Saturday, July 8, 2017

ফ্রীল্যান্সিং | ক্লায়েন্ট কড়চা-২



ফ্রীল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট নিয়ে অনেক কথা থাকে। বৃত্তান্ত থাকে। মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টগণই যেহেতু ফ্রীল্যান্সারদের স্কীলস কিনে থাকে, তাই ক্লায়েন্টদেরকে ভালোভাবে বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । কোনো জবে এপ্লাই করার আগে জেনে নিতে হবে ক্লায়েন্টের মতিগতি। এটা বলা যায় ক্লায়েন্ট ডিলিংস। এটা সহজ কাজ নয়। আর তাই যে এই কাজে দক্ষ তাঁর ভালো ক্লায়েন্টটেল (clientele) থাকে। কাজের জন্য তাঁদের আর কোনো চিন্তা করতে হয় না।

ক্লায়েন্ট-যাচাইঃ কেনো জরুরি?

কোনো জবের জন্য এপ্লাই করার আগে কিংবা কোনো ইনভাইটেশন রিসিভ করার আগে ক্লায়েন্ট -প্রোফাইল ভালোভাবে দেখে নেয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জন্য ক্লায়েন্ট যেমন সেরা ফ্রীল্যান্সারটি প্রত্যাশা করেন তেমনি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে আপনারও প্রয়োজন একজন ভালো ক্লায়েন্ট। একজন প্রফেশনাল ক্লায়েন্ট। এর ব্যত্যয় ঘটলে সর্বনাশ! অতি যত্নে গড়া প্রোফাইলের বারোটা বেজে যেতে পারে আপনার। আর একজন ভালো ক্লায়েন্ট আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে বহুদূর। তাই যাচাই করুন। বাছাই করুন। তারপর সামনে যান।



কী দেখে নেবেন জবে এপ্লাই করার আগে? 
  • একাউন্টঃ দেখে নিন ক্লায়েন্টের একাউন্ট ভেরিফাইড কিনা। গ্রীন টিক মার্ক পাবেন ভেরিফাইড একাউন্টে। ভেরিফাইড নয় এমন ক্লায়েন্টের দায় ভার আপওয়ার্ক নেবে না।
  • টাইম-জোনঃ ক্লায়েন্টের টাইম-জোন দেখে নিতে পারেন। যদিও বাইডিফল্ট, আমরা বেশিরভাগ ক্লায়েন্টের বিপরীত সময় বলয়ে পড়ে গেছি। 
  • খরচাপাতিঃ  দেখে নিন ক্লায়েন্ট কতোটি কাজে কী পরিমাণ খরচ করেছেন এবং তার এভারেজ আওয়ারলি রেট কতো? এটা দিয়ে তার খরচাপাতির মানসিকতা বুঝতে পারবেন। আর মিলিয়ে নিতে সুবিধা হবে- আপনার আস্কিং রেটের সাথে তা সামঞ্জস্য কিনা। গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এ বিষয়টি। 
  • হায়ারিং রেটঃ কিছু ক্লায়েন্ট আছে - জব পোস্ট দেয়াই তাঁদের বাতিক। হায়ারিং-এর খবর নেই। এসব ক্লায়েন্টের জবে এপ্লাই করে আপনার মূল্যবান কানেক্ট কেনো খরচ করবেন?
  • ফিডব্যাকঃ  ক্লায়েন্ট যেমন আপনার ফিডব্যাক দেখে নেয়। আপনিও দেখে নিন না তার ফিডব্যাক। দেখে নিন - ফিডব্যাক স্কোর এবং ফ্রিল্যান্সারদের করা কমেন্ট। ক্লায়েন্টকে বুঝতে সুবিধা হবে। 

এতোকিছুর পরও হয়তো কিছু সমস্যা থেকেই যেতে পারে। কিন্তু প্রত্যাশা করে যায় - ভালো হবে আপনার ক্লায়েন্ট। সফল হবে আপনার প্রজেক্ট। লেটস বী পজিটিভ।

হ্যাপি ফ্রীল্যান্সিং।
-
২০১৭০৭০৮/১৫২০ 
 

Sunday, July 2, 2017

ফ্রীল্যান্সিং | ক্লায়েন্ট কড়চা



ফ্রীল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট নিয়ে অনেক কথা থাকে। বৃত্তান্ত থাকে। মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টগণই যেহেতু ফ্রীল্যান্সারদের স্কীলস কিনে থাকে, তাই ক্লায়েন্টদেরকে ভালোভাবে বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । এটা বলা যায় ক্লায়েন্ট ডিলিংস। এটা সহজ কাজ নয়। আর তাই যে এই কাজে দক্ষ তাঁর ভালো ক্লায়েন্টটেল (clientele) থাকে। কাজের জন্য তাঁদের আর কোনো চিন্তা করতে হয় না।

ক্লায়েন্টকে কী সম্বোধন করবেন?

এই প্রশ্নটা প্রায়ই পাওয়া যায় গ্রুপে। এর অনেকরকম জবাবও দেখা যায় সাথেসাথেই।

এই যেমনঃ
>স্যার /ম্যাডাম বলা যাবে না
>স্যার/ ম্যাডাম বলা উচিত
> ব্রাদার/ ব্রো বলা যাবে কিংবা যাবে না
> হাই/ হ্যালো'এর ব্যবহারটা  এমন হবে!!

কিন্তু আসলেই কি এই প্রশ্নের কোনো যথাযথ "সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য" টাইপের কোনো জবাব আছে? কিংবা থাকতে পারে? না। এটা নির্ভর করে ক্লায়েন্ট ও ফ্রীল্যান্সারের একে অন্যকে বোঝার উপর। কমনসেন্স বলা যায় একে। এটা আবার পৃথক হয়ে থাকে ক্লায়েন্টভেদে। কিছু উদাহরণের মাধ্যমে ক্লিয়ার করা যাক।

 অভিজ্ঞতার আলোকে উদাহরণঃ 

# ক্লায়েন্ট-১ঃ 

আমার প্রথম দিককার ক্লায়েন্ট  Christopher. একটি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী। আমাদের কথা হতো এমনঃ
- Hi Shohel
-Hello Christopher
যেকোনো বিষয়ে তৎক্ষণাৎ রিপ্লাই পাওয়া যেতো। তেমন কোনো ফরমালিটি নেই। কাজ শেষ হবার সাথে সাথে পেমেন্ট ও ফীডব্যাক। একদিন ভিডিও চ্যাটে তাঁকে পাওয়া গেলো শুধু গেঞ্জি (সামার ভেস্ট) পরা। তাঁর অফিসে। কোনো জড়তা নেই।

 # ক্লায়েন্ট-২ঃ 

প্রায় দেড় বছর কাজ করছি তাঁর সাথে।  নাম বলছি না। ইউএস প্রেসিডেন্টের এওয়ার্ড পাওয়া কোম্পানির মালিক। আমার দেখা সেরা ভদ্রলোক। তিনি আমাকে প্রথম মেসেজই দিয়েছিলেন "হ্যালো স্যার" বলে। এরপর অসংখ্য যোগাযোগে তিনি কখনো "স্যার" কখনো "মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড" বলে সম্বোধন করেন। করছেন। বিভিন্ন কারণে তিনি একাধিক বোনাসও দিয়েছেন। অসুস্থতার সময় (আমার এক অপারেশনের সময়)  আমার অনেক আত্মীয় খোঁজ নেননি। কিন্তু এই ক্লায়েন্ট নিয়েছেন।

 # ক্লায়েন্ট-৩ঃ 

একটা কোম্পানির হয়ে কাজ করা। দেড় বছর। কোম্পানির সিইও সহ সবার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। উইকলি ভিডিও মিটিং করতে হয়। এখানে সম্বোধন টা আরো সংক্ষিপ্ত। শুধু নাম ধরে। কোনো স্যার /ম্যাডাম নেই। কোনো হাই/হ্যালোও নেই। শুধু নাম এবং মেসেজ।

 
 আশাকরি একটু হলেও ধারণা পাওয়া গেছে- কীভাবে কায়েন্টের সাথে রিলেশনটা শুরু করা যায়। তবে এটা খুব সত্য, আমাদের দেশের বসদের মতো - "স্যার" শোনে ধন্য হবার মানসিকতা তাঁদের নেই। তাঁদের কাছে কাজ, কমিউনিকেশন আর ইন্টেগ্রিটির মূল্যই সবার উপর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)।

হ্যাপি ফ্রীল্যান্সিং! 

~
২০১৭০৭০২/১১৩০








Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়