Saturday, September 30, 2017

ফ্রিল্যান্সিং টিপস (পর্ব ৬) | প্রোফাইল এপ্রোভাল কি কঠিন কিংবা জরুরি?

"আমার প্রোফাইল এপ্রোভ হচ্ছে না।"
এবং
"আমার প্রোফাইল সাসপেন্ড করে দিয়েছে।"

- এই দুটি হলো সবচেয়ে বেশি দেখা সমস্যা। নতুন ফ্রিল্যান্সারগণ এই সমস্যা দুটি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই সুযোগে কিছু চতুর লোক প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়ার প্রলোভন দিচ্ছে। প্রোফাইল বিক্রির অফার দিচ্ছে। অনেকেই হয়তো সেসব ফাঁদে ধরাও দিচ্ছেন।

আমার সত্যি অবাক লাগে, হাসি পায় এবং রাগ লাগে। কী করে প্রোফাইল কেনাবেচা করা যায়? কীভাবে অন্যের প্রোফাইল এপ্রোভ করে দেয়া যায়। ওখানে তো ঘুষের কোনো ব্যাপার নেই বলেই জানি। নেই স্বজনপ্রীতি।

আচ্ছা প্রোফাইল এপ্রোভাল কি খুবই কঠিন? খুব জরুরি?

অভিজ্ঞতা থেকে বলছিঃ ফ্রিল্যান্সিং করি - এ কথা শোনে অনেককেই বলতে শুনেছিঃ "ও ডিজাইন টিজান করেন, তাই তো?"
এর মানে হলো- ফ্রিল্যান্সিং-এর জেনারেল পারসেপশন (আমাদের সমাজে) ডিজাইন বা এই সম্পর্কিত কাজ। আর বাস্তবতাও তাই। আমাদের নতুনদের প্রোফাইল কেনো এপ্রোভ হচ্ছে না- ভেবে দেখেছেন?

-প্রধান কারণ- মার্কেট ডিমান্ডের তুলনায় একই স্কিলের প্রোফাইল রিকুয়েস্ট এখান থেকে বেশি যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে বাঙালি হুজুগের জন্য। একই কারণে একাউন্টগুলো সাসপেন্ডও হচ্ছে।


প্রোফাইল এপ্রোভাল মোটেও কঠিন কাজ নয়। আর প্রোফাইল সাসপেন্ডও এতো সহজ হবার কথা নয়। একটা বিষয় আপনাকে বুঝতে হবেঃ যতো ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কে আসবে তত তাঁদের লাভ। এটা তাঁদের ব্যবসা।

তাহলে সমস্যা কোথায়? 

সমস্যা আমাদের নিজেদের মাঝেই। আমরা নিজেরা জানি না নিজেরা কী চাই। নিজেরা জানি না সত্যি আমরা কী করতে পারি। আমার স্কিলসেট কী? আমি কী অফার করবো? এমনি এমনি কি কেউ আমাকে হায়ার করবে?

কী করণীয়? 
  • সেলফ এসেসমেন্ট- আমি নিজে কী জানি এবং কী শিখতে পারবো?
  • আমার প্যাশন কী? প্যাশনেট হলেই ভালো করা সম্ভব।
  • মার্কেট এনালিসিস- কোন স্কিলের মার্কেট ডিমান্ড ভালো? কোনটা জ্যামে আটকা! 
(অভিজ্ঞতাঃ এক ক্লায়েন্টের জন্য হায়ার করতে গিয়ে পরপর দুবার এড দিয়েও একটি স্কিলের কোনো ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশে খোঁজে পাইনি একবার।) 
  • মার্কেট ডিম্যান্ড আছে এবং আপনি পারবেন - এমন একটি স্কিল সিলেক্ট করুন।
  • শিখুন
  • শিখুন
  • শিশুন
  • কনফিডেন্স লেভেল এবার নিশচয়ই খুব ভালো হবে।
এবার  আপওয়ার্কে যান। একটি প্রোফাইল খোলার চেষ্টা করুন। আপনার প্রোফাইল সাথে সাথেই  এপ্রোভ হবে বলেই আমি মনে করি। প্রোফাইল এপ্রোভাল কি কঠিন? না।

এখানেই শেষ নয়; প্রতিদিন আপনাকে শিখতে হবে। কারণ ভালোর পর আরো ভালো এবং উত্তম অপেক্ষা করছে।

এটা একটু দেখে নিন; কাউকে অনুৎসাহিত করার জন্য নয়। বাস্তব অবস্থাটা বোঝাবার জন্য।

উড়ছে ডলার ধরো

একটা ছিলো গোপন কথা বলার
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।

খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।

যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।

মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।

নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"

বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।

মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!

ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
 ~~
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
***
সোআপ
২০১৭০৯৩০/১৮১৮ 




Sunday, September 24, 2017

আপওয়ার্কে ডিসপিউটঃ কী করবেন? কীভাবে?

অনেক ভালো কাজ করলেও কখনোসখনো আপনি পড়ে যেতে পারেন অনভিপ্রেত ঝামেলায়। নিজে পেশাদারিত্ব ধরে রাখলেও মুখোমুখি হতে পারেন- ডিসপিউটের (Dispute)। মনে রাখবেন- সব ফ্রিল্যান্সার যেমন প্রফেশনাল না, তেমনি কিছু ক্লায়েন্টও আছে খুবই অপেশাদার। তাই ডিসপিউট (Dispute) হতে পারে দুপক্ষেরই ভুল বা অপেশাদারসুলভ আচরণের জন্য।

ডিসপিউট(Dispute) এড়ানো বা ডিসপিউটে জেতা!

একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। আমার শেষ হওয়া ৬১ প্রজেক্টে একটিতে ডিসপিউটের (Dispute) মুখোমুখি হয়েছিলাম। জবটি ইনভাইটেশনে গ্রহণ করেছিলাম। কোনো অফার নেয়ার আগে ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে যাচাই করে নেয়া আমার অভ্যাস। এই জবটি ক্লায়েন্ট প্রোফাইল দেখে নেয়ার ইচ্ছে না থাকেলেও তাঁর পীড়াপিড়িতে নিই। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে শেষের সপ্তাহে কয়েক ঘন্টার জন্য ডিসপিউট ফাইল করে দেয়।

কিন্তু আমি প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলাম। তবু খুবই মেজাজ খারাপ হলো। তারপরও মাথা ঠাণ্ডা করে ক্লায়েন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। নিজে ভুল না জেনেও তাঁকে বিকল্প প্রস্তাব দিলাম। সে কিছুতেই মানবে না!

অগত্যা তাই ডিসপিউট গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ করে দিই।  ফলে আপওয়ার্ক বিষয়টি ইনভেস্টিগেট করে এবং দুদিনের মাথায় তাঁদের ডিসিশন জানায়।

কী করবেন / কী করবেন না?
  • প্রথম থেকেই সচেতন থাকুন। ক্লায়েন্ট যেমন ফ্রিল্যান্সার যাচাই করে কন্ট্রাক্ট দেয়, তেমনি ফ্রিল্যান্সারেরও উচিত ক্লায়েন্টকে খতিয়ে দেখা।
  • টাইম ট্র্যাকারে প্রতিটি কাজের আলাদা আলাদা মেমো রাখেন।
  • আপনার এক্টিভিটি লেভেল অবশ্যই ভালো রাখতে হবে হবে। ১০ এর মধ্যে নিদেনপক্ষে ৮ । খুব গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি।
  • সব ধরনের যোগাযোগ  আপওয়ার্ক মেসেজিং-এ করুন। স্বচ্ছতা বজায় রাখুন।
  • নিজে ইন্টেগ্রিটি ধরে রাখুন। ইন্টেগ্রিটি মানে - কেউ দেখছে না, তবু আপনি দুই নম্বরি করবেন না। 
  • এরপরও যদি ডিসপিউট ঘাড়ে এসে পড়ে, হতাশ হবেন না (রাগ তো একটু হবেই)।
  • বোঝাতে চেষ্টা করুন ক্লায়েন্টকে। বিভিন্ন অল্টানেটিভ সার্ভিস অফার করুন।
  • তাঁকে ডিসপিউট উইথড্র করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
হলো না তো!!!  চ্যালেঞ্জ করতে পারেন এবার। সব ঠিক ঠাকলে ডিসিশন আপনার পক্ষেই থাকবে।

ও হ্যাঁ, আমিও  ডিসপিউটে জিতে ছিলাম।

হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং!
~
সোআপ
[২০১৭০৯২৪/১৭০৫]



Friday, September 22, 2017

উড়ছে ডলার ধরো

একটা ছিলো গোপন কথা বলার
কম্পিউটারে করছে প্রসব আমেরিকান ডলার।
কড়কড়ে সব নোট
দেখতে ভেরি গুড।

খবর পেয়ে হুমড়ি খেয়ে
জাগছে বাংলা হুজুগ
ট্রলার ভরে ডলার নেবো
আমেরিকা বোঝোক।

যদু মধু আলাল দুলাল
লাঙল দোকান ছেড়ে,
নগদ নগদ পিসি কিনতে
আসছে দেখো তেড়ে।

মাউস নড়ে, ব্যস্ত কীবোর্ড
ডলার পাবার নেশায়,
ফ্রিল্যান্সিংটা নিয়েই নিবে
একমাত্র সে পেশায়।

নানান কার্য কসরত করে
ছ'মাস বছর পরে,
হাল ছেড়ে দেয় পাল ডুবে যায়
"এ কাজ কেউ কি করে?"

বোঝে না হায় ডলার কভু
হয় না পিসিতে চাষ,
নানান স্কিলের আবরণে
মাথায় করে সে বাস।

মেধার কাছে ডলার নত
ট্রিক্স ও হুজুগ বিফল,
সখ্যতা হোক দক্ষতাতে
দেখবে তখন কী ফল!

ফ্রিল্যান্সিং-এও ছড়াচ্ছে আলো
বিশ্ব জুড়ে এ দেশ,
শিখে বোঝে জেনে তবেই
সফলতার সে রেশ!
~
২০১৭০৯২২/০৭২৮ 









Sunday, September 10, 2017

দেয়াল

 নীলিমা,

কেমন আছিস? জানি এই চিঠি তোর কাছে  পৌঁছুবে না কোনোদিন। তোর ঠিকানাটাই এমন- কোনো চিঠি যায় না ওখানে। তবে কী জানিস? আমার মন বলছে তোর সাথে আমার দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি। তখন কিন্তু আমরা অনেক কথা বলবো। অনেক গল্প। দুই বছর হয়ে গেলো তোকে দেখি না।

হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো জানিস নীলিমা?  সাদা চাদরে ঢাকা  আমার বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় আমার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।


তোর যখন মরণব্যাধি লিম্ফোমা ধরা পড়ে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো। কিছুই করার ছিলো না কারো। দুসপ্তার মাথায় তুই চলে গেলি। কীভাবে গেলি নীলিমা? একবারও কি ভেবেছিলি- তুই চলে গেলে এই পৃথিবীটা আমার কাছে অন্ধকার মনে হবে। আর নিকষ অন্ধকারে মানুষ কদিন বাঁচতে পারে বল? সেই শিশুবেলাটি থেকে আমরা ছিলাম মানিক জোড়। সবাই তাই বলতো। আমরা আসলে তারও বেশি ছিলাম, তাই নারে? দুজনের এক প্রাণ। প্রাণের সই। নীলিমা আর অদৃজা।

সেই নীলিমা। তুই চলে গেলি। আহা। হঠাৎই। আমি কী করে থাকি বলতো? বিধাতা সেটা ভালো বুঝতে পেরেছেন। তুই চলে যাবার পর পাগলপারা আমি একটা সময় থিতু হয়ে আসছিলাম। তখনই শুরু হলো শরীরের  যন্ত্রণাটা। খুব সহজেই ধরা পড়লো। ব্ল্যাড ক্যান্সার! প্রথমে মা আমার থেকে সব লুকোতে চেয়েছিলো। কিন্তু একটা সময় আমি জানলাম। জেনে আমি হেসেছিলাম। শব্দ করেই। কেনো জানিস? ঠিক এই জায়টাতেও তোর সাথে আমার মিলে গেলো বলে। আমরা জীবনের বন্ধু ছিলাম। মরণের সই না হলে কি হবে? তুইই বল নীলিমা। নীল আকাশে তোর নিশ্চয়ই একা লাগছে?


সেই থেকে এই ওষুধ, সেই ওষুধ করে অনেকদিন হয়ে গেলো। আমার মাকে তো চিনিস। সে পাগলপ্রায়। হাসপাতালের এই ক্যাবিনেও অনেকদিন হয়ে গেলো।






কাল এ ঘরের বাইরে যাবো আমি। আহা মুক্তি!  পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসে। মায়ের হাসিটা যেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা আমার মাথায় হাত রাখে। কী যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । আমার ঘুম এসে যায়। কিন্তু না। ঘুমালে আমার চলবে না। এই চিঠিটা শেষ করতেই হবে আজ।


নীলিমা, ঘুমোবো না বললেও কাল ঠিক ঘুমিয়ে গেছিলাম। কীভাবে যে! ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আমার। দেখি মা তখনও পায়ের  কাছের চেয়ারটাতেই বসা। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে মা। আমিও।  মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ হয় আমার। কারণ আমি জানি, আমার এ রোগ যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা একহাজার ভাগের এক ভাগ। মাসহ সবাই তাই মিরেকেলের অপেক্ষায় আছে। আচ্ছা মিরাকেল বলে কি কিছু আছে? আমিতো জানি, কোনো মিরেকেলই কাজে আসবে না আর। এক বাঁধন যে আমায় ডাকছে।

নীলিমা, অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযতনে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় আমাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে আমায়। কপালে চুমু  খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক'ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স। আমার এই মনে মনে তোকে চিঠি লেখাটা চলছেই।

অপারশন থিয়েটার  রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা  ঠেকে আমার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে কাছে।হঠাৎ আমার মনে হয় রুমের ছাদটা  অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। কী করে এতো নিচে নেমে এলো ছাদটা? আমি মুহুর্তের জন্য খুব অসহায় ফিল করি।  পাশে দেখার চেষ্টা করি। সাদা দেয়াল ছাড়া  কিছুই দেখতে পাই না আমি।

Saturday, September 9, 2017

ফ্রিল্যান্সার'স আই কেয়ার | ড্রাই আই (Dry Eye Syndrome)- কারণ ও প্রতিকার


চোখের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি দুবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে আমার। ভেবেছিলাম হয়তো পাওয়ার চেঞ্জ হয়ে গেছে। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানালেন যে আমার পাওয়ার ঠিকই আছে। অর্থাৎ, চশমা চেঞ্জ করতে হবে না। কিন্তু আমার আই ড্রাইনেস দেখা দিয়েছে। আমার প্রফেশন সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন করে তিনি যা জানালেনঃ
  •  স্বাভাবিকভাবে চোখ সাধারণত যে ক'বার পলক ফেলে, কম্পিউটার / স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের সময় তার চেয়ে অনেক কমবার চোখের পাতা পড়ে। ফলে আমাদের চোখ ড্রাই হয়ে যায়। (When working at a computer or using a smartphone or other portable digital device, we tend to blink our eyes less fully and less frequently, which leads to greater tear evaporation and increased risk of dry eye symptoms.)
ড্রাই আই-এর লক্ষণসমূহঃ
  • Burning sensation
  • Itchy eyes
  • Aching sensations
  • Heavy eyes
  • Fatigued eyes
  • Sore eyes
  • Dryness sensation
  • Red eyes
  • Photophobia (light sensitivity)
  • Blurred vision
করণীয় কীঃ 
ড্রাই আই হলে অনেকভাবে এর প্রতিকার করা যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর এ বিষয়ে আমি কিছু রিসার্চ করি। বিষয় অনেক ব্যাপক। আমি শুধু কটি ফোকাস পয়েন্ট তোলে ধরছি। এখানে দুটি উপায় উল্লখ করা হলোঃ
মেডিক্যাল ট্রিট্মেন্টঃ ডাক্তারের পরামর্শে আর্টিফিশ্যাল টিয়ার ব্যবহার করা যায়। তবে এক নাগাড়ে এক মাসের বেশি চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
প্রতিদিনের কর্মাভ্যাসঃ 
  •  আপনার ওয়ার্করুমের লাইটিং এডজাস্ট করে নিন।
  • আপনার চোখ ও আপনার কম্পিটারের উচ্চতা কমফোর্টেবল লেভেলে রাখুন।
  • কাজের ব্রেক নিন (Give your eyes a rest)।
  • প্রতি ৩০ মিনিট কাজের পর ৩০ সেকেন্ড চোখ বন্ধ রাখুন (গুরুত্বপূর্ণ)।
  •  ভালো হয়,  ২০-২০-২০ সূত্রটি ফলো করতে পারেন  (the "20-20-20 rule") Every 20 minutes, spend 20 seconds looking at something 20 feet away. (গুরুত্বপূর্ণ) 
  • ধূমপানকে "নাঃ বলুন (Stop smoking and avoid smoke)
  • আপনার কম্পিটারের ডিসপ্লে লাইটিং এডজাস্ট করুন।  

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়