Sunday, February 21, 2016

ডাক

এমন করে ডাকলে সে আর
থাকতে পারে দূরে?
বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে ঠিক
আসবে আপন উরে।

একুশ যে তার তনুমনে
রক্তে দামাল হাওয়া,
ভালোবাসার রেশ থাকে তাই
তুমুল কাছে পাওয়া।

বিচ্ছু কিবা পাগলি বলে
আগলে রাখার ছলে,
ভালোবাসা গড়ে বাড়ে
ফুলে এবং ফলে।

ভাষা~ভালোবাসা





আহা ভাষা~
ভালোবাসা
আহা ভাষা~
আলো আশা

|| জীবন থেকে নেয়া ||


একটা ছায়াছবির নাম। এমন শিল্পিত চিত্রায়ন এখন আর হয় না কেনো? বারবার দেখেও মন ভরে না। দেশ, মাটি আর জীবনের দর্পণ যেনো তা।
আজ চা খেতে খেতে টিভির সামনে বসে দেখলাম- ছবিটি প্রচার হচ্ছে। ছবির এক পর্যায়ে, আমাদের জাতীয় সংগীত গাওয়া হচ্ছিলো। অজান্তে চোখ ভিজে এলো। কেনো?
এতোকিছুর পরও এ মাটির প্রতি আমাদের ভালোবাসা কি একটুও কম? না। সেই অনুভব নিয়ে শুধু এগিয়ে আসার ব্যাপার। চেতনা কি অন্য কিছুর নাম?
‪#‎চেতনা‬

মশা কাহিনী


মশার বাড়ি। মশার ঘর। বারান্দা বাথরুম -সব। মহা শাসক (ম-শা) আমাকে দয়া করে এখান থেকে এখনো বিতারিত করেননি। তার ওপর যেহেতু আর কারো হাত নেই, অগত্যা মুখ বুজে সব সহ্য করা ছাড়া আর কী?
মহা শাসকের (ম-শা) মহা শাস্তি (ম-শা) মাথায় নিয়ে আর কতোদিন?
লিমেরিকঃ ঢাকাই মশা
------------------------
রাত নেই দিন নেই মশার মহা উৎপাত ঢাকায়
স্বস্তির ফুরসৎ নেই ঘরবাড়ি কিংবা ফাঁকায়।
ডিসিসি'র নেই মাথাব্যথা
উৎপাত সয়ে যাওয়াই যথা
ঢাকাই মশা হেসে পিটপিট করে তাকায়।।
-
[লিমেরিকটি আগের লেখা থেকে]

সমকোণে


অণু -মমতা

মায়া ও মমতা
না হোক ভ্রম তা।

মাছ; কিন্তু মাছ না


পাশের সিটে বসা বাসযাত্রির তার বসের সাথে ফোনালাপ থেকে বুঝতে পারা গেলো- তিনি তাঁর বসের বাসায় কিঞ্চিৎ তাজা মাছ (১৬ কেজি - বসের প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন- ফ্রিজে সঙ্কুলান নিয়ে) পাঠিয়েছেন। অনুমিত- ইহা মাছ হইলেও ইহা আদতে তৈল।
||
অতঃপর- তাঁর বস তাঁর কোন কোন আবদার কে অগ্রাহ্য করতে পারবেন??

Tuesday, February 16, 2016

সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় ব্লগঃ বর্তমান প্রেক্ষাপট

লেখালেখি একটি সৃজনশীল কাজঃ
 লেখালেখি মানুষের মজ্জাগত একটা বিষয়। এটা ভেতর থেকে আসে। আমরা মনের টানে লিখে থাকি। মনের ভালোলাগা বা মন্দলাগাটুকু আমাদের লেখায় ওঠে আসে। ওঠে আসে কষ্টবোধ বা সুখবোধ। তাই জোর করে লেখালেখি করা প্রায় অসম্ভব। তাই লেখালেখির এই প্রয়াস- একে বলা হয় সৃজনশীল কাজ। সৃজনশীল কাজে স্বভাবিকভাবেই থাকে - স্বতন্ত্র চিন্তা, বোধ ও চেতনার হৃদ্য প্রকাশ। জোর করে সৃজনশীল এই কাজ করা সম্ভব না হলেও, অনুশীলন ও শেখার আগ্রহ ভালো লেখক হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  তাছাড়া, পাঠকের পাঠ-প্রতিক্রিয়া এবং লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লেখার মান উন্নত করা সম্ভব। আগেকার দিনে, পাঠকের প্রতিক্রিয়া এবং লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি সাধারণত আড্ডা/আলোচনা আর চিঠিপত্রের মাধ্যমে হয়ে থাকতো।

লেখালেখি -  সেকাল একালঃ
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারলাভ করায় লেখালেখির মেজাজ ও মাধ্যমেও এসেছে (আসছে) অনেক পরিবর্তন। আগে নতুন কবি-লেখকগণের জন্য লেখা প্রকাশের মাধ্যম ছিলো খুব সীমিত। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা, হাতেগোনা সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিলো লেখা প্রকাশের মূল মাধ্যম। ঈদ-পার্বণের বিশেষ সংখ্যাগুলোও বড় লক্ষ্য থাকতো অনেক লেখা প্রকাশের জন্য। এর বাইরে বিভিন্ন বিশেষ দিবসে স্মরণিকা বা ম্যাগাজিন বেরুতো তখন। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারিতে এসব ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতো নতুন ও পুরনোদের লেখা নিয়ে।  সপ্তাহের সাহিত্যপাতা কিংবা ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য কবি-লেখকদের অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতে হতো।
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই দিনে অনেককিছুর সাথে পরিবর্তন ও নতুন সংযোজন এসেছে- লেখালেখি ও লেখা প্রকাশেও। আগে লেখালেখির ড্রাফট বা প্রাথমিক হতো কাগজে কলমে। আরএখন তা হচ্ছে ফিঙ্গারটিপে- কীবোর্ডে। লেখালেখির জন্য এখন প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি এসেছে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সাহিত্য-আশ্রয়ী ওয়েবসাইট/ব্লগ এদের মধ্যে অন্যতম।  
সাহিত্যচর্চায় বাংলা ব্লগঃ 
বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলো সাহিত্যচর্চায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিলো। ব্লগে এক একটি পোস্টে শত শত কমেন্ট পড়তো। সমালোচনা হতো তা নিয়ে। বিভিন্ন আড্ডা আর প্রতিযোগিতার আয়োজনে ব্লগগুলো ছিলো সাহিত্য-মনা মানুষের দ্বিতীয় ঘর। আর সহ-ব্লগার বা লেখকগণ ছিলেন যেনো আত্মীয়। আত্মার।  দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিশ্বের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষি মানুষ যেনো প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতো এ ব্লগে এসে। কেউ একদিন ব্লগে না থাকলে খোঁজ খবর নেয়া শুরু হয়ে যেতো। ব্লগগুলো যেনো ছিলো- হাসি,  কান্না, রস, আর সৃজনশীলতার কেন্দ্রবিন্দু। 
গঠনমূলক কমেন্ট ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে অনেকের লেখার হয়েছে পাকা। অনেকে ভালো লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন - এই ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থেকে। সে এক সোনালি অধ্যায় বাংলা ব্লগিং-এর।

ব্লগগুলোর বর্তমান অবস্থাঃ 
বাংলা ব্লগগুলোর বর্তমান অবস্থা কী? কোনো ব্লগের নাম উল্লেখ না করেই (বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্লগ বাদ দিয়েই)  এক কথায়  বলা যায়- দিনগুলি সোনার খাঁচায় রইলো না।  কেনো? কী পরিবর্তন এসেছে বাংলা ব্লগে?
  • পোস্টের সংখ্যা কমেছে;
  • কমেন্টে দৈন্য দশা ভর করেছে; [ এমন ভোট হয়; কমেন্ট হয় না]
  • অংশগ্রহণ কমেছে;
  • কমেছে ভালোবাসা - টান।
কেনো?~~

  •  ব্লগার হত্যার প্রতিক্রিয়া?
  • ফেসবুকের প্রভাব?
  • ব্যবহার-বান্ধব টেকনোলজির অভাব?
  • সমাজে স্মার্ট টেকনোলজির প্রভাব?
উত্তর আমার জানা নেই। কিংবা তা গবেষণার দাবি রাখে। 
মোটা দাগে এটুকু বলা যায়- 
> ব্লগার হত্যার প্রভাব সাহিত্য নির্ভর সৃজনশীল ব্লগগুলোতে তেমন পড়ার কথা নয়।  
> ফেসবুকের একটা ব্যাপক প্রভাব আছে। সেটা ফেসবুকের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা আর ইউজার-ফ্রেন্ডলিনেসের জন্য হয়তোবা। কিন্তু ফেসবুকের শতশত গ্রুপে কি সুস্থ্য সাহিত্যচর্চা হচ্ছে আদৌ? নামে যেমন গ্রুপ- হচ্ছেও দলাদলি আর গ্রুপিং!  শতশত সেরা কবি জন্ম নিচ্ছে এখানে!! সার্টিফিকেট আর উত্তরীয় পাচ্ছেন তাঁরা। ছবিসহ পোস্ট দিচ্ছেন। উত্তরীয় বানানটিই ঠিক লিখছেন না!!
"শতো কবি! অতো কবি!!
হাজার কবি সেরা,
স্ব-ভাবে ভাব নির্বাসনে
হয় না তার আর ফেরা!" 



ব্লগ হতে পারে সফল মাধ্যমঃ

সাহিত্যচর্চায় ফেসবুক নয়; ব্লগগুলো হতে পারে সুন্দর ও কার্যকর মাধ্যম। নিজের একটি প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে লেখাগুলোর ক্রম-বিন্যাস উপস্থাপনা আর কমেন্ট / সমালোচনার মাধ্যমে ক্রমোন্নতির এক ভালো মিডিয়া এই ব্লগ। ফেসবুক অবশ্যই ভালো। তা চটুল অনুভূতির শেয়ার, ব্যবসা আর আরো অনেক বিষয়েই। ব্লগ কতৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে - টেকনোলজির সাথে তাল মিলিয়ে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ভার্সনে ব্লগকে নিয়ে যেতে।

শেষ কথাঃ
প্রযুক্তির কল্যাণে ব্লগে  সৃজনশীল-চর্চার এই সুযোগকে সুস্থভাবে কাজে লাগানো উচিত। গঠনমূলক মন্তব্য/আলোচনা/ সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে যেমন দেখতে হবে; তেমনি কারো সেন্টিমেন্টে আঘাত দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকতে হবে,   ভিন্ন ভিন্ন মত নিতে না না মতবাদের ধারক-বাহক হয়ে অনেক ব্লগের অস্তিত্ব দেখা যায়। সেসব ব্লগ বা ওয়েবসাইট বাদ দিয়ে, শুধু সাহিত্য- ঘেঁষা মিডিয়ার কথা মাথায় রেখে বলা যায়- সৃজনশীলতার চর্চায় এই অনলাইন মিডিয়ার কার্যক্রমকে সুন্দর মানসিকতা নিয়ে মননশীল অবদানের মধ্যদিয়ে পারস্পারিক উৎকর্ষ সাধনে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
--- ---
ঢাকা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কষ্ট কারিগর

নানান রঙের কষ্ট ফেরি করে
কষ্ট বিকিয়ে কিছু কি পেয়েছিলো জলে আগুন জ্বালানো প্রিয়কবি!
ভেজালের ভয়ে ফেরিঅলার ডাকে ক্বচিৎ সাড়া দেয় আজকের স্মার্ট নাগরিক
কষ্টেও যে নেই ভেজাল ~ কে বলবে তা?

কষ্ট বিকোতে তাই আমি
হয়েছিলেম কিঞ্চিৎ উত্তরাধুনিক
স্মার্ট সময়ের অনুষঙ্গ নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন আমার
বাদ যায়নি -
সুপারস্টোর
চেইন শপ
...কিছুই।
হালের আমাজনেও প্যাকেট চাকচিক্যে বাজারজাত করতে চেয়েছি তাকে।

কষ্ট বিকোতে প্রমাণিত ব্যর্থ  তকমা ঘুচাতে
কষ্ট কারিগর আজ আমি
কষ্টের নিপুণ বিন্যাসে বানাই প্রাসাদ সুরম্য
তিন তারকা পাঁচ তারকা গড়ি
লাবণি পয়েন্টের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে।

যত্ন আঁচড়ে গড়া সুরম্য আবাসে
সুখ উদযাপন করে কতিপয় মানব মানবী
আর কষ্টেরা দুর্ভেদ্য প্রাচির হয়ে থাকে পাহাড়ায়
একটু সুখও যেনো চুইয়ে পড়ে না যায়
প্রাণান্ত তাই আজ এই কষ্ট কারিগর্।
........
২০১৬০২১৬ | ঢাকা 

Sunday, February 14, 2016

পরানের কথা

ফ্রেমে বন্দি একটি দিনে
ভালোবাসা কাঁদে খুব,
চায় সে বারোমাসের পরশ
হৃদয় তীরে আনাক ডুব।
#‎পরানেরকথা‬
‪#‎অণুঅনুভব‬
[২০১৬০২১৪]

পরানের কথা

ফেসবুক তুমি বোঝো ভালো
মনবই রাখো বন্ধ,
সৌখিন বড়ো কথায় তুমি
হাতি-দেখা অন্ধ!
-
#‎পরানেরকথা‬
‪#‎অণুঅনুভব‬
[২০১৬০২১৪]

পরানের কথা

দিন ক্ষণ করে ভালোবাসো
ভীষণ তোমরা স্মার্ট!
অকপট তো বোকা প্রেমিক
তোমরা বোঝো আর্ট!!
--
[২০১৬০২১৪]

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়