Monday, March 28, 2016

আঁখি

এমন আঁখি ছুঁয়ে থাকুক
ভালোবাসার স্বপন,
আঁখির হৃদে- জেগে নিদে
অণু সুখের বপন।

Sunday, March 27, 2016

আদুরি উপাখ্যান


[[নদী, পুষ্পিতা, উষ্ণতা কী সুন্দর কাব্যময় নাম
কী দানবীয় হৃদয়হীনতা!!]]
[আদুরি তাও বেঁচে গেছে জীবনে; কিন্তু জান্নাত?]

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি ঠিক
অতি আদরেরই ধন ছিলো সে তবু
মায়ের কাছে।
আদুরি!! আহা কী আদর মাখানো একটি নাম!
ছোট্ট এগারো বছরের এ জীবনে আদুরি
এ কী নির্মমতার স্বাক্ষ্য হয়ে র'লো!
কী যে নৃশংসতা!!

আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।

দাসপ্রথা কি হয়নি বিলুপ্ত এখনো
আদুরি গৃহদাসী ছিলো কি
কিংবা দাসেরাওতো রক্তমাংসের অনুভুতিশীল হয়।
আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।

উত্তর-আধুনিক এ সময়ে
দাসপ্রথাকেও কি আমরা গিয়েছি ডিঙিয়ে?
নদী, পুষ্পিতা, উষ্ণতা প্রমুখ নামীয়
নারী দাস-প্রভুরা কি করে পারে
হতে এতোটা নিষ্ঠুর!!

অথবা দাস-প্রভু কি তারা আদৌ
নাকি চাকরিদাতা শুধু
খুন্তি দিয়ে কিভাবে দেয় তবে স্যাকা
খুঁচিয়ে করে রক্তাক্ত ভোঁতা ব্লেডে!!
একটি কোমল শিশুকে।
আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।

আহা আদুরি
আহা সমাজ আমাদের
আহা মানবিক অনুভুতি
আহা উত্তর-আধুনিকতা
উত্তর-আধুনিক দাস-প্রথা আহা!!
আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।

ভাত এক মুঠো
তা সে যা তা দিয়েই হোক
খুব কি বেশি চাওয়া ছিলো তার
এ সমাজের শিশু আদুরির।
ঠিকানা হলো তার ডাস্টবিন শেষতক
বেড়াল, কুকুর কিংবা শকুনির খাবার!!
আমি লজ্জিত
দুঃখিত আমি আদুরির কাছে।

বেঁচে গেছে তবু আদুরি
নিজেরই জীবনী-শক্তির আধার হয়ে
বুড়ো আঙুল দেখাতে কি পারে না আদুরি
এ সমাজকে?

নদী, পুষ্পিতা, উষ্ণতা কী সুন্দর কাব্যময় নাম
কী দানবীয় হৃদয়হীনতা!!

আচ্ছা বড়ো হয়ে আদুরি
গৃহকত্রী হবেতো? নারী দাস-প্রভু
বাড়িতে তার থাকবে গৃহদাসী (!)
নাম তার ফালানিও হতে পারে।
শরীরের ক্ষত জানি শুকাবে একদিন আদুরির।
আর হৃদয়ের ??
কালের স্বাক্ষ্যি হয়ে আদুরি
গৃহদাসীকে তার বুকে তো নেবে আদরে??
আধুনিক জীবনযাপনে করবে যোগ হৃদয়ের।
[রচনাঃ ২০১৪-০৩-২৬]

অণু

'ভাব' স্বভাবে দোরেই ছিলো
ইচ্ছে লভিতব্য,
অভিমানে কয়নি কথা
হয়েও দ্রবিতব্য।

কষ্টাণু

বিশ হাজার টাকা পেলাম
পাবো জমি খাস,
অতঃপর শোক ও বিলাপ
যাক না হয়ে নাশ !
26.3.16

দেশের গান

দেশের গানে যে সুখ মেলে
তার কোথাও তো নেই জুড়ি,
উল্টাপাল্টা সুর বিকোতে
কেনো যে মিছেই ঘুরি!

দেশের গানের কথায় যে প্রেম
মনে জাগায় শিহরণ,
ভিনদেশি সব তাল ও লয়ে
যায় কভু তা কি হরণ?

দেশের কথায় মায়ের কথায়
নিত্য জাগে তনুমন,
সবার থেকে বড়ো এ প্রেম
চিত্তে থাকে অনুক্ষণ।
-
২৬ মার্চ ২০১৬

অণুঅনুভব‬

স্বাধীনতা চাই না শুধু দলিলে
কথা কাজে
স্বপ্নভাঁজে
কী অনিন্দ্য রূপ ও রসে ফলিলে!
‪#‎অণুঅনুভব‬
26/3/16

অণুঅনুভব‬

আছে দুঃখ কষ্ট খেদ - সবই ভালোবাসি বলেই।
|| ঘোচে যাক যা দীনতা
প্রাণ পাক স্বাধীনতা ||
‪#‎অণুঅনুভব‬
26.3.16

Friday, March 25, 2016

#‎অণুঅনুভব‬

তুই-ই যে আরাধ্য হয়ে
থাকিস মন-কুটিরে,
ঝড়-ঝঞ্জা-বিক্ষুব্ধ কালে
হয়ে শক্ত খুঁটি রে!
‪#‎অণুঅনুভব‬

গরবের ঢাকা


ঢাকায় থাকার মূল্য অনেক। ঢাকার জীবনযাত্রার ব্যয়ভার কানাডার মন্ট্রিলের সমান আর টরেন্টোর চেয়ে বেশি।
• অনেক মূল্যবান এ নগর্।
•• মূল্য নেই শুধু
~ নাগরিক সময়ের
~ নাগরিক জীবনের
ঢাকাবাসীর কাছে নাগরিক সেবার সংজ্ঞা কী হবে জানি না।


২৫/৩/১৬

#‎পরানেরকথা‬

হাতের চেয়ে অজুহাতটা
বড়ো সংখ্যায় শক্তিতে,
ভাবের প্রভাব কাজে এনে
বিজয় গড়ো ভক্তিতে।
‪#‎পরানেরকথা‬
২৪/৩/১৬

লিমেরিকঃ জলের কাব্য



|||
দিস্তা দিস্তা কথার পরও তিস্তা থাকে জলবিহীন
মৃতপ্রায় এ নদী এখন খালের থেকেও বলবিহীন
তিস্তায় আবার জাগুক নাব্য
উথালপাথাল জলের কাব্য
ভ্রাতৃত্ব হোক বন্ধুতা হোক নিরেট শাদা ছলবিহীন।
-
২০১৬০৩২৪
PC: Bd pratidin

অণু

তীরে এসে যায় ডুবে তরি,
কষ্টে মরমে আহা মরি
স্লো এন্ড স্টিডি উইন্স দ্য গেম
কেনো যে ছিলো তড়িঘড়ি!!

#‎অণুঅনুভব‬

চেখে সেসব মেমরি
আহা আমি যে মরি
সময় যে সোনার হরিণ
ক্যামনে যে তারে ধরি!
‪#‎অণুঅনুভব‬

জো নেই / জোহা আছেন

তানভীর হাসান জোহা'র গল্পটা জানার হয়তো জো নেই! তাতে কী! পরিবার ফিরে পেয়েছে তাঁকে। একজন মানুষের শূন্যস্থান, সে-ই মানুষটি ছাড়া কি পূরণ সম্ভব? জানার জো নেই- না থাক। জোহা আছেন। এই এই ঢের!
২৪/৩/১৬

অণুঅনুভব‬

মায়ায় আছো
আছো মোহে,
চাই যে প্রেমে
চাইতো দ্রোহে|
এই ধরাতে
অন্য গ্রহে।
‪#‎অণুঅনুভব‬

অণুঅনুভব‬

শতো দুঃখ প্রাণমনে
কেবলি যে সঙ্গোপণে
.........রেখেছি তা বাঁধিয়ে,
তুমি তো গড়েছো তাজ
যতনে পড়েছো সাজ
......এ আমাকে কাঁদিয়ে।
‪#‎অণুঅনুভব‬

মৃত্যুর পর থেকে আমি মানুষ


নেকড়েদল আমাকে খুবলে খাবার পর
আমি তোমার বোন,
আজন্ম স্বপ্ন আমার ছিন্নভিন্ন পেজাতুলোর মতো উড়ে যাবার পর
আমি তোমার কন্যা,
এক মুঠো নিথর মাটি আর আমার মাঝে বিভেদটুকু মুছে যাবার পর
আমাকে তুমি কাগুজে জীবন দাও,
এভাবে মৃত্যুর পরই কেবল তুমি
আমাকে মানুষ করে তোলো।
--
২৩ মার্চ ২০১৬

Monday, March 21, 2016

#‎অণুঅনুভব‬

মানব জনম আটকে আছে
কঠিন মায়ার জালে,
কেউ তা বুঝি সময় মতো
কেউ অসার অকালে।
‪#‎অণুঅনুভব‬
20/3/16

#‎পরানের কথা‬

আমি তো হায় ভাবছি আমায়
আমিই সেরা, সাধু;
আমার সাদার আছে আঁধার
ভাবছি কি তা আদৌ!
‪#‎পরানেরকথা‬
20/3/16

চিন্তার শুদ্ধতা কতোদূর?

স্মার্টনেস ও স্বার্থলোভে আমাদের চিন্তাগুলো ক্রমাগত অশুদ্ধ হয়ে পড়ছে । অশুদ্ধ চিন্তাধারা আর অপবিত্র প্রয়াসের জন্যই আজ ঘর, পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রে বেড়ে যাচ্ছে অযাচিত সব ঘটনা ।
|
চিন্তার শুদ্ধতা কতোদূর?
20/3/16

লোভ/ ক্ষোভ


লোভটাকে টুপ করে পুঁতে ফেলি
গর্তে,
ক্ষোভটাকে চুপ করে জেলে দিই
মরতে।
‪#‎অণুঅনুভব‬

19/3/16

হায় ছি: ছি

একটা নাকি সংস্থা আছে
আই সি সি
সেখানেও কি ফাউলপ্লে হয়!
হায় ছি: ছি : !!

অণু অনুভব

দেখো আমায় হাসিখুশি
যখন চাও যতোটা
দেখো নাতো ভেতরবাড়ির
ঝলসে যাওয়া ক্ষতটা।

অণু অনুভব‬

বৃত্তজুড়ে আমার ভালোবাসা
তুমি শুধু বিন্দু ছোঁয়া দিও,
জানুক বা না জানুক কেউ ধরায়
তুমিই আমার অন্ত: বন্ধু প্রিয়।
‪#‎অণুঅনুভব‬
17/3/16

টাকা নেই

টাকা নেই
ফাঁকাতেই
------ভাগ্যটা দুলছে,
তাকাতেই
ঢাকাতেই
...চাঁঁদরুটি ঝুলছে।
(গত বছর এদিনে লেখা)

No Love True Love


I ply through your mind
I see your hypocracy
I turn them into love.

I ply through your mind
I see hatred otherwise
I turn them into love.

I ply through your mind
I see your double stands
I turn them into one love.

I heed the live love onto your mind
Magnetize...relentless
To turn your fake love or no love
Into true love!
...
SAP
20160316

‎অণু অনুভব‬

টাকা গ্যাছে জুয়ার থালায়
স্মার্ট দুনিয়ার ক্যাসিনো,
জুয়ারিদের বুদ্ধি ম্যালা
ফেইল ডিজিটাল মেশিনও।
‪#‎অণুঅনুভব‬
15/3/16

নিয়তি


নেই যদি কেউ দেখার
ইচ্ছে হলেই আমি হতেম
মস্ত বড়ো হ্যাকার্।
এমন সুযোগ ফস্কে যাবে
জীবনটা কি ন্যাকার?
বলবো এবার "ওহে বেলা
নই আমি আর বেকার"।
হা হা এ ফল হস্তরেখার
নইলে উড়াল-সাধ্যি হতো
রিজার্ভড ডলার টেকার???
15/3/16

পরানের কথা‬

কথায় তিনি বেজায় পটু
একশোতে একশ
কাজের বেলায় ঠনঠনাঠন
বুঝবে যদি ঠেকছো।
‪#‎পরানেরকথা‬

Wee Feel

Today I'm here
Tomorrow mayn't be
'Who am I, who were'
Difference define me!
‪#‎Weefeel‬
14/3/16

অণু অনুভব‬

তোমার আকাশ তারায় ভরা
সূর্য থাকে থাকে চাঁদ,
আমার কেবল রয় গ্রহণকাল
রাতের ওপার থাকে রাত।
‪#‎অণুঅনুভব‬
14/3/16

Weefeel‬

You've your sky along and over
With lustrous smiling moon
Full of twinkling star.
I've my sky
With piercing black ray over and over
Beacon beckoning from far!
‪#‎Weefeel‬

14/3/16

Corpo-rat!!(কর্পো-ইঁদুর )

Corpo-rat!!(কর্পো-ইঁদুর )
মোসাহেব পরিবেষ্টিত হয়ে সাহেব সবসময় এতো বেশি তৈলসিক্ত থাকেন যে, বেচারা প্রকৃতকর্মীদের অবস্থা অনেকটা পাটিগণিতের বাঁশ বেঁয়ে ওঠা বানরের মতোই হয়ে যায়- এক ইউনিট এগোয় তো; দু'ইউনিট যায় পিছিয়ে।
হায়রে কর্পো-ইঁদুর (‪#‎Corporat‬)!
13/3/16

অণু অনুভব‬

তাঁর আশাতে দিন কেটে যায়
সাঁঝ গড়িয়ে প্রাত,
আমার আপন হয়ে থাকে
কেবল অমা রাত।
‪#‎অণুঅনুভব‬
13/3/16

অণু অনুভব‬

সকাল দুপুর সাঁঝে ডাকি
তুমি অনড় নেই সাড়া,
এইতো সময়- জীবন এমন
যায় গড়িয়ে এই ধারা।
‪#‎অণুঅনুভব‬
13/3/16

‎অণু অনুভব‬

তোর হৃদয়হীনতা দেখে তোকে ঘিরে আমার স্মৃতি, সোনালি সময় এবং সব সত্যও আজ দ্বিধাগ্রস্ত! কী করে পারিস তুই?- যে তুই আমার ছোঁয়ায়-ছায়ায় কাটিয়েছিস কাল! সে-ই সময়টাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। আহা!
‪#‎অণুঅনুভব‬
12/3/16

অণু অনুভব‬

কষ্টগুলোন আমার আগেই
দখল নেয় আমার ঘরের,
দহনস্রোতে ভেসে ডুবে
সময় যাপন এই পরের্।
‪#‎অণুঅনুভব‬
11/3/16

অণু অনুভব

তোর বোধে আজ অন্য আকাশ
আমার নীল আর ছোঁয় না মন,
ভুলেই গেছিস এ রঙ মেখে
কাটতো তোর কাল অনুক্ষণ।
‪#‎অণুঅনুভব‬

অণু অনুভব‬

তোর সেসব আর নেইতো মনে
স্মৃতি বুঝি কাজ করে না?
আমার যে সব নিটোল নিপাট
ভালোবাসায় ভাঁজ পড়ে না!
‪#‎অণুঅনুভব‬
10/3/16

অণু অনুভব‬

আমার আদর ভালোবাসা
ভাবিস মেকি ভুল ছিলো!
আকাশ ছুঁয়ে ভুলেই গেছিস
ওটাই রে তোর মূল ছিলো ।
‪#‎অণুঅনুভব‬
10/3/16

বিশ্ব কবিতা দিবস আজ (World Poetry Day Today)

আজ “বিশ্ব কবিতা দিবস”। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ মার্চকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, “এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।”
পূর্বে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হত। প্রথম দিকে কখনও কখনও ৫ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়। অনেক দেশে আজও অক্টোবর মাসের কোনো দিন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়।এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা বিদ্যমান।
কবিতা কী? কবিতার গুরুত্ব কটোটুকু আজকের এই সমাজে? – এসব নিয়ে বিতর্ক হয়তো করা যায়। কিন্তু কবিতা যে হৃদয়ের সুকুমারবৃত্তিকে লালন করে তাতে সন্দেহ নেই। কবিতা অনেকক্ষেত্রেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করে।
বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমে সমকালীন কবিতাকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা মনে করে, কবিতা হলো কিছু মানুষের অপ্রয়োজনীয় সৃষ্টি কিংবা মিথ্যা ভাষ্য মাত্র। তবে কবিতাকে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করি কিংবা কবিতা আমাদের চেতনাকে কতটা জাগ্রত করে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কবিতায় সমসাময়িক বিষয় ওঠে আসবে এটা স্বাভাবিক। কবি এস টি কোলরিজের মতে—‘কোনো কবিই বড় কবি হতে পারেননি সত্যসন্ধ দার্শনিক হওয়া ছাড়া।’
আজকের দিনে, আমাদের কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ –এর “আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি” কবিতার অংশবিশেষ তোলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি নাঃ
জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা,  
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা।  
যে কবিতা শুনতে জানে না 
সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে। 
 যে কবিতা শুনতে জানে না 
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। 
 যে কবিতা শুনতে জানে না 
  সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।“ 
 
 
— তথ্যসূত্রঃ বাংলা উইকিপিডিয়া

Tuesday, March 8, 2016

নারীর জন্য দু'ছত্র হৃদ্য ভালোবাসা



নারী

নারী কভু মা কিবা বোন
প্রেয়সী হয় কারো,
জীবন চলার পথে নারী
ছায়া নিবিড় গাঢ়।

হোক সে চাকমা মনিপুরী
হাজং কিংবা গারো,
সে যে মানুষ, দেশের মেয়ে
‘না, না’ করতে পারো!

নারীর আছে বিদ্যাবুদ্ধি
আছে অধিকারও
বঞ্চিত সে না হয় যেনো
খেয়াল রেখো তারও।

নারীর প্রতি সহিংসতা
অপমানটা ছাড়ো,
হৃদ্য ভালোবাসায় দুয়ে
সমান তালে বাড়ো।
-


মানুষ হ

নারী কেবল ভোগ-সামগ্রী
সে কি মানুষ মোটে না?
কেনো তবে তার কপালে
প্রাপ্যটুকু জোটে না?

নারী কেবল মানুষ তো নয়
মায়ের চরণ স্বর্গ সে,
তবু কেনো নারীর তরে
নিগ্রহ – তা বর্গ সে?

নারী কভু আদরের বোন
কভু প্রাণের সখা সে
কেনো অযাচিত থাবা!
আদর পাখি চখা সে।

নারী হলো শান্তি-ছায়া
জীবন যুঝে রোজই সে,
তবু কেনো জীবনবাজি
হয় যে লোভের ভোজই সে!

নারী তো আজ সমান তালে
মেধা এবং মননে,
ঘরে সে মমতাময়ী
যোগ্যও সে রণনে।

নারীর ভালোবাসার ঋণে
সবারই তো দায় আছে,
সেই সে নারীর অপমানে
কারোরই সায় আছে?

নারীর কেনো পথেঘাটে
থাকেই তবু নিগ্রহ?
ভুল পথের সেই পুরুষ অংশ
মানুষ তোরা শীঘ্র হ।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস: সর্বস্তরের নারী ও আমাদের সমাজ

নারী এবং বাস্তবতাঃ
নারী ও পুরুষ মানব জাতির দুটি রূপ। সৃষ্টিকর্তা এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীর মানুষ, গাছপালা, পশু পাখি, ধূলিকণা, সাগর নদী, পাহাড় পর্বত সব। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। পৃথিবীর চালিকাশক্তির প্রধান ভূমিকায় রেখেছেন মানুষকে মহিয়ান সৃষ্টিকর্তা। মানুষ পৃথিবীতে এসেছে নর এবং নারী হয়ে। ‘আদম’ এবং ‘ঈভ’ মানবজাতির আদি পিতা ও মাতা। সৃষ্টির শুরু থেকেই পৃথিবী চলছে নর তথা পুরুষ ও নারীর যৌথ প্রচেষ্টায়। একা নারী কিংবা একা পুরুষ বড় কিছু করতে পারেনি কখনো। আর তাই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় বলেছেনঃ

“কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী পুরুষের তরবারী
প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী।”
“বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”

সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সমান মর্যাদা সম্পন্ন করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো- সমাজে নারী অনেকক্ষেত্রেই বৈষম্যের নির্মম শিকার। নির্যাতন আর অত্যাচারে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে অনেক নারীর জীবন। এটা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। কারণ, সৃষ্টির কাঠামোতে পুরুষ আর নারীকে সমান দক্ষতায় আঁকা হলেও পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়া হয়নি। এ সমাজে পুরুষরা স্বঘোষিত মানুষ হয়। কিন্তু নারী যেনো সবসময় মানুষ নয়- তার যেনো রয়েছে অন্য এক অস্তিত্ব। শুধু ভোগ করার সময় তাকে আদর করে মানুষ বলে ডাকা হয়। কিন্তু অধিকারের প্রশ্ন আর মর্যাদার প্রশ্নে পুরুষ নারীকে তার সমকক্ষ হিসেবে স্বীকার করতে দ্বিধা করে। অনেকসময় শারীরিক, মানসিক ও বস্তুগত বৈষম্যের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য দেয়াল তুলে তাকে বুঝিয়ে দিতেও কুণ্ঠা করে না যে নারী একটি দ্বিতীয় শ্রেণির ভোগ্যপণ্য বা প্রাণীবাচক অস্তিত্ব। তাই, কিছু ব্যতিক্রম সহজভাবে মেনে নিয়েই বলতে হচ্ছে – নারীর সত্যিকার অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমাদের আরো অনেকপথ হাঁটতে হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসঃ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আন্তর্জাতিক নারী দিবস- আজকের পর্যায়ে আসার পেছনে লম্বা ইতিহাস আছে। প্রথমে ৮ই মার্চ ‘বিশ্ব শ্রমজীবি নারী দিবস’ হিসেবে পালিত হতো। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্যই ‘শ্রমজীবি নারী দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করা হতো। জাতীয়ভাবে নারী দিবস প্রথম উদযাপিত হয় ১৯০৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী, যুক্তরাস্ট্রে। পরের বছর কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে ‘নারী দিবস’ উদযাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ঐ সম্মেলনে জার্মান সমাজবিদ লুইস জিৎস আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রস্তাব করেন, তাঁকে সমর্থন জানান কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিন।
পরের বছর ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নের অধিক জনগন প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের পক্ষে মত দেয়। সেটা ছিলো ১৮ই মার্চ। এই দাবী ধীরে ধীরে নারীর সমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রূপ লাভ করে। নারীকে ‘নারী’কে নারী হিসেবে নয়, ‘মানুষ’ হিসেবে সম্মান দেয়ার দাবী ছিলো তাদের। আমেরিকায় ২৮শে ফেব্রুয়ারিতেই ‘নারী দিবস’ জাতীয়ভাবে পালিত হতো। কিন্তু রাশিয়ায় ১৯১৩ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন আয়োজনের উদ্যোক্তারা লক্ষ্য করলেন যে, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে যে দিনটি ২৮শে ফেব্রুয়ারি হিসেবে চিহ্নিত, তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ৮ই মার্চ হিসেবে চিহ্নিত আছে। সেই থেকেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসেব আনুযায়ী ৮ই মার্চ বিশ্ব নারীদিবস পালিত হয়ে আসছে। অনেক পরে, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সকল সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, ৮ই মার্চ দিবসটিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য। স্ব স্ব দেশের ঐতিহাসিক, জাতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রথার আলোকে নারীর অধিকার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দিনটিকে পালনের জন্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস জনপ্রিয়তা লাভ করে আজকের পর্যায়ে আসে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬: প্রতিপাদ্যঃ
‘অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’
The 2016 theme for International Women’s Day is
“Planet 50-50 by 2030: Step It Up for Gender Equality”.
আমি বলতে চাইঃ ।
নারী পুরুষ সমানে
মানে এবং ধীমানে
আছে এগিয়ে যাবার গল্প
নারী প্রগতিঃ পরিসংখ্যান যা বলেঃ
সমাজ যখন নারী প্রগতি, নারী আন্দোলন আর নারী নির্যাতন বন্ধের শ্লোগানে তুঙ্গে, তখনও সর্বস্তরের নারীদের নিয়ে বিচার করলে তারা কোন পর্যায়ে অবস্থান করছে- তা চিন্তার বিষয়। “অমুকের ঘর ভেঙ্গে গেছে, অমুক মায়ের মর্যাদা পেতে চায়, কিশোরী ধর্ষিতা, কাজের মেয়ে নির্যাতন ইত্যাদি খবরের হেডলাইন প্রতিদিনের সংবাদপত্রে একজন হৃদয়বান ব্যক্তি দেখতে না চাইলেও নিউজগুলো ঠিক আসে। নারীর অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। কিন্তু নির্যাতন কি কমেছে? না। নির্যাতনের টেকনিক পাল্টেছে আর বেড়েছে নির্মমতা।
মহিলা পরিষদের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- গতবছর জানুয়ারি মাসে দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৮৪ জন নারী। এঁদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৫৫ জন আর গণ- ধর্ষিত হন ৯ জন । ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ৭ টি। শ্লীলতাহানি হয়েছে চার নারীর।– এ পরিসংখ্যান পত্রিকা প্রকাশিত তথ্য থেকে নিয়েছে মহিলা পরিষদ। প্রকৃত ঘটনা নিশ্চয়ই অনেক বেশি। নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনাই পরিবার পর্যায়েই চাপা পড়ে থাকে।
এছাড়া, দৈনিক সমকাল-এ গত ১ জানুয়ারি ২০১৫ প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে, “২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ৬৫৪ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৩৯টি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৯৯ জনকে। মহিলা পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে এ খবর দেয়া হয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দাবি করেছে গত এক বছরে ১৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ নারীকে।
আছে কষ্টের বাস্তবতা মহিলা পরিষদ জানায়, গত বছরে এসিডদগ্ধে মৃত্যু ৪, অপহরণ ১১৮, নারী ও শিশু পাচার ৩০, নারী ও শিশু হত্যা ৮৯৮, যৌতুকের জন্য নির্যাতন ৪৩১, উত্ত্যক্তের শিকার ৪৬৫, বিভিন্ন নির্যাতনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ৩৪১ ও ৯৩ জন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রিপোর্টমতে গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫ হাজার ৬১ জন। এর মধ্যে যৌন নির্যাতনে হত্যা ২৭, যৌতুকের কারণে হত্যা ৩০, এসিড নিক্ষেপে ১, পারিবারিক সহিংসতায় ৬৮৫, রাজনৈতিক হত্যা ১০১ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ৮৬ জন। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার ১৬ ও ৯টি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।”
উল্লেখিত দুটি পরিসংখ্যানে সংখ্যাগত কিছু হেরফের আছে – এ কথা ঠিক। কিন্তু শুধু সংখ্যা গণনায় না গিয়ে সাধারণভাবে এটা অস্বীকার করার জো নেই যে, দেশজুড়ে নারীরা নিগৃহীত হচ্ছে অস্বাভাবিকহারে। যে নারীকে জাতীয় কবি ‘বিজয়ী- লক্ষ্মী’ বলে গেছেন, সে নারী আজ যেনো সমাজে আপদ!

নারী বা পুরুষঃ মানদণ্ড হোক পারস্পারিক সম্মান ও বোধে উজ্জীবিতঃ
কেনো ঘটে এসব? নারীর উপর কেনো চলে এতো অত্যাচার? সমাজের কি কিছুই করার নেই? বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে কি দায় সাড়া যায়? কিংবা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে কতোটা অর্জন হচ্ছে তা ভাবতে হবে। (ছবিঃ রয়টার)
পুরুষের প্রতিপক্ষ হয়ে নয়; মানুষ হিসেবে নারীর আছে পূর্ণ অধিকার সবকিছুতে। নারী ও পুরুষ তাই পরস্পরের সহযোগী হয়ে নিজেদের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানবতার উন্নয়নেও বৃহৎ পরিসরে ভূমিকা রাখতে পারে।
নারীর প্রতি মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। নারীর প্রতি বিকৃত মানসিকতাকে নৈতিক অবক্ষয়ই বলা যায়। আর এমন নৈতিক অবক্ষয়ের পরিণতি হবে খুব নেতিবাচক। মানবতার উন্নয়ন রবে সুদূর পরাহত।
তাই চাই এ মানসিকতার পরিবর্তন। আর তা লোক দেখানো কিছু আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে সম্ভব নয় মোটেও। শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, র‌্যালী আর বক্তৃতা করে খুব যে ফল আসবে তা নয়। সমাজকে, দেশকে যারা কিছু দিতে চান, এ কাজে এগিয়ে আসতে পারেন তাঁরা।
যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিদ্বেষের বীজটি ঢুকে গেছে, তাদেরকে সুস্থ চিন্তায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। সফল না হলে আইনের হাতে দিতে হবে ছেড়ে। তবে সে আইনকে হতে হবে সত্যিকার অর্থে আইন।
আমাদের ভাবতে হবে আগত দিনের কথা। আমাদের নতুন প্রজন্ম, যারা আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ কর্ণধার, ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে তাদের মানসিকতা মানবিক করে গড়ে তোলার সার্বিক প্রয়াস নিতে হবে। তারা যেনো পুরুষ হয়ে নারীকে মানুষ ভাবতে শেখে এবং নারী হয়ে পুরুষকে নিছক প্রতিপক্ষ বা শত্রু না ভাবে। সমচিন্তা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
বলিষ্ঠভাবে বলতে হবে- নারীরা এ সমাজের আপদ নয়, যথেচ্ছভাবে ব্যবহারের পাত্র নয়; নারী হলো পুরুষের বন্ধু, ‘বিজয়ী লক্ষ্মী’। তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। পৃথিবী আমাদের। নারী ও পুরুষের মানবিক বোধকে মূল্য দিয়ে একে সুন্দর করার দায়িত্ব আমাদের সবার।

সো আ প
০৭ মার্চ ২০১৬
আপডেটেড এন্ড রিফাইন্ড ফ্রম প্রিভিয়াস পোস্ট।

Thursday, March 3, 2016

লিমেরিকঃ মশারি •• মশারই


মশারি তো নয় শুধু আর রাত্রিবেলার জন্যে
দিনের বেলাও পেতে তারে যাই হয়ে যাই হন্যে
মশার দাপট অন্তহীন
কামানগুলো দন্তহীন
মশা মশাই মশাময় আজ নাগরিক ঘরকন্যে।
...
‪#‎লিমেরিক‬
০৩/০৩/২০১৬

Tuesday, March 1, 2016

একজন গুলতেকিনঃ তাঁর জন্য মুগ্ধতা

গুলতেকিন ও প্রজ্ঞাঃ বইমেলা- ২৮/২/২০১৬




একজন Gultekin কে জেনেছি প্রিয় Humayun Ahmed এর লেখা পড়েই। কীভাবে একটি স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আর একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ভালোবাসা, সংসার, তিন কন্যা আর হিমুর মা ~ সব মিলিয়ে তাঁর জন্য একটা শ্রদ্ধার জায়গা মনে ছিলো। আজও আছে। ভালো থাকুন Gultekin!

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়