Sunday, August 31, 2014
Saturday, August 30, 2014
ভালোবাসার মহাকাব্য (বর্ধিত ও পরিমার্জিত)
ভালোবাসা আজ
ফেসবুকের লাইকে,
ভালোবাসা আজ
বন্ধু-সহযোগ বাইকে।
ভালোবাসা আজ
হাতে হাত রাখা পার্কে,
ভালোবাসা আজ ...
এপ্স বলে দেয় কার কে।
ভালোবাসা আজ
সাজানো-গোছানো টুইট,
ভালোবাসা আজ
কমেন্ট কার কতো সুইট।
ভালোবাসা আজ
স্কাইপে ভিডিওকল
ভালোবাসা আজ
নানান ছুতোয় ছল।
ভালোবাসা আজ
ভাইবারে হ্যাংঅন
ভালোবাসা আজ
চ্যাট-অনে সারাক্ষণ।
ভালোবাসা আজ
মেসেজবক্সে গ্রীন,
ভালোবাসা আজ
হোয়াটস-আপে লগিন।
ভালোবাসা আজ
বুঁদ স্মার্টফোনে,
ভালোবাসা আজ
অনলাইন গৃহকোণে।
ভালোবাসা আজ
অধরা ভার্চুয়াল
ভালোবাসায় ক্ল্যাশ
কে ফেক, কে রিয়াল।
ভালোবাসা আজ
পুরোটাই টেকনিক্যাল,
ভালোবাসায় আজ
হৃদয় ও মন ফেল।
Friday, August 22, 2014
"জটিল হইছে মামা"
অদ্ভুত এক কালচারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। বেড়ে উঠছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। আশপাশে একটু একটু খেয়াল করলেই শোনা যায় কিছু ভিন্ন ধারার সংলাপ ও সম্বোধন।
এই যেমনঃ
হাই মামা
জটিল হইছে মামা
মামা জোস
চরম লাগতাছে
অস্থির
পুরাই পাঙ্খা ... ইত্যাদি
শব্দগুলো সমস্যা নয়; বেখাপ্পা লাগে শব্দগুলোর ব্যবহার। একজন বন্ধু অন্যজনকে সম্বোধন করছে "মামা' বলে। একজন বন্ধু, যার সাথে মায়ের পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই- সে কীভাবে মামা হতে পারে জানি না। বুঝি না। শুধু তাই নয়, রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার, স্টাফ এমনকি অপরিচিত যেকোনো সম্বোধনে মামা শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে অবলীলায়। আমি অবশ্য জানিনা, একজন ছেলে তার মেয়েবন্ধুকে কী বলে সম্বোধন করে কিংবা একজন মেয়ে তার ছেলেবন্ধুকে মামা বলে ডাকে কিনা। অথবা, কোনো মেয়ে অন্য মেয়েকে মামা নাকি খালা নাকি অন্যকিছু বলে স্মবোধন করে।
তারপর, কিছু শব্দের ব্যবহার ঠিক বিপরীত বলে মনে হয়। তারা বলে " মামা জটিল হইছে"। আমার বুঝতে দেরি হয়েছে যে, জটিল বলতে আসলে ভালো, দারুণ বা সুন্দর কিছু বুঝিয়েছে। অর্থ দাড়ালো- জটিল মানে Complex নয়। ঠিক একই রকম ইউজ হচ্ছে চরম, অস্থির ইত্যাদি শব্দের। সব আমার জানা নেই।
এবার একটু অন্যপ্রসংগ। কথোপোকথন বা নাটকের সংলাপে শিক্ষিত চরিত্রে অভিনেতাও প্রমিত বাংলা ব্যবহার করছেন না। আমরা জানি, কাহিনীর প্রয়োজনে কোনো কোনো চরিত্র ভাষার আঞ্চলিক বা কথ্য রূপ অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যখন একজন শিক্ষিত চরিত্রের মুখে " ভালো হইছে/ আমি দ্যাখতাছি/ " টাইপের সংলাপ শুনি, তখন ভাষার প্রমিত রূপের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ হয় বৈকি।
শেষ করছি একটি লিমেরিক দিয়েঃ
মামা কালচার
হাই মামা, হ্যালো মামা; জটিল, জোস মামা চলছে
অবলীলায় বন্ধুরা মামা মামা করে কথা বলছে
মায়ের ভাইকে মামা জানি
বন্ধুর মা কি তবে নানি (?)
মডার্ন মামা কালচার কি বাংলার সংস্কৃতি দলছে (?)।
এই যেমনঃ
হাই মামা
জটিল হইছে মামা
মামা জোস
চরম লাগতাছে
অস্থির
পুরাই পাঙ্খা ... ইত্যাদি
শব্দগুলো সমস্যা নয়; বেখাপ্পা লাগে শব্দগুলোর ব্যবহার। একজন বন্ধু অন্যজনকে সম্বোধন করছে "মামা' বলে। একজন বন্ধু, যার সাথে মায়ের পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই- সে কীভাবে মামা হতে পারে জানি না। বুঝি না। শুধু তাই নয়, রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার, স্টাফ এমনকি অপরিচিত যেকোনো সম্বোধনে মামা শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে অবলীলায়। আমি অবশ্য জানিনা, একজন ছেলে তার মেয়েবন্ধুকে কী বলে সম্বোধন করে কিংবা একজন মেয়ে তার ছেলেবন্ধুকে মামা বলে ডাকে কিনা। অথবা, কোনো মেয়ে অন্য মেয়েকে মামা নাকি খালা নাকি অন্যকিছু বলে স্মবোধন করে।
তারপর, কিছু শব্দের ব্যবহার ঠিক বিপরীত বলে মনে হয়। তারা বলে " মামা জটিল হইছে"। আমার বুঝতে দেরি হয়েছে যে, জটিল বলতে আসলে ভালো, দারুণ বা সুন্দর কিছু বুঝিয়েছে। অর্থ দাড়ালো- জটিল মানে Complex নয়। ঠিক একই রকম ইউজ হচ্ছে চরম, অস্থির ইত্যাদি শব্দের। সব আমার জানা নেই।
এবার একটু অন্যপ্রসংগ। কথোপোকথন বা নাটকের সংলাপে শিক্ষিত চরিত্রে অভিনেতাও প্রমিত বাংলা ব্যবহার করছেন না। আমরা জানি, কাহিনীর প্রয়োজনে কোনো কোনো চরিত্র ভাষার আঞ্চলিক বা কথ্য রূপ অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যখন একজন শিক্ষিত চরিত্রের মুখে " ভালো হইছে/ আমি দ্যাখতাছি/ " টাইপের সংলাপ শুনি, তখন ভাষার প্রমিত রূপের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ হয় বৈকি।
শেষ করছি একটি লিমেরিক দিয়েঃ
মামা কালচার
হাই মামা, হ্যালো মামা; জটিল, জোস মামা চলছে
অবলীলায় বন্ধুরা মামা মামা করে কথা বলছে
মায়ের ভাইকে মামা জানি
বন্ধুর মা কি তবে নানি (?)
মডার্ন মামা কালচার কি বাংলার সংস্কৃতি দলছে (?)।
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট বুকে
হেসে বেড়াই তা নে'
মনই শুধু জানে
বেবাক ভাবে, লোকটা দ্যাখো আছে ম্যালা সুখে।
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট বুকে
দিনটা তবু সাজাই
যেনো আমি রাজাই
লোকে ভাবে, এ বেটাকে কে বলো আর রুখে!
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট বুকে
সুখীজনের ছন্দে
যাইনা কভু দ্বন্দ্বে
নিজের ক্ষুদ্র দুখ জানাতে সবাই আমায় ঠুকে।
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট বুকে
ফোটাই যে তবু ফুল
শোধরে দি' তাবৎ ভুল
করি বলে আরো করার আদেশ ঘরে ঢুকে।
এক কষ্ট, দুই কষ্ট, তিন কষ্ট বুকে
আমায় থাকি আমি
কী দিবা আর যামি
মনোহত জানি আমিই যাচ্ছে জীবন ধুঁকে।
তুমি থাকো অধরা
কাঙ্ক্ষিত হীরকবিকেল পাইনে খুঁজে
নীলান্ত-আকাশ দেয় ফাঁকি যথারীতি
ছুটে যাই দিগন্তে
ছোঁবো বলে তাকে
সে হয় আলেয়া
পাইনে ছোঁয়া তার।
মেঘ গুরুগুরু বৃষ্টিটাও যায় থেমে আচম্বিত
চৌচির আমার উঠোন
জল জল - অপার হাহাকার।
যূথীকা-বনে তুমি
উচাটন আলতা পায়ে
ভাঙ্গা- কাঁচ -মুখো সীমানাপ্রাচীর
সগর্ব দাঁড়িয়ে
তোমার আমার মাঝ বরাবর
দেয় না পেতে স্পর্শ তোমার।
বিমুগ্ধ-চোখ ডাকে তোমায়
তুমি থাকো শুধু অধরা।
নীলান্ত-আকাশ দেয় ফাঁকি যথারীতি
ছুটে যাই দিগন্তে
ছোঁবো বলে তাকে
সে হয় আলেয়া
পাইনে ছোঁয়া তার।
মেঘ গুরুগুরু বৃষ্টিটাও যায় থেমে আচম্বিত
চৌচির আমার উঠোন
জল জল - অপার হাহাকার।
যূথীকা-বনে তুমি
উচাটন আলতা পায়ে
ভাঙ্গা- কাঁচ -মুখো সীমানাপ্রাচীর
সগর্ব দাঁড়িয়ে
তোমার আমার মাঝ বরাবর
দেয় না পেতে স্পর্শ তোমার।
বিমুগ্ধ-চোখ ডাকে তোমায়
তুমি থাকো শুধু অধরা।
Friday, August 15, 2014
বন্ধু মানি আমি তাঁকে
প্রতিনিয়ত কূপ খনন করেন তিনি
বুদ্ধির ছ্বটায় গড়া বড়ো নির্লিপ্ত সুন্দর সে গুহা
আঁধারের মতোই গভীর
রাতভর খনন শেষে
মায়ার হাসি তাঁর চোখমুখে প্রত্যুষে
কূপ থাকে প্রস্তুত গ্রাস করতে
এড়ানোর কোনো পথই থাকে না আমার
এক পা বাড়ালেই অতল-অন্ধকার
বাঁচার কোনো পথ বুঝি আর নেই
তবু বেঁচে যাই আমি অলৌকিক
জানিনা কীভাবে
জীবনতো নয় থামা-ঘড়ি
প্রতিনিয়ত কূপ খনন করেন তিনি
আমার জন্য
বন্ধু মানি আমি তাঁকে
বুদ্ধির ছ্বটায় গড়া বড়ো নির্লিপ্ত সুন্দর সে গুহা
আঁধারের মতোই গভীর
রাতভর খনন শেষে
মায়ার হাসি তাঁর চোখমুখে প্রত্যুষে
কূপ থাকে প্রস্তুত গ্রাস করতে
এড়ানোর কোনো পথই থাকে না আমার
এক পা বাড়ালেই অতল-অন্ধকার
বাঁচার কোনো পথ বুঝি আর নেই
তবু বেঁচে যাই আমি অলৌকিক
জানিনা কীভাবে
জীবনতো নয় থামা-ঘড়ি
প্রতিনিয়ত কূপ খনন করেন তিনি
আমার জন্য
বন্ধু মানি আমি তাঁকে
Friday, August 8, 2014
প্রতীক্ষা
তোমার প্রতীক্ষায় আমার নিরন্তর অভিসার
দশ আলোকবর্ষ দাঁড়িয়ে ঠায়,
স্নিগ্ধ সকাল
ব্যতিব্যস্ত ঘোড়-দুপুর
বাদামি কফি-বিকেল
মুখরা ঝিঁঝিঁ-সন্ধ্যে
কিংবা
স্বেদাক্ত দীর্ঘরাত
কিছুই পারে না ছুঁতে আমাকে
আমার কোনো বয়েস বাড়ে না
স্থির আছি
আসি বলে ঠিক যেখানে রেখে গে'ছিলে
তোমার প্রতীক্ষায় আমি আগের মতোই আজো
আমার এ অভিসারে
আসবেতো তুমি মাধবীলতা
ছবিঃ ইন্টারনেট
Saturday, August 2, 2014
তোমাকে ভালোবেসে
তোমাকে ভালোবেসে
নিরন্তর স্বপ্ন-বিলাসী এক বালক আমি
শিখিয়েছো তুমি
স্বপ্নকে নীড়ে আনে ভালোবাসা
তাকে শেখায় --
ঘরকন্না
টুকিটাকি
সেই থেকে স্বপ্ন করে অবতরণ আমার নীড়ে
তুমিই যেনো স্বপ্ন
স্বপ্নেরা করে ভর তোমাতে।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি আমি
ভালোবাসায় ফুটে ফুল
আমার নীড় তাই কুঞ্জ এক
মধুভরা ফুলের।
তোমাকে ভালোবেসে
আজ আমার হৃদয়ে শ্রাবণ
মেঘমেদুর বরিষণে
ছন্দে দোলে আমার উঠোন
আমি কেবল বৃষ্টি দেখি
দেখি ভালোবাসার প্লাবন।
নিরন্তর স্বপ্ন-বিলাসী এক বালক আমি
শিখিয়েছো তুমি
স্বপ্নকে নীড়ে আনে ভালোবাসা
তাকে শেখায় --
ঘরকন্না
টুকিটাকি
সেই থেকে স্বপ্ন করে অবতরণ আমার নীড়ে
তুমিই যেনো স্বপ্ন
স্বপ্নেরা করে ভর তোমাতে।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি আমি
ভালোবাসায় ফুটে ফুল
আমার নীড় তাই কুঞ্জ এক
মধুভরা ফুলের।
তোমাকে ভালোবেসে
আজ আমার হৃদয়ে শ্রাবণ
মেঘমেদুর বরিষণে
ছন্দে দোলে আমার উঠোন
আমি কেবল বৃষ্টি দেখি
দেখি ভালোবাসার প্লাবন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Featured Post
কষ্টযাপন
তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব
জনপ্রিয়
-
ভালোবেসে হাতটি ধরে নিলে তাকে শীর্ষে, চূড়ায় ওঠে যায় বনে যায় মস্ত বড় বীর সে। থোড়াই কেয়ার করে তোমায় রচে প্রাসাদ নীড় সে, ভাবটা এমন-...
-
মুখে মধুর কথা তোমার, অন্তরেতে বিষ তোমার এমন ভালোবাসায় হারিয়েছি দিশ ভালোবাসা ঢালো সাক্ষাতে ঘৃনা বুনো আড়ালে সেইপাতে ভালোবাসি তোমায় তবু...