নীলিমা। তুই চলে গেলি। আহা। হঠাৎই। আমি কী করে থাকি বলতো? বিধাতা সেটা ভালো বুঝতে পেরেছেন। তুই চলে যাবার পর পাগলপারা আমি একটা সময় থিতু হয়ে আসছিলাম। তখনই শুরু হলো শরীরের যন্ত্রণাটা। খুব সহজেই ধরা পড়লো। ব্ল্যাড ক্যান্সার! প্রথমে মা আমার থেকে সব লুকোতে চেয়েছিলো। কিন্তু একটা সময় আমি জানলাম। জেনে আমি হেসেছিলাম। শব্দ করেই। কেনো জানিস? ঠিক এই জায়টাতেও তোর সাথে আমার মিলে গেলো বলে। আমরা জীবনের বন্ধু ছিলাম। মরণের সই না হলে কি হবে? তুইই বল নীলিমা। নীল আকাশে তোর নিশ্চয়ই একা লাগছে?
সেই থেকে এই ওষুধ, সেই ওষুধ করে অনেকদিন হয়ে গেলো। আমার মাকে তো চিনিস। সে পাগলপ্রায়। হাসপাতালের এই ক্যাবিনেও অনেকদিন হয়ে গেলো।
কাল এ ঘরের বাইরে যাবো আমি। আহা মুক্তি! পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসে। মায়ের হাসিটা যেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা আমার মাথায় হাত রাখে। কী যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । আমার ঘুম এসে যায়। কিন্তু না। ঘুমালে আমার চলবে না। এই চিঠিটা শেষ করতেই হবে আজ।
নীলিমা, ঘুমোবো না বললেও কাল ঠিক ঘুমিয়ে গেছিলাম। কীভাবে যে! ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। দেখি মা তখনও পায়ের কাছের চেয়ারটাতেই বসা। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে মা। আমিও। মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ হয় আমার। কারণ আমি জানি, আমার এ রোগ যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা একহাজার ভাগের এক ভাগ। মাসহ সবাই তাই মিরেকেলের অপেক্ষায় আছে। আচ্ছা মিরাকেল বলে কি কিছু আছে? আমিতো জানি, কোনো মিরেকেলই কাজে আসবে না আর। এক বাঁধন যে আমায় ডাকছে।
নীলিমা, অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযতনে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় আমাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে আমায়। কপালে চুমু খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক'ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স। আমার এই মনে মনে তোকে চিঠি লেখাটা চলছেই।
অপারশন থিয়েটার রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা ঠেকে আমার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে কাছে।হঠাৎ আমার মনে হয় রুমের ছাদটা অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। কী করে এতো নিচে নেমে এলো ছাদটা? আমি মুহুর্তের জন্য খুব অসহায় ফিল করি। পাশে দেখার চেষ্টা করি। সাদা দেয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না আমি।
কেমন আছিস? জানি এই চিঠি তোর কাছে পৌঁছুবে না কোনোদিন। তোর ঠিকানাটাই এমন- কোনো চিঠি যায় না ওখানে। তবে কী জানিস? আমার মন বলছে তোর সাথে আমার দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি। তখন কিন্তু আমরা অনেক কথা বলবো। অনেক গল্প। দুই বছর হয়ে গেলো তোকে দেখি না।
হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো জানিস নীলিমা? সাদা চাদরে ঢাকা আমার বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় আমার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।
তোর যখন মরণব্যাধি লিম্ফোমা ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো। কিছুই করার ছিলো না কারো। দুসপ্তার মাথায় তুই চলে গেলি। কীভাবে গেলি নীলিমা? একবারও কি ভেবেছিলি- তুই চলে গেলে এই পৃথিবীটা আমার কাছে অন্ধকার মনে হবে। আর নিকষ অন্ধকারে মানুষ কদিন বাঁচতে পারে বল? সেই শিশুবেলাটি থেকে আমরা ছিলাম মানিক জোড়। সবাই তাই বলতো। আমরা আসলে তারও বেশি ছিলাম, তাই নারে? দুজনের এক প্রাণ। প্রাণের সই। নীলিমা আর অদৃজা।
সেই নীলিমা। তুই চলে গেলি। আহা। হঠাৎই। আমি কী করে থাকি বলতো? বিধাতা সেটা ভালো বুঝতে পেরেছেন। তুই চলে যাবার পর পাগলপারা আমি একটা সময় থিতু হয়ে আসছিলাম। তখনই শুরু হলো শরীরের যন্ত্রণাটা। খুব সহজেই ধরা পড়লো। ব্ল্যাড ক্যান্সার! প্রথমে মা আমার থেকে সব লুকোতে চেয়েছিলো। কিন্তু একটা সময় আমি জানলাম। জেনে আমি হেসেছিলাম। শব্দ করেই। কেনো জানিস? ঠিক এই জায়টাতেও তোর সাথে আমার মিলে গেলো বলে। আমরা জীবনের বন্ধু ছিলাম। মরণের সই না হলে কি হবে? তুইই বল নীলিমা। নীল আকাশে তোর নিশ্চয়ই একা লাগছে?
সেই থেকে এই ওষুধ, সেই ওষুধ করে অনেকদিন হয়ে গেলো। আমার মাকে তো চিনিস। সে পাগলপ্রায়। হাসপাতালের এই ক্যাবিনেও অনেকদিন হয়ে গেলো।
কাল এ ঘরের বাইরে যাবো আমি। আহা মুক্তি! পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসে। মায়ের হাসিটা যেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা আমার মাথায় হাত রাখে। কী যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । আমার ঘুম এসে যায়। কিন্তু না। ঘুমালে আমার চলবে না। এই চিঠিটা শেষ করতেই হবে আজ।
নীলিমা, ঘুমোবো না বললেও কাল ঠিক ঘুমিয়ে গেছিলাম। কীভাবে যে! ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। দেখি মা তখনও পায়ের কাছের চেয়ারটাতেই বসা। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে মা। আমিও। মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ হয় আমার। কারণ আমি জানি, আমার এ রোগ যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা একহাজার ভাগের এক ভাগ। মাসহ সবাই তাই মিরেকেলের অপেক্ষায় আছে। আচ্ছা মিরাকেল বলে কি কিছু আছে? আমিতো জানি, কোনো মিরেকেলই কাজে আসবে না আর। এক বাঁধন যে আমায় ডাকছে।
নীলিমা, অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযতনে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় আমাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে আমায়। কপালে চুমু খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক'ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স। আমার এই মনে মনে তোকে চিঠি লেখাটা চলছেই।
অপারশন থিয়েটার রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা ঠেকে আমার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে কাছে।হঠাৎ আমার মনে হয় রুমের ছাদটা অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। কী করে এতো নিচে নেমে এলো ছাদটা? আমি মুহুর্তের জন্য খুব অসহায় ফিল করি। পাশে দেখার চেষ্টা করি। সাদা দেয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না আমি।
Saturday, September 9, 2017
ফ্রিল্যান্সার'স আই কেয়ার | ড্রাই আই (Dry Eye Syndrome)- কারণ ও প্রতিকার
চোখের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি দুবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে আমার। ভেবেছিলাম হয়তো পাওয়ার চেঞ্জ হয়ে গেছে। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানালেন যে আমার পাওয়ার ঠিকই আছে। অর্থাৎ, চশমা চেঞ্জ করতে হবে না। কিন্তু আমার আই ড্রাইনেস দেখা দিয়েছে। আমার প্রফেশন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন করে তিনি যা জানালেনঃ
- স্বাভাবিকভাবে চোখ সাধারণত যে ক'বার পলক ফেলে, কম্পিউটার / স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের সময় তার চেয়ে অনেক কমবার চোখের পাতা পড়ে। ফলে আমাদের চোখ ড্রাই হয়ে যায়। (When working at a computer or using a smartphone or other portable digital device, we tend to blink our eyes less fully and less frequently, which leads to greater tear evaporation and increased risk of dry eye symptoms.)
- Burning sensation
- Itchy eyes
- Aching sensations
- Heavy eyes
- Fatigued eyes
- Sore eyes
- Dryness sensation
- Red eyes
- Photophobia (light sensitivity)
- Blurred vision
ড্রাই আই হলে অনেকভাবে এর প্রতিকার করা যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর এ বিষয়ে আমি কিছু রিসার্চ করি। বিষয় অনেক ব্যাপক। আমি শুধু কটি ফোকাস পয়েন্ট তোলে ধরছি। এখানে দুটি উপায় উল্লখ করা হলোঃ
মেডিক্যাল ট্রিট্মেন্টঃ ডাক্তারের পরামর্শে আর্টিফিশ্যাল টিয়ার ব্যবহার করা যায়। তবে এক নাগাড়ে এক মাসের বেশি চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
প্রতিদিনের কর্মাভ্যাসঃ
- আপনার ওয়ার্করুমের লাইটিং এডজাস্ট করে নিন।
- আপনার চোখ ও আপনার কম্পিটারের উচ্চতা কমফোর্টেবল লেভেলে রাখুন।
- কাজের ব্রেক নিন (Give your eyes a rest)।
- প্রতি ৩০ মিনিট কাজের পর ৩০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ রাখুন (গুরুত্বপূর্ণ)।
- ভালো হয়, ২০-২০-২০ সূত্রটি ফলো করতে পারেন (the "20-20-20 rule") Every 20 minutes, spend 20 seconds looking at something 20 feet away. (গুরুত্বপূর্ণ)
- ধূমপানকে "নাঃ বলুন (Stop smoking and avoid smoke)
- আপনার কম্পিটারের ডিসপ্লে লাইটিং এডজাস্ট করুন।
Saturday, July 8, 2017
ফ্রীল্যান্সিং | ক্লায়েন্ট কড়চা-২
ফ্রীল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট নিয়ে অনেক কথা থাকে। বৃত্তান্ত থাকে। মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টগণই যেহেতু ফ্রীল্যান্সারদের স্কীলস কিনে থাকে, তাই ক্লায়েন্টদেরকে ভালোভাবে বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । কোনো জবে এপ্লাই করার আগে জেনে নিতে হবে ক্লায়েন্টের মতিগতি। এটা বলা যায় ক্লায়েন্ট ডিলিংস। এটা সহজ কাজ নয়। আর তাই যে এই কাজে দক্ষ তাঁর ভালো ক্লায়েন্টটেল (clientele) থাকে। কাজের জন্য তাঁদের আর কোনো চিন্তা করতে হয় না।
ক্লায়েন্ট-যাচাইঃ কেনো জরুরি?
কোনো জবের জন্য এপ্লাই করার আগে কিংবা কোনো ইনভাইটেশন রিসিভ করার আগে ক্লায়েন্ট -প্রোফাইল ভালোভাবে দেখে নেয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য ক্লায়েন্ট যেমন সেরা ফ্রীল্যান্সারটি প্রত্যাশা করেন তেমনি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে আপনারও প্রয়োজন একজন ভালো ক্লায়েন্ট। একজন প্রফেশনাল ক্লায়েন্ট। এর ব্যত্যয় ঘটলে সর্বনাশ! অতি যত্নে গড়া প্রোফাইলের বারোটা বেজে যেতে পারে আপনার। আর একজন ভালো ক্লায়েন্ট আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে বহুদূর। তাই যাচাই করুন। বাছাই করুন। তারপর সামনে যান।
কী দেখে নেবেন জবে এপ্লাই করার আগে?
- একাউন্টঃ দেখে নিন ক্লায়েন্টের একাউন্ট ভেরিফাইড কিনা। গ্রীন টিক মার্ক পাবেন ভেরিফাইড একাউন্টে। ভেরিফাইড নয় এমন ক্লায়েন্টের দায় ভার আপওয়ার্ক নেবে না।
- টাইম-জোনঃ ক্লায়েন্টের টাইম-জোন দেখে নিতে পারেন। যদিও বাইডিফল্ট, আমরা বেশিরভাগ ক্লায়েন্টের বিপরীত সময় বলয়ে পড়ে গেছি।
- খরচাপাতিঃ দেখে নিন ক্লায়েন্ট কতোটি কাজে কী পরিমাণ খরচ করেছেন এবং তার এভারেজ আওয়ারলি রেট কতো? এটা দিয়ে তার খরচাপাতির মানসিকতা বুঝতে পারবেন। আর মিলিয়ে নিতে সুবিধা হবে- আপনার আস্কিং রেটের সাথে তা সামঞ্জস্য কিনা। গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এ বিষয়টি।
- হায়ারিং রেটঃ কিছু ক্লায়েন্ট আছে - জব পোস্ট দেয়াই তাঁদের বাতিক। হায়ারিং-এর খবর নেই। এসব ক্লায়েন্টের জবে এপ্লাই করে আপনার মূল্যবান কানেক্ট কেনো খরচ করবেন?
- ফিডব্যাকঃ ক্লায়েন্ট যেমন আপনার ফিডব্যাক দেখে নেয়। আপনিও দেখে নিন না তার ফিডব্যাক। দেখে নিন - ফিডব্যাক স্কোর এবং ফ্রিল্যান্সারদের করা কমেন্ট। ক্লায়েন্টকে বুঝতে সুবিধা হবে।
এতোকিছুর পরও হয়তো কিছু সমস্যা থেকেই যেতে পারে। কিন্তু প্রত্যাশা করে যায় - ভালো হবে আপনার ক্লায়েন্ট। সফল হবে আপনার প্রজেক্ট। লেটস বী পজিটিভ।
হ্যাপি ফ্রীল্যান্সিং।
-
২০১৭০৭০৮/১৫২০
Sunday, July 2, 2017
ফ্রীল্যান্সিং | ক্লায়েন্ট কড়চা
ফ্রীল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট নিয়ে অনেক কথা থাকে। বৃত্তান্ত থাকে। মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টগণই যেহেতু ফ্রীল্যান্সারদের স্কীলস কিনে থাকে, তাই ক্লায়েন্টদেরকে ভালোভাবে বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । এটা বলা যায় ক্লায়েন্ট ডিলিংস। এটা সহজ কাজ নয়। আর তাই যে এই কাজে দক্ষ তাঁর ভালো ক্লায়েন্টটেল (clientele) থাকে। কাজের জন্য তাঁদের আর কোনো চিন্তা করতে হয় না।
ক্লায়েন্টকে কী সম্বোধন করবেন?
এই প্রশ্নটা প্রায়ই পাওয়া যায় গ্রুপে। এর অনেকরকম জবাবও দেখা যায় সাথেসাথেই।
এই যেমনঃ
>স্যার /ম্যাডাম বলা যাবে না
>স্যার/ ম্যাডাম বলা উচিত
> ব্রাদার/ ব্রো বলা যাবে কিংবা যাবে না
> হাই/ হ্যালো'এর ব্যবহারটা এমন হবে!!
কিন্তু আসলেই কি এই প্রশ্নের কোনো যথাযথ "সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য" টাইপের কোনো জবাব আছে? কিংবা থাকতে পারে? না। এটা নির্ভর করে ক্লায়েন্ট ও ফ্রীল্যান্সারের একে অন্যকে বোঝার উপর। কমনসেন্স বলা যায় একে। এটা আবার পৃথক হয়ে থাকে ক্লায়েন্টভেদে। কিছু উদাহরণের মাধ্যমে ক্লিয়ার করা যাক।
অভিজ্ঞতার আলোকে উদাহরণঃ
# ক্লায়েন্ট-১ঃ
আমার প্রথম দিককার ক্লায়েন্ট Christopher. একটি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী। আমাদের কথা হতো এমনঃ
- Hi Shohel
-Hello Christopher
যেকোনো বিষয়ে তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই পাওয়া যেতো। তেমন কোনো ফরমালিটি নেই। কাজ শেষ হবার সাথে সাথে পেমেন্ট ও ফীডব্যাক। একদিন ভিডিও চ্যাটে তাঁকে পাওয়া গেলো শুধু গেঞ্জি (সামার ভেস্ট) পরা। তাঁর অফিসে। কোনো জড়তা নেই।
# ক্লায়েন্ট-২ঃ
প্রায় দেড় বছর কাজ করছি তাঁর সাথে। নাম বলছি না। ইউএস প্রেসিডেন্টের এওয়ার্ড পাওয়া কোম্পানির মালিক। আমার দেখা সেরা ভদ্রলোক। তিনি আমাকে প্রথম মেসেজই দিয়েছিলেন "হ্যালো স্যার" বলে। এরপর অসংখ্য যোগাযোগে তিনি কখনো "স্যার" কখনো "মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড" বলে সম্বোধন করেন। করছেন। বিভিন্ন কারণে তিনি একাধিক বোনাসও দিয়েছেন। অসুস্থতার সময় (আমার এক অপারেশনের সময়) আমার অনেক আত্মীয় খোঁজ নেননি। কিন্তু এই ক্লায়েন্ট নিয়েছেন।
# ক্লায়েন্ট-৩ঃ
একটা কোম্পানির হয়ে কাজ করা। দেড় বছর। কোম্পানির সিইও সহ সবার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। উইকলি ভিডিও মিটিং করতে হয়। এখানে সম্বোধন টা আরো সংক্ষিপ্ত। শুধু নাম ধরে। কোনো স্যার /ম্যাডাম নেই। কোনো হাই/হ্যালোও নেই। শুধু নাম এবং মেসেজ।
আশাকরি একটু হলেও ধারণা পাওয়া গেছে- কীভাবে কায়েন্টের সাথে রিলেশনটা শুরু করা যায়। তবে এটা খুব সত্য, আমাদের দেশের বসদের মতো - "স্যার" শোনে ধন্য হবার মানসিকতা তাঁদের নেই। তাঁদের কাছে কাজ, কমিউনিকেশন আর ইন্টেগ্রিটির মূল্যই সবার উপর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)।
হ্যাপি ফ্রীল্যান্সিং!
~
২০১৭০৭০২/১১৩০
Sunday, June 11, 2017
অনিবার্য
বানাতে তোর জীবন সাঁকো
ঠাই দাঁড়িয়ে রোদে,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি
সুখ জাগানো বোধে।
বৃষ্টি ভেজা কাঁদামাখা
কতোইতো গেছে কাল!
পড়শিরা বোকা বলেছে
কেউবা দিয়েছে গাল।
তোর সাফল্যের গড়তে সিঁড়ি
বিলিয়ে আপন সুখ,
অনেক আশায় বেঁধেছিলেম
এই মন পরানের বুক।
স্বপ্ন শ্রম সে যায়নি বৃথা
তুই আজ বড়ো ম্যালা,
সাফল্য আর স্বীকৃতিতে
যেনো শৌর্য বেলা।
এখন কেবল ভুলেই গেছিস
পুরনো সেসব দিন,
জীবন যেনো স্বয়ং বড়ো
নেই কোথাও কোনো ঋণ।
~
২০১৭০৬১১
ঠাই দাঁড়িয়ে রোদে,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি
সুখ জাগানো বোধে।
বৃষ্টি ভেজা কাঁদামাখা
কতোইতো গেছে কাল!
পড়শিরা বোকা বলেছে
কেউবা দিয়েছে গাল।
তোর সাফল্যের গড়তে সিঁড়ি
বিলিয়ে আপন সুখ,
অনেক আশায় বেঁধেছিলেম
এই মন পরানের বুক।
স্বপ্ন শ্রম সে যায়নি বৃথা
তুই আজ বড়ো ম্যালা,
সাফল্য আর স্বীকৃতিতে
যেনো শৌর্য বেলা।
এখন কেবল ভুলেই গেছিস
পুরনো সেসব দিন,
জীবন যেনো স্বয়ং বড়ো
নেই কোথাও কোনো ঋণ।
~
২০১৭০৬১১
Sunday, May 21, 2017
প'ড়োবোধ
বেলা, তুমি যখন আজকাল 'ভালোবাসি' বলো
আমি তাতে জীবন খুঁজি।
কথার জীবন
বোধের প্রাণ
প্রাণের বোধ
পাইনে তা আমি-
'প্রাণহীন ভালোবাসি'র কোনো জবাব দিতে পারি না আমি।
বেলা, তুমি যখন আজকাল আলিঙ্গনে জড়াও
আমার রক্ত আর নাচে না আগের মতো।
আলিঙ্গনেরও প্রাণ থাকে জানো,
থাকে উন্মাতাল বোধ!
তবে কেনো হিম হয়ে আসে হৃদয় আজ
তোমার সঘন আলিঙ্গনে?
বলতে পারো, বেলা?
সময়যাপন ক্রমশ যান্ত্রিক থেকে তদুপর
প্রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর তোমার প্রথম দৃষ্টি আজ যন্ত্রে
ঘুমোনোর আগেও তাই ।
তোমার পাশে থেকে আজ আমি শুধু প'ড়োবোধ পড়ে যাই
প্রতিদিন
প্রতিরাত!!
আমি তাতে জীবন খুঁজি।
কথার জীবন
বোধের প্রাণ
প্রাণের বোধ
পাইনে তা আমি-
'প্রাণহীন ভালোবাসি'র কোনো জবাব দিতে পারি না আমি।
বেলা, তুমি যখন আজকাল আলিঙ্গনে জড়াও
আমার রক্ত আর নাচে না আগের মতো।
আলিঙ্গনেরও প্রাণ থাকে জানো,
থাকে উন্মাতাল বোধ!
তবে কেনো হিম হয়ে আসে হৃদয় আজ
তোমার সঘন আলিঙ্গনে?
বলতে পারো, বেলা?
সময়যাপন ক্রমশ যান্ত্রিক থেকে তদুপর
প্রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর তোমার প্রথম দৃষ্টি আজ যন্ত্রে
ঘুমোনোর আগেও তাই ।
তোমার পাশে থেকে আজ আমি শুধু প'ড়োবোধ পড়ে যাই
প্রতিদিন
প্রতিরাত!!
Saturday, April 22, 2017
ফ্রীল্যান্সিং সহজ কিংবা অসম্ভব নয়ঃ অভিজ্ঞতার আলোকে টিপস (পর্ব -৫)
ফ্রীল্যান্সিং।
অনলাইনে কাজ।
অনলাইনে আয়।
- এসব কি
খুব সহজ? এসবই কি রাতারাতি অর্থ উপার্জনের পথ? কিছু বিজ্ঞাপন আর কিছু হিডেন
প্রলোভন দেখে তাই মনে হয়। ভাবটা এমন- ডলার যেনো নাকের ডগায়। ধরুন আর পকেটে ভরুন।
কিন্তু আসলে কি তাই? না।
নট রিয়েলি!
কিন্তু এটা সত্য যে, অনলাইনে আয় কিংবা ফ্রীল্যান্সিং করে উপার্জন - অসম্ভব
নয়। এমনকি নিয়মিত অনেক জব করার চেয়ে অনেকক্ষেত্রে ভালো হতে পারে।
প্রশ্ন হলো- কীভাবে?
গত চার পর্বে আলোচনা করেছিঃ
(১) নিজেকে জানুন- ঠিক/যাচাই করুন কীসে আপনি ভালো!
(২) মার্কেটপ্লেস বেছে নিন এবং প্রোফাইল তৈরি করুন
(৩) মার্কেটপ্লেসে আপনার প্রথম কাজ | কীভাবে পাবেন?
(৪) কাভার লেটার কী? কীভাবে লিখবেন কাভার লেটার?
এই ধারাবাহিকতায় আজকের আলোচ্য বিষয়, একটি সফল প্রজেক্টের জন্য কীভাবে এপ্লাই করবেন। চলুন শুরু করা যাক।
পর্ব-৫ঃ সফল প্রজেক্ট/জবঃ কীভাবে বিড করবেন?
নূতন কোনো প্রজেক্ট বা জব পেতে আপনাকে যথেষ্ট আগ্রহী থাকতে হবে। তার মানে কিন্তু এই নয় আপনি প্রতিটি জবে বিড করবেন! আপনাকে হতে অনেক সিলেক্টিভ আর ফোকাস করতে হবে এমনসব জবকে যা আপনি খুব ভালোভাবে করতে পারবেন। ঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পারবেন।
জবে বিড বিষয়ক টিপসঃ
জবটি ভালোভাবে বোঝাঃ
জবপোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। নিশ্চিত হোন- প্রজেক্টটির স্কোপ আপনি ভালো করে জানেন আর কাজটি করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বা স্কীলসেট আপনার আছে। কাজটির জন্য দরকারি স্কিলস কি আপনার স্কিলসের সাথে মিলে যাচ্ছে? তাহলে ঠিক আছে।
- আপনার সময় ও শিডিউল দেখে নিনঃ
- আপনি কেনো যোগ্যতম তা নির্নয় করুনঃ
আপনি কাজটি করতে পারবেন- এটিই যথেষ্ট নয়। আপনার ক্লায়েন্টকে বুঝাতে হবে কেনো এবং কীভাবে আপনিই এই কাজের জন্য যোগ্য। আপনার প্রোফাইল এবং কাভার লেটার তা তোলে ধরবে। আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আলোকে প্রফেশনাল কাভার লেটারে আপনার "রাইট ফিট" তোলে ধরুন।
আপনার ক্লায়েন্টকে স্ক্রীন করুনঃ
ধরুন আপনি ইন্টারভিউ কল পেয়েছেন। ক্লায়েন্ট যখন আপনার ইন্টারভিউ নেয়, খুব সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, আপনিও আপনার পক্ষ থেকে তাঁকে ইন্টারভিউ করছেন। বুঝে নিন, তিনি আসলে কী চাচ্ছেন। যদি আপনি ফিল করেন, কাজটি আপনার স্কিলের সাথে ঠিকভাবে ম্যাচ করছে না, তাহলে সেই প্রজেক্ট না নেয়াই উত্তম।আপনার সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করুনঃ
দিনের সময়কে আপনার কাজের সাথে মিলিয়ে, এই কাজের জন্য সময় এমনভাবে বরাদ্দ করুন যাতে কাজটি ঠিক সময়ে শেষ করতে পারেন। মনে রাখবেন। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতো গেলো প্রজেক্ট শুরুর আগের ব্যাপারস্যাপার। আগামিপর্বে কীভাবে একটি প্রজেক্ট শুরু করা উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে রলো।
Saturday, April 8, 2017
ফ্রীল্যান্সিং সহজ কিংবা অসম্ভব নয়ঃ অভিজ্ঞতার আলোকে টিপস (পর্ব -৪)
ফ্রীল্যান্সিং।
অনলাইনে কাজ।
অনলাইনে আয়।
- এসব কি খুব সহজ? এসবই কি রাতারাতি অর্থ উপার্জনের পথ? কিছু বিজ্ঞাপন আর কিছু হিডেন প্রলোভন দেখে তাই মনে হয়। ভাবটা এমন- ডলার যেনো নাকের ডগায়। ধরুন আর পকেটে ভরুন।
কিন্তু আসলে কি তাই? না।
নট রিয়েলি!
কিন্তু এটা সত্য যে, অনলাইনে আয় কিংবা ফ্রীল্যান্সিং করে উপার্জন - অসম্ভব নয়। এমনকি নিয়মিত অনেক জব করার চেয়ে অনেকক্ষেত্রে ভালো হতে পারে।
প্রশ্ন হলো- কীভাবে?
গত তিন পর্বে আলোচনা করেছিঃ
(১) নিজেকে জানুন- ঠিক/যাচাই করুন কীসে আপনি ভালো!
(২) মার্কেটপ্লেস বেছে নিন এবং প্রোফাইল তৈরি করুন
(৩) মার্কেটপ্লেসে আপনার প্রথম কাজ | কীভাবে পাবেন?
এই ধারাবাহিকতায় আজকের আলোচ্য বিষয়, কাভার লেটার নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।
পর্ব-৪ঃ কাভার লেটার কী? কীভাবে লিখবেন কাভার লেটার?
কাভার লেটার (Cover Letter) হলো কোনো জবের জন্য আবেদনপত্র। সাধারণভাবে, আমরা তাই বলতে পারি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি এর চেয়ে বেশিকিছু। কাভার লেটার হলো- আপনার প্রথম এবং সম্ভবত একমাত্র উপায় যা দিয়ে আপনি আপনার পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। অন্য অর্থে,মন জয় করে নিতে পারেন তার। আপনার কাভার লেটারে কী ফোটে ওঠে জানেন?
ওঠে আসে আপনারঃ
- অভিজ্ঞতা
- ব্যক্তিত্ব
- আগ্রহ
(০) পড়ুন > আবার পড়ুনঃ
আপনার কাভার লেটার শুরু করার আগে জব পোস্টটি পড়ুন। প্রথম থেকে শেষ- সবকিছু। আবার পড়ুন। প্রয়োজন হলে আবার। নোট করুন মেইন পয়েন্টগুলো।
(১) শুরুটা হবে আন্তরিকভাবে প্রফেশনালঃ
মনে রাখবেন, যিনি প্রথম আপনার কাভার লেটার পড়ছেন, তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। সম্বোধন করুন আন্তরিকভাবে এবং পেশাদারিত্বের সাথে। নাম জানা থাকলেঃ
Dear Mr. Christopher
Dear Dena
এভাবে শুরু করতে পারেন। নাম জানা না থাকলে Dear Hiring Manager বা Hi বলেও শুরু করতে পারেন। ক্লায়েন্টের সময় বুঝে গ্রিটিংস করুন। (Good Morning/Afternoon/Evening).
[ক্লায়েন্টের নাম জানার টিপসঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জবপোস্টের সাথে নাম দেয়া থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনি ক্লায়েটের প্রোফাইলে প্রাপ্ত ফিডব্যাক থেকে অনেক সময় পেয়ে যেতে পারেন তা।]
(২) মূল পয়েন্টে থাকুনঃ
আপনার জীবন বৃত্তান্ত জানতে কিন্তু কোনো ক্লায়েন্টই আগ্রহী নন। এতো সময়ও নেই কারো। আগের নোট করা মেইন পয়েন্টগুওলো দেখে আপনি ক্লায়েন্টকে বুঝাতে চেষ্টা করুন- আপনার প্রয়োজনীয় স্কিলস আর অভিজ্ঞতা আছে। এটাই মূলকথা।
(৩) স্কিল হাইলাইটিংঃ
বেশির ভাগ জবপোস্টেই কিছু বিশেষ দক্ষতা চায় কিংবা কিছু স্কিল উল্লেখ করে দেয় যা অবশ্যই থাকতে হবে। আপনি আপনার কাভার লেটারে বিশেষভাবে তা মেনশন করে দিবেন। এটি আপনার প্রতি ক্লায়েটের আস্থা বাড়াবে।
(৪) নির্দেশনার সঠিক অনুসরণঃ
কিছু ক্লায়েন্ট জবপোস্টে স্পেসিফিক কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যেমনঃ তিনটি জোড়া সংখ্যা দিয়ে শুরু অথবা নির্দিষ্ট কোনো শব্দ বা বাক্য উল্লেখ করে দেন যা কাভার লেটারের কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিতে হবে। এগুলো করা হয় আপনি পুরো জবপোস্ট মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা নিশ্চিত করতে এবং কাভার লেটার কপি পেস্ট থেকে বিরত রাখতে।
(৫) নিজেকে সতর্কভাবে উপস্থাপনঃ
শেষের দিকে, আপনি উল্লেখ করতে পারেন- সপ্তাহে কতো ঘন্টা আপনি ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারবেন। রাতে কাজ করতে কোনো অসুবিধা আছে কিনা। আমন্ত্রণ জানাতে পারেন আরো কিছু জানার থাকলে আপনি প্রস্তুত আছেন তা জানাতে।
(৬) পড়ুন, এডিট করুন আর আরেকবার ভাবুনঃ
কাভার লেটার লেখা শেষ! সেন্ড বাটন প্রেস করার জন্য পাগল হয়ে যাবেন না। প্রথম থেকে পড়ুন। টুকটাক কিছু ভুল পেয়ে যাবেন। ঠিক করুন। কিছু বিষয় সাজিয়ে লেখতে ইচ্ছে করবে। করুন। তারপর আবার প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ুন। নাউ সেন্ড!!
কিছু সংক্ষিপ্ত টিপসঃ
- আপনার কাভারলেটারের প্রথম দুলাইনে ফোকাস পয়েন্টগুলো রাখার চেষ্টা করুন।
- ক্লায়েন্ট মেটা ডেসক্রিপশন আকারে প্রথম দুলাইন (১৬০ ক্যারেক্টার) দেখতে পান এবং তাতে মনে ধরলে ক্লিক করে ডিটেইলস পড়েন।
- জেনেরিক কথাবার্তা না লিখে রিলেভেন্ট কথা উল্লেখ করুন।
- জব সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন যা জবপোস্টে উল্লেখ করা নাই, তা করুন।
- পরে এপ্লাই করছেন বলে হতাশ হবার কারন নেই। ক্লায়েন্ট প্রপোজাল্গুলো লাস্ট ইন ফার্স্ট আউট (LIFO) আকারে দেখতে পায়।
- কপি পেস্ট?? না, করবেন না।
পাদটীকাঃ আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই। একজন ফ্রীল্যান্সার মাত্র। আপওয়ার্ক ব্লগ অনুসরণ ও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এ লেখা। শুধু নতুনদের কিঞ্চিৎ ধারণা দেয়ার জন্যই আমার এ প্রয়াস।
Monday, April 3, 2017
গল্প; কিন্তু গল্প নয়ঃ দাম বেশি হলেও প্রডাক্ট বিকোয়
অস্ট্রেলিয়ান এক ক্লায়েন্টের জব দেখে এপ্লাই করলাম। এসইও কোচ। ইয়োস্ট এসইও কোচ। তিনি একজন পাবলিক স্পীকার। ছয়টা ওয়েবসাইট তাঁর। এসইও নিজেই করবেন। তাই শিখতে চাচ্ছেন। মাস্টার বলেই বোধকরি- কাজ অন্য কারো হাতে দিতে নারাজ!
তো যাই হোক- একটু হাইরেটে (High Hourly Rate) এপ্লাই করলাম। উনি আমাকে ইন্টারভিউতে ডাকলেন। কথা বললেন। বললেন- "তোমার রেট বেশি"।
তারপর তিন দিন কোনো খবর নেই। চতুর্থদিনে আমাকে আমাকে মেসেজ দিলেনঃ
"আমি ১০ জনকে ইন্টারভিউ করলাম। আর সবার রেট তোমার এক তৃতীয়াংশ। কিন্তু তিন গুণ বেশি হলেও আমি তোমাকেই হায়ার করছি।"
শেষ কথাঃ গল্পটি এজন্যই বলা-
(১) আমি মনে করি নিজেকে সস্তা করা ঠিক নয়।
(২) কিছু প্রডাক্ট/স্কীল দাম বেশি বলেই বিক্রি বেশি হয়।
(৩) অবশ্যই রিজনেবল থাকতে হবে।
(৪) ফ্রীকাজ করে দেবার পক্ষে আমি নেই; তা যদি স্যাম্পলও হয়।
(৫) কিন্তু কোনোভাবেই নিজেকে হেয় করে উপস্থাপন নয়।
-
ব্যক্তিগত অভিমত
২০১৭০৪০৩
তো যাই হোক- একটু হাইরেটে (High Hourly Rate) এপ্লাই করলাম। উনি আমাকে ইন্টারভিউতে ডাকলেন। কথা বললেন। বললেন- "তোমার রেট বেশি"।
তারপর তিন দিন কোনো খবর নেই। চতুর্থদিনে আমাকে আমাকে মেসেজ দিলেনঃ
"আমি ১০ জনকে ইন্টারভিউ করলাম। আর সবার রেট তোমার এক তৃতীয়াংশ। কিন্তু তিন গুণ বেশি হলেও আমি তোমাকেই হায়ার করছি।"
কাজ শেষে তাঁর ফিডব্যাক কমেন্ট ছিলোঃ "This guy is the best I have had! I have been through 10 contractors to find him!"
শেষ কথাঃ গল্পটি এজন্যই বলা-
(১) আমি মনে করি নিজেকে সস্তা করা ঠিক নয়।
(২) কিছু প্রডাক্ট/স্কীল দাম বেশি বলেই বিক্রি বেশি হয়।
(৩) অবশ্যই রিজনেবল থাকতে হবে।
(৪) ফ্রীকাজ করে দেবার পক্ষে আমি নেই; তা যদি স্যাম্পলও হয়।
(৫) কিন্তু কোনোভাবেই নিজেকে হেয় করে উপস্থাপন নয়।
-
ব্যক্তিগত অভিমত
২০১৭০৪০৩
Friday, February 24, 2017
অণু অনুভব
তোমাদের ছোট্ট "হাই" কিংবা "হাইলি এডিটেড সেলফি"তে মুহূর্ত শত লাইক কমেন্ট! তোমরা হাইলি রিচ! এবং হাইলি রিচড!!
আমি বরং খুঁজে বের করি হতদরিদ্র মূল্যবান লেখাটি। অনাদরে পড়ে থাকা লাইক কমেন্টহীন মর্মকথা। ছুঁয়ে দিই কিঞ্চিৎ ভালোবাসায়।
~
২২/২/২০১৭
আমি বরং খুঁজে বের করি হতদরিদ্র মূল্যবান লেখাটি। অনাদরে পড়ে থাকা লাইক কমেন্টহীন মর্মকথা। ছুঁয়ে দিই কিঞ্চিৎ ভালোবাসায়।
~
২২/২/২০১৭
টুকরো স্মৃতিঃ চির নূতন জীবনের গল্প
মাকে হারিয়েছি অনেক বছর আগে। আর আব্বাকে প্রায় দেড় বছর। মা বাবার সাথে পারিবারিক আড্ডার সময় মা ও আব্বা(বিশেষ করে আব্বা) কিছু গল্প করতেন। এসবই হতো- তাঁর সুখ, দুঃখ কিংবা বীরত্বের কথা।
মজার ব্যাপার হলোঃ এসব গল্পের /কথার প্রতিটিই একাধিকবার শুনেছি। কিন্তু প্রতিবারই শুনতে ভালো লাগতো। প্রতিবারই নূতন মনে হতো। অনেক সময় আব্বাকে মনে করিয়ে দিতাম যেনো "সেই" গল্পটা বলে। সবই ছিলো জীবনের গল্প।
~কষ্ট কারিগর~
নানান রঙের কষ্ট ফেরি করে
কষ্ট বিকিয়ে কিছু কি পেয়েছিলো জলে আগুন জ্বালানো প্রিয়কবি!
ভেজালের ভয়ে ফেরিঅলার ডাকে ক্বচিৎ সাড়া দেয় আজকের স্মার্ট নাগরিক
কষ্টেও যে নেই ভেজাল ~ কে বলবে তা?
কষ্ট বিকোতে তাই আমি
হয়েছিলেম কিঞ্চিৎ উত্তরাধুনিক
স্মার্ট সময়ের অনুষঙ্গ নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন আমার
বাদ যায়নি -
সুপারস্টোর
চেইন শপ
...কিছুই।
হালের আমাজনেও প্যাকেট চাকচিক্যে বাজারজাত করতে চেয়েছি তাকে।
কষ্ট বিকোতে প্রমাণিত ব্যর্থ তকমা ঘুচাতে
কষ্ট কারিগর আজ আমি
কষ্টের নিপুণ বিন্যাসে বানাই প্রাসাদ সুরম্য
তিন তারকা পাঁচ তারকা গড়ি
লাবণি পয়েন্টের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে।
যত্ন আঁচড়ে গড়া সুরম্য আবাসে
সুখ উদযাপন করে কতিপয় মানব মানবী
আর কষ্টেরা দুর্ভেদ্য প্রাচির হয়ে থাকে পাহাড়ায়
একটু সুখও যেনো চুইয়ে পড়ে না যায়
প্রাণান্ত তাই আজ এই কষ্ট কারিগর্।
........
২০১৬০২১৬ | ঢাকা
কষ্টেও যে নেই ভেজাল ~ কে বলবে তা?
কষ্ট বিকোতে তাই আমি
হয়েছিলেম কিঞ্চিৎ উত্তরাধুনিক
স্মার্ট সময়ের অনুষঙ্গ নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন আমার
বাদ যায়নি -
সুপারস্টোর
চেইন শপ
...কিছুই।
হালের আমাজনেও প্যাকেট চাকচিক্যে বাজারজাত করতে চেয়েছি তাকে।
কষ্ট বিকোতে প্রমাণিত ব্যর্থ তকমা ঘুচাতে
কষ্ট কারিগর আজ আমি
কষ্টের নিপুণ বিন্যাসে বানাই প্রাসাদ সুরম্য
তিন তারকা পাঁচ তারকা গড়ি
লাবণি পয়েন্টের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে।
যত্ন আঁচড়ে গড়া সুরম্য আবাসে
সুখ উদযাপন করে কতিপয় মানব মানবী
আর কষ্টেরা দুর্ভেদ্য প্রাচির হয়ে থাকে পাহাড়ায়
একটু সুখও যেনো চুইয়ে পড়ে না যায়
প্রাণান্ত তাই আজ এই কষ্ট কারিগর্।
........
২০১৬০২১৬ | ঢাকা
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিঃ মান/ পরিমাণ
পণ্য বা সেবার মূল্যবৃদ্ধি হয়ে থাকে সাধারণত দুটি প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেঃ
# পরিমাণ
# গুণ /মান
গ্যাস যেহেতু প্রাকৃতিক সম্পদ, ধরে নেয়া যায় এর মান ভালো। কিন্তু খোদ রাজধানীর অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত গ্যাস (পরিমাণ) না থাকায় চুলা জ্বলে না দিনের বেশির ভাগ সময়। সারাদিনের রান্না একবারে সেরে নিতে গ্রাহকদের রাত জেগে বসে থাকতে হয়। গ্যাসের দাম বাড়ানোর খবরে তাঁদের মনের অবস্থা কি ভাবা হয়েছে!
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সময় এ বিষয়টি বিবেচনা জরুরি নয় কি?
অটোগ্রাফ
অটোগ্রাফ দেয়ার মধ্যে নিশ্চয়ই একধরনের আনন্দ আছে। আনন্দ আছে নেয়ার মাঝেও।
সাধারণের অটোগ্রাফ সংগ্রহের এক বাতিক ছিলো আমার। একটা নোটবুক ছিলো আমার। নতুন কেউ এলে, নতুন কারো সাথে দেখা হলেই সামনে তুলে ধরতাম নোটবুক।
অদ্ভূত এক ভালোলাগা কাজ করতো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অসাধারণ অটোগ্রাফ পাওয়ায়।
#অণুঅনুভব
২০১৭০২২৪/১৬৫৫
#অণুঅনুভব
২০১৭০২২৪/১৬৫৫
Sunday, February 5, 2017
অণু অনুভব - ইয়াবা
সুদিন এখন ইয়াবার
নগর গাঁয়ে সে আবার
বহাল মহা দাপটে
ধরবে লাগাম কে আবার!!
~
খবরঃ বস্তাভর্তি ইয়াবা উদ্ধার সিএনজি জব্দ
#অণুঅনুভব
২০১৭০২০৫/২৩০০
খবরঃ বস্তাভর্তি ইয়াবা উদ্ধার সিএনজি জব্দ
#অণুঅনুভব
২০১৭০২০৫/২৩০০
#পরানেরকথা
আকাশ সেজে যারা আছো
দ্যাখছো না আর মাটি,
চুমতে হবে এই মাটিকেই
সেই যে অন্ত: ঘাঁটি ।
#পরানেরকথা
20160126
দ্যাখছো না আর মাটি,
চুমতে হবে এই মাটিকেই
সেই যে অন্ত: ঘাঁটি ।
#পরানেরকথা
20160126
#কালেরকাহন
ভাঁড়ের পিঠে সওয়ার এখন বিশ্ব
চামচাসকল চেঁচায় 'কি জোস দৃশ্য'
জীবনযাপনের ঘাঁটে
সময় পিছনে হাঁটে
কালেরকাহন ঠেকে অবিমৃশ্য!
~
#লিমেরিক #কালেরকাহন
২০১৭০১২৮/১৪১৯
চামচাসকল চেঁচায় 'কি জোস দৃশ্য'
জীবনযাপনের ঘাঁটে
সময় পিছনে হাঁটে
কালেরকাহন ঠেকে অবিমৃশ্য!
~
#লিমেরিক #কালেরকাহন
২০১৭০১২৮/১৪১৯
#অণুঅনুভব
সিংগাপুরে রোগী থাকে
এপলোতে খুলি‚
সেবার এরূপ মহান কীর্তি
ক্যামন করে ভুলি।
#কালেরকাহন #অণুঅনুভব
খবর: সাংবাদিক জিয়া সিঙ্গাপুরে . মাথার খুলি এপলোতেই।
২০১৭০১৩০
এপলোতে খুলি‚
সেবার এরূপ মহান কীর্তি
ক্যামন করে ভুলি।
#কালেরকাহন #অণুঅনুভব
খবর: সাংবাদিক জিয়া সিঙ্গাপুরে . মাথার খুলি এপলোতেই।
২০১৭০১৩০
অণু
আবড়া-কা-ডাবড়া আবড়া-কা-ডাবড়া
কথা বেশি রাখে নাতো বড় বড় সা'বরা
শাহীফুড দেবে বলে
দেয় শুধু লাবড়া।
-
কথা বেশি রাখে নাতো বড় বড় সা'বরা
শাহীফুড দেবে বলে
দেয় শুধু লাবড়া।
-
Note: Hebrew "Abracadabra" means "I create what I speak"
অণু
সর্বদা চাটুকার ও মোসাহেব পরিবেষ্টিত থাকিয়া যারপরনাই তৈলমর্ধিত হইয়া তিনি নিজেকে লাখে একজন মনে করিয়া বড়ই আত্মতুষ্টিতে ভুগিতেছেন।
অথচ সত্যিকারের আত্মতুষ্টি হইলে তিনি তাহা "উপভোগ" করিতে সক্ষম হইতেন।
অথচ সত্যিকারের আত্মতুষ্টি হইলে তিনি তাহা "উপভোগ" করিতে সক্ষম হইতেন।
অণু
আমি তোমার বাগানবাড়ি একবার ঘুরে আসতে চাই। না, ফুলের ঘ্রাণ নিতে নয়। কিংবা
ফুল ছুঁয়ে দেখতেও নয়। কাঁটাগুলোর তীক্ষ্ণতা দেখে আসার জন্য শুধু।
কেমন সাজিয়েছো তুমি কাঁটাকুঞ্জ?
কেমন সাজিয়েছো তুমি কাঁটাকুঞ্জ?
পরানেরকথা
ফোন প্রজাতি স্মার্ট সবই আজ
মানুষকুলকে দাস করে,
জনারণ্যে একলা মানুষ
ফোনেই সময় নাশ করে।
>>>>
All phones got smart
People turned slave,
Alone in midst of mass
Run to be flave!
মানুষকুলকে দাস করে,
জনারণ্যে একলা মানুষ
ফোনেই সময় নাশ করে।
>>>>
All phones got smart
People turned slave,
Alone in midst of mass
Run to be flave!
Friday, January 20, 2017
Facebook - January 19, 2016
তোমার পরিযায়ী মনের স্থিতাবস্থা খুব কমই দেখেছে সময়। বিন্দুসম সুখতা
বিহারের হাতছানিতেও তুমি পায়ে দলেছো হৃদ্যবোধ । বদলেছো মন । বারবার ।
সময়ের শেষ বিন্দুতে তোমার কী "রূপ" হবে ... একবার ভেবেছো নদীতা?
#অণুঅনুভব
পরিযায়ী পাখি তুমি
ভাববো না আর তোমার তরে,
তোমার আকাশ বিশাল অনেক
আমার বাস তো ছোট্ট ঘরে।
#অণুঅনুভব
মাঘের শীত!
কাঁপছে ভিত
কম্প- ঠোঁটে
শীতের গীত !!
We never get what we want
We never want what we get
We never have what we like
We never like what we have.
.....thats life. Is that life???
I believe.... I do believe
#অণুঅনুভব
পরিযায়ী পাখি তুমি
ভাববো না আর তোমার তরে,
তোমার আকাশ বিশাল অনেক
আমার বাস তো ছোট্ট ঘরে।
#অণুঅনুভব
মাঘের শীত!
কাঁপছে ভিত
কম্প- ঠোঁটে
শীতের গীত !!
We never get what we want
We never want what we get
We never have what we like
We never like what we have.
.....thats life. Is that life???
I believe.... I do believe
Sunday, January 15, 2017
সময় কথা
ইয়াবার কারখানা বাড়ছে দেশে
রাজধানীতে‚
নেশার এই কালো থাবা কষ্ট হয়
আজ মানিতে।-
০৮ জানুয়ারি ২০১৭
রাজধানীতে‚
নেশার এই কালো থাবা কষ্ট হয়
আজ মানিতে।-
০৮ জানুয়ারি ২০১৭
কালের কাব্য
সেই ছেলেটি হায়
শুধু গালি খায়:
"তুমি একটা ইম্পসিবল
তোমায় দিয়ে ডিম পসিবল"
শুধু গালি খায়:
"তুমি একটা ইম্পসিবল
তোমায় দিয়ে ডিম পসিবল"
হায়! ছেলেটি হাসে
তবু ভালোবাসে
"ও আচ্ছা ইম্পসিবল?
ভীষণ ভালো থীম পসিবল।
লেট'স মেইক এ স্টোরি
উইথ লাভ এন্ড গ্লোরি।"
~
[২০১৭০১০৮/১৪৪৭]
(বাস যাত্রায় লিখা)
তবু ভালোবাসে
"ও আচ্ছা ইম্পসিবল?
ভীষণ ভালো থীম পসিবল।
লেট'স মেইক এ স্টোরি
উইথ লাভ এন্ড গ্লোরি।"
~
[২০১৭০১০৮/১৪৪৭]
(বাস যাত্রায় লিখা)
পরানের কথা
যাত্রা যখন শুদ্ধতার
পাবেই কিছু রূদ্ধদ্বার
জীবন নামের খেয়াপথে
এটাই নিয়ম যুদ্ধটার্।
~
#পরানেরকথা #অণুঅনুভব
[২০১৭০১০৮/১৭৫৫]
পাবেই কিছু রূদ্ধদ্বার
জীবন নামের খেয়াপথে
এটাই নিয়ম যুদ্ধটার্।
~
#পরানেরকথা #অণুঅনুভব
[২০১৭০১০৮/১৭৫৫]
Subscribe to:
Posts (Atom)
Featured Post
কষ্টযাপন
তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব
জনপ্রিয়
-
ভালোবেসে হাতটি ধরে নিলে তাকে শীর্ষে, চূড়ায় ওঠে যায় বনে যায় মস্ত বড় বীর সে। থোড়াই কেয়ার করে তোমায় রচে প্রাসাদ নীড় সে, ভাবটা এমন-...
-
মুখে মধুর কথা তোমার, অন্তরেতে বিষ তোমার এমন ভালোবাসায় হারিয়েছি দিশ ভালোবাসা ঢালো সাক্ষাতে ঘৃনা বুনো আড়ালে সেইপাতে ভালোবাসি তোমায় তবু...