Wednesday, April 29, 2015

লিমেরিকঃ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ

অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ -  অভিধানে বাস করে
মিছেই তারে খুঁজেখুঁজে  বুদ্ধি সবে নাশ করে
অবাধ কাঁদে বাদের খাতায়
নিরপেক্ষ লক্ষ মাথায়
সহজতা ছেড়ে সবাই চালাকিটা চাষ করে।
==
সো আ প
২৯-০৪-১৫

লতিফাঃ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ

অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ -  অভিধানে বাস করে
মিছেই তারে খুঁজেখুঁজে  বুদ্ধি সবে নাশ করে
অবাধ কাঁদে বাদের খাতায়
নিরপেক্ষ লক্ষ মাথায়
সহজতা ছেড়ে সবাই চালাকিটা চাষ করে।
কুটিলতা সহজভাবেই সত্যটাকে গ্রাস করে।
==
সো আ প
২৯-০৪-১৫




Fair Barely Rare

Fair Fair Fair!
Who does care?
Fair turns rare
Search here and there?
Fair- a dream mere
This is the truth bare.

Monday, April 27, 2015

পরানের কথা ০২৬

নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি
থাকে শুধু ইশতেহারে
আমজনতার খাতায় কেবল
নাপাওয়ারই লিস্টি বাড়ে।

Friday, April 24, 2015

ক্রিকেটের দাবা

টাইগারের বড় শক্ত থাবা
পাকিরা বনে গেছে হাবা
টি২০ও দখলে যে তার
আয়ত্তে আজ ক্রিকেটের দাবা।



অণু-অনুভবঃ ভালোবাসা ভেতর থেকে আসে



স্কুলে প্রতিদিন ক্লাস শুরু হতো সম্মিলিত জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। হাকিম স্যার এটি পরিচালনা করতেন। সব ছাত্রছাত্রী সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে। সামনে দু বা তিনজন ছাত্র গেয়ে নেতৃত্ব দিতো। আমি ছিলাম তাদের একজন। তখন জাতীয় সংগীত সমবেত পরিবেশনার সময় অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করতো। শিহরিত তখন কচি হৃদয় এ সংগীতের কথায়। গীতে।
অনেকদিন এভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়নি। গত পরশু অনেক আগে শেষ করা এমবিএ-এর সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ছিলো। সবাই একসাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার সময় নিজের ভেতর ভিন্ন অনুভূতি টের পেলাম। এটা প্রকাশ করার ভাষা আমার ঠিক জানা নেই। শরীরে একটি শিহরণ অনুভব করলাম। একটা কান্না ভেতর থেকে বের হয়ে এলো। কোনোভাবেই তা আটকাতে পারলাম না। এটাই বোধকরি ভালোবাসার কান্না। এটা ভেতর থেকেই আসে। ভালোবাসা বুঝি এমনই।
==
সো আ প
২৪/৪/১৫

কানিজের হাত

কানিজের হাতটা খুব ঠাণ্ডা ঠেকলো আজ। প্রতিদিনের চেয়ে একটু বেশি। আজ কি রুমের তাপমাত্রা অনেক কম করে রাখা হয়েছে? না। এসি'র তাপমাত্রা প্রতিদিনের মতো ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই সেট করা আছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের এই ছোট ক্যাবিনে গত সাতদিন ধরে আছি। মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে বাঁ হাতের হাড় -হিউমেরাস ভেঙ্গে যায় অফিস থেকে ফেরার সময়। তারপর অফিসের তত্ত্বাবধানেই এই হাসপাতালে ভর্তি। আমার সার্জারি হয়েছে আজ পাঁচদিন। এই পাঁচদিন কোনো না কোনো সময়ে কানিজের সেবা পেয়েছি আমি। পালস দেখার যান্ত্রিক উপায় থাকলেও যন্ত্রের পাশাপাশি হাতেও প্রতিদিন পালস দেখেছে কানিজ। আজ তার হাতটা অনেক ঠাণ্ডা মনে হয়েছে।
- কেমন আছেন স্যার আজ?
একটা মায়াময় আপন হাসি ছড়িয়ে দিয়ে জানতে চায় কানিজ। এ হাসপাতালের নার্স কানিজ ফাতেমা।
- বেটার।
ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে তাকিয়ে বললাম আমি। জিজ্ঞেস করলাম- আপনি ভালো আছেন কানিজ?
কানিজ ভালো আছি বললেও, হাসলেও আমার মনে হলো- ভালো নেই কানিজ। কোনো একটা সমস্যা যাচ্ছে। কিন্তু কানিজ কিছু বলতে রাজি হয়নি। গতকাল কানিজের কাছে জানতে চেয়েছিলাম- সে কোথায় কার সাথে থাকে। সে বলেছিলো যে, বাবা-মার সাথে কচুক্ষেত এলাকায় থাকে। আমার স্ত্রী কানিজকে বিয়ে, নিজের সংসার- এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলেছিলো- "নার্সের আবার সংসার কী? কে ভালোবেসে বিয়ে করবে নার্সকে?"
গতকাল কানিজের কথা থেকে আর আজ কানিজকে দেখে আমার ও ক্যাবিনে আমার এটেন্ডেন্ট আমার স্ত্রীর খুব মায়া হলো কানিজের জন্য। সত্যি বলতে কি- এ ক'দিনে এই মেয়েটি আমাদের মন জয় করে নিয়েছে তার আন্তরিক সেবা দিয়ে, আন্তরিক কথা দিয়ে। আজ তার হাতটা বেশি শীতল ঠেকল ঠিকই। কিন্তু  তার ভালোবাসা আর সেবার যে মন তা যে যথারীতি উষ্ণ। মন ছুঁয়ে যায়। শ্রদ্ধাবোধ আসে।

আমার স্ত্রী কাঁকন। সেও মেয়েটির ব্যাপারে আরো উৎসাহী হয়ে জানার চেষ্টা করে। তারপর কানিজের ইন-চার্জ সিনিয়র নার্স শায়লা নাসরিনের কাছ থেকে কানিজের বিষয়ে সব জানতে পেরে - কাঁকন ও আমার- দুজনেরই মন যারপরনাই খারাপ হলো।

দুবোনের মধ্যে কানিজ ছোট। বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। এখন অবসরে। অবসরকালীনপ্রাপ্ত টাকা দিয়ে ছোট দুরুমের বাসা করেছেন তিনি। নার্সিং-এ ডিপ্লোমা করেছে কানিজ - পাঁচ বছর হয়ে গেলো। এ হাসপাতালে জয়েন করার আগে একটা ক্লিনিকে দুবছর কাজ করেছে সে। নার্সিং কলেজে পড়ার সময়ই পরিচয় হয় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি-করা যুবক ইমনের সাথে। তারপর ঘনিষ্ঠতা। কানিজ কোনো আহামরি সুন্দরী না। কিন্ত শ্যামলা বর্ণের এই মেয়েটির মুখশ্রী খুব আকর্ষণীয়। একটা অদ্ভুত মায়া আছে তার চোখে মুখে। পরিচয় আর ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে পারবারিকভাবেই বিয়ে হয় কানিজ আর ইমনের দুবছর আগে।

বিয়ের পর ইমনের ভাড়াকরা বাসায় শুরু হয় নতুন সংসার। বাড্ডায়। ছোট বাসা। দুটি ছোট রুম। অল্প ক'খান আসবাব যা না হলেই নয়। তবু নিজের সংসার। সুখ ছুঁয়ে থাকা প্রতিটি প্রহর। ভালোই যাচ্ছিলো।

বছর ঘুরতে না ঘুরতে না ঘুরতেই একটু কেমন অবিন্যস্ত হতে থাকে সবকিছু। কানিজের চাকরি নিয়ে কথা তোলে ইমন। সহজভাবে নিতে পারে না সে। একদিন পর পর নাইট ডিউটিকে কেন্দ্র করে খুঁটিনাটি নিয়ে মাঝেমধ্যে লেগে যেতো স্বামী-স্ত্রীতে। আবার মিটেও যেতো। এভাবেও চলছিলো কানিজ-ইমনের সংসার।

আর মাঝে লক্ষ করে কানিজ- গোপনে কারো সাথে প্রায়ই কথা বলে ইমন। প্রথমপ্রথম কিছুই মনে করতো না কানিজ। কিন্তু দিনদিন এর মাত্রা বাড়লে এবং ইমনের হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় কানিজের। একদিন কথাও তোলে। ক্ষেপে যায় ইমন। অনেক কথা কাটাকাটি হয়। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কানিজ।
এতোকিছুর পরও হাল ছাড়তে নারাজ কানিজ। সংসারটা টিকিয়ে রাখতে চায় সে। বৃদ্ধ মা-বাবার ওপর বোঝা হতে চায় না কানিজ।  ছাড় । নিজের দিক থেকে যতোটা ছাড় দেয়া যায় দেবে কানিজ। বুকে কষ্টের পাহাড় চেপে হলেও।
একমাস আগের ঘটনা। কানিজের নাইট ডিউটি ছিলো। যথারীতি সন্ধ্যেয় বের হয়ে যায় বাসা থেকে সে। ইমনের মনটা বেশ ফুরফুরে মনে হলো কানিজের কাছে। "মিস ইউ, গুড নাইট" বলে তাকে বিদায় জানিয়েছে দরজায় দাঁড়িয়ে। খুব ভালো লাগে কানিজের কাছে। যদি প্রতিটা দিন এমন হতো!

ঠিক আটটায় ডিউটিতে যোগ দেয় কানিজ। দায়িত্ব বুঝে নেয় আগের শিফটে থাকা ঝুমার কাছে থেকে। চার্ট দেখে পেশেন্টদের খোঁজ নেয়া ও ঔষধ দেয়ার এক পর্যায়ে চার শ একুশ নম্বর ক্যাবিনে দ্রুত ঢুকার সময় অসাবধানে বেশ আঘাত লাগে কানিজের কপালে। দরজার শক্ত চৌকাঠে। অনেকটা কেটে যায় কপালের বাঁপাশটা। চোখের ঠিক ওপরে। রক্ত গড়িয়ে পড়ে। সহকর্মী নার্সরা ছোটে আসে। তাকে ফার্স্ট এইড দেয়া হয়। ব্যান্ডেজ করা হয়।

শিফট ইন-চার্জ সুলতানা খুব ভালো মনের মানুষ। কানিজকে সে রাতের জন্য ছুটি দিয়ে দিলেন তিনি। জানালেন - তিনি নিজেই কানিজের ডিউটিটুকু দেখবেন। কানিজ প্রথমে রাজি হয়নি। পরে সবার পীড়াপীড়িতে রাজি হয় সে।

বেড়িয়ে একটা রিকশা নিয়ে নেয় কানিজ। বাড্ডায় তাদের বাসা এখান থেকে বেশি দূর নয়। ভালো লাগে খুব কানিজের। ইমনের হাসি মুখটা মনে পড়ে তার। ইমন নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে তাকে দেখে। ইমনকে নিয়ে অনেককিছু ভাবে কানিজ। ইমনের বুকে মাথা রাখবে কানিজ। একটু বন্য হতে দোষ কী? প্রথম দিনগুলোর মতো। আর ঝগড়া করবে না। একটা সারপ্রাইজ হবে তার ফিরে আসাটা। মাথার আঘাতটা তার কাছে কোনো কষ্টের বলে মনে হয় না। ববং খুশিই হয় কানিজ। এটা না হলে ইমনকে চমকে দিতে পারতো না।  - ভাবতে ভাবতে রিকশা পৌঁছে যায় বাসার সামনে। ভাড়া মিটিয়ে এগিয়ে যায় কানিজ।

রাত এগারটা। নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে যায়নি ইমন। কলিংবেল চাপে। একবার । দুবার। তিনবার। এতো দেরি হচ্ছে কেনো! তবে ঘুমিয়ে গেলো ইমন? হতে পারে। সারাদিনের পরিশ্রান্ত শরীর। আহা বেচারা! এবার দরজায় টোকা দেয় কানিজ। দুমিনিট ত্রিশ সেকেন্ড পরে দরজা খুলে ইমন। কানিজকে দেখে ইমন এমন চমকে যায় যে কানিজ ভয় পেয়ে যায়।
- কী হয়েছে ইমন? শরীর খারাপ? কী হয়েছে তোমার?
ধরতে যায় কানিজ ইমনকে। হাত সরিয়ে দেয় ইমন। কিছুই বলে না।

ঘরে ঢুকে ভীষণ চমকে যায় কানিজ! এই কী দেখছে সে! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কোনো দৃশ্য? সে কি স্বপ্নে দেখছে এসব? নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। - তারই বিছানা অবিন্যস্ত পোশাকে একটি মেয়ে। বয়েস বিশ-বাইশ হবে।

অপ্রস্তুত ইমন কিছুই বলতে পারে না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। যা বুঝার বুঝে ফেলে কানিজ। কান্না নয়; তার চোখে আগুন তখন। হাত ভালো আছে কানিজের। আঘাত শুধু কপালে পেয়েছে সে। কানিজের হাতে অসুরের শক্তি ভর করে। ঠাস। ঠাস। দুটি পরিষ্কার শব্দ। ইমনের দুই গালে কানিজের পাঁচ আঙুলের দাগ বসে যায়। ইমন বসে পড়ে নিচে।

এরপর ঘর থেকে বেড়িয়ে আসা কানিজের।

নার্স ইন-চার্জের কাছে  কানিজের জীবনকথা শোনে মনটা বড়ই বিষাদে ভরে যায় আমার। আমার স্ত্রীরও। আমাদের সমাজে আজও একজন মেয়ের এই অবস্থান। সে শিক্ষিত হোক বা নাই হোক। কর্মজীবী হলে যেনো সমস্যা আরো বেশি।- আমার ভাবনায় ছেদ পড়ে ডাক্তার ও তার সঙ্গী সহকারীদের আগমনে।
- মিঃ জুনায়েদ, ইউ হ্যাভ রিকাভারড ওয়েল। কালই আপনি ডিসচার্জ হচ্ছেন। একসপ্তাহ পর ওপিডিতে ফলোআপম করাবেন। উইশ ইউ অল দ্য বেস্ট।
-থ্যাঙ্ক ইউ ডক্টর। আপনাদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞ।- বললাম আমি।

হাত ভেঙ্গে হাসপাতালে এসেছিলাম। আমার হাতে অপারেশন করে প্লেট বসানো  হয়েছে। আমার হাত হয়তো ভালো হয়ে যাবে একদিন। কিন্তু ভাবছি- কানিজের হাতের মতো এমন শক্তিশালী কি হতে পারবে আমার এই হাত? আবার একই সাথে মমতাময় স্পর্শের উৎস।

==

সোহেল আহমেদ পরান
২৪ এপ্রিল ২০১৫









Wednesday, April 22, 2015

লিমেরিকঃ টাইগারের কাণ্ড !!

ও ভাই ও বুবু দেখছেননি টাইগার ভাইগো কাণ্ড?
এমন ধোলাই দিলো পাক-রে যেনো বড় ষান্ড 
পাক বা বলো অন্য কেউ
এদের সামনে নস্যি ফেউ
এই টাইগারই করবে যে জয় বিশ্ব ও ব্রহ্মাণ্ড।  


Tuesday, April 21, 2015

লিমেরিকঃ দিনদুপুরে ব্যাংক-ডাকাতি

দিনদুপুরে ব্যাংক-ডাকাতি মানুষ মারা
অপরাধী তস্কর কি আজ বাঁধনহারা?
সাধারণের জীবন, মান
ভেঙ্গেচুরেই  খানখান
শান্তি স্বস্তি  মুখ থুবড়ানো খেয়ে তাড়া।
--
পাদটীকাঃ আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারসহ নিহত 


Monday, April 20, 2015

লতিফাঃ ছোটগল্প


পৌষের এক মুখ-ফুলানো তিনসন্ধ্যেয়
গরবিণী হাইহীল তোমার
খটখট মাড়িয়ে যায়
বুকের জমিন আমার
ভেতরবাড়ির অলিগলি
পেছন ফেরে দেখে না তোমার চোখও একবার।

তোমার কাছে অনেক ঋণ আমার

তোমার কাছে  অনেক ঋণ আমার
অনেক দায়ের বোঝা
রোজকার বাসভাড়া বাঁচাতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে
ঘড়ির কাঁটায় টাইমকীপারের খাঁচায় তোমার উপস্থিতি
বেতন কেটে দেয়ার ভয়
সুপারভাইজারের আযাচিত গালি
সুযোগ-সন্ধানী পুরুষ সহকর্মীর খুবলা-দৃষ্টি
অশ্লীল ছুঁয়ে দেয়া
তোমার শ্রমে,
তোমার ঘামে
তোমার শিল্পকর্মে
সোনা-ফলা সম্মান আজ আমার দেশের
অথচ বিনিময়ে অচল তামা-ই থাকে তোমার ঘটে পরিশেষে
তোমার কাছে  চিরঋণী আমি
হে বাংলার সোনালি পোশাক-শিল্পী।
--
২০/৪/২০১৫

Wednesday, April 15, 2015

আমার সবখানে আছো তুমি

আমার সবখানে আছো তুমি
থাকো তুমি সতত
শুভ্রভোরে ঘুমভাঙ্গা আড়ষ্টতা হয়ে তুমি থাকো
দিনের কর্পোরেট-ব্যস্ততায় ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকো তুমি নিজস্ব অনুভবে

বাদামি কফি-বিকেলের একমুঠো মোলায়েম রোদ্দুর হয়ে থাকো তুমি ছুঁয়ে
সাঁঝবেলায় নীড়ে ফেরা মৌটুসির ডানা হয়ে  দৃষ্টির প্রান্তিক ছন্দে
রাতের নিস্তব্ধতায় তুমি থাকো-
প্রিয় কবিতার মুগ্ধ উপমা হয়ে
সদ্যপড়া গল্পের হৃদয়-নাড়ানো প্রিয়দর্শিনী হয়ে
আর আমার ঘুমে তুমি-
শান্ত নির্ভার দিঘি - আমার ইচ্ছে ডুবসাঁতার 
কোথায় নেই তুমি? জানি না আমি।
 - 
সোআপ
১৫/৪/১৫

Tuesday, April 14, 2015

লতিফাঃ আজ নববর্ষ


নয় বিষাদ ক্লেদ দুঃখ; থাকুক প্রাণে-মনে হর্ষ,
বৈশাখের প্রথম দিন আজ; আজ শুভ নববর্ষ।
পুরাতন জরা সব নাশে,
নবরূপে বৈশাখ আসে
ধরে তোলে উচ্চে শুভ বাঙালি আদর্শ 
সব-জীবনে সুখ  আনে শতরূপে উৎকর্ষ।

Monday, April 13, 2015

শুভ নববর্ষ ১৪২২

সময় চলে। চলে। ঘন্টা। দিন। মাস। বছর। সতত আবর্তনশীল সময়।  সময় সবসময় একই রকম থাকে না। কখনো মধুর।  কখনো অম্ল। আবার কখনো অম্ল-মধুর। সময় তার এই পথচলায় আমাদেরকে সঙ্গী করে নেয়। সময় পাল্টায়ও। সেই প্রাগৈতিহাসিক থেকে আধুনিক বা উত্তরাধুনিক। সময় ইতিহাস হয়ে থেকে যায়  তার ধরন-ধারণের মধ্যে। তবে সময়ের সবচেয়ে বড় যে গুণ, তা হলো সময় অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয়। এর বিপরীত ব্যাখ্যাও থাকতে পারে। কিন্তু Time is the best healer - এটা মন থেকে মেনে নিয়েই সময়ের হাতে আমরা অনেক কিছু সঁপে দিয়ে নিশ্চিত বা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সময়ের এই পরিভ্রমণে আরো একটি বছর চলে গেলো। ১৪২১ বঙ্গাব্দ। আমাদের নাগরিক জীবনে ইংরেজি বর্ষের প্রভাবই বেশি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের অফিস-আদালতে ও জীবনযাত্রায় ইংরেজি সাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবু বাঙালি জীবনে, বাংলাদেশিদের জীবনে ও চলনে বাংলা বছরের  গুরুত্ব কম নয় মোটেও। কৃষিপ্রধান আমাদের এই দেশে এখনো কৃষকগণ বাংলা সাল হিসেবে নিয়ে, পঞ্জিকা দেখে তাঁদের কাজকর্ম করে থাকেন। বাংলা সালকে ধর্তব্যে নিয়ে রচিত খনার বচন এখনো অনেক জনপ্রিয় ও নির্দেশনামূলক বাঙালি জীবনে। 

বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হয়ে তাই বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনে আসে উদ্যম আর নতুন চেতনার উৎস হয়ে। বৈশাখ তাই বাঙালির চেতনার অংশ। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে আয়োজিত হয় হালখাতার। বাংলা সালের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া  হলো হাল্ছখাতা। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এজন্য খদ্দেরদের বিনীতভাবে পাওনা শোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা তাদের খদ্দেরদের মিস্টিমুখ করান। খদ্দেররাও তাদের সামর্থ অনুযায়ী পুরোনো দেনা শোধ করে দেন। আগেকার দিনে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র মোটা খাতায় তাদের যাবতীয় হিসাব লিখে রাখতেন। এই  খাতাটি বৈশাখের প্রথম দিনে নতুন করে হালনাগাদ করা হতো। হিসাবের খাতা হাল নাগাদ করা থেকে "হালখাতা"-র উদ্ভব। 

"পুরনো হিসেব আপডেট করে নিতে হালখাতা
মিস্টি দিয়ে মৈত্রীর বন্ধন; নয় কোনো ঝালকথা।
বাংলার ঐতিহ্যটা প্রীতির
বাণিজ্যে বসতি নীতির
হালখাতা সম্প্রীতি ছড়াক; মেলে দিয়ে ডালপাতা।"

বাংলা নববর্ষ বরণে চলে না না বাঙালি আয়োজনের ডালি। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে  রয়েছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং  সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। 

অধুনা, বাংলা নববর্ষ ঘিরে ব্যবসা বাণিজ্যও গড়ে ওঠেছে অনেক। দেখা যায় অনেক নতুন আচার ও আয়োজনের যা ঠিক বাঙালি সংকৃতির সাথে যায় না। কারো কারো মাঝে একধরনের "পান্তা-ইলিশ খেতেই হবে" টাইপের ভ্রান্ত বিলাসিতাও কাজ করে। 

বর্ষবরণে তাই সচেতনতা  প্রয়োজন। অপসংস্কৃতি যাতে আমাদের গ্রাস করতে না পারে- সেই সচেতনতা। আশেপাশের কেউ যাতে আনন্দ বঞ্চিত না হয়- সেই সচেতনতা। 

"নয় বিষাদ ক্লেদ দুঃখ; থাকুক প্রাণে-মনে হর্ষ,
বৈশাখের প্রথম দিন আজ; আজ শুভ নববর্ষ।
পুরাতন জরা সব নাশে,
নবরূপে বৈশাখ আসে
সব-জীবনে সুখ  আনে শতরূপে উৎকর্ষ।"

বাংলা নতুন বছর ১৪২২ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য। 

শুভ নববর্ষ । 
========
সোআপ
১৩/০৪/১৫
(চৈত্রের শেষ দিন)
-
সহায়কসূত্রঃ উইকিপিডিয়া 



Sunday, April 12, 2015

লতিফা: চালকবিহীন ট্রেন


চালক ছাড়াই চলতে পারে ট্রেন
ট্রেন ইঞ্জিনের আছে ভালো ব্রেন
কিন্তু কেনো পিছে?
নয়তো মিছেমিছে...
সামনে আঁধার কিংবা ছিলো ড্রেন
ভাগ্য ভালো  বেঁচে গেলো ক্রেন!!
...
পাদটীকা: আজ চালক ছাড়াই এক ট্রেন চলেছে ২৭ কিমি। পিছনের দিকে।

লিমেরিক: চালকবিহীন ট্রেন


চালক ছাড়াই চলতে পারে ট্রেন
ট্রেন ইঞ্জিনের আছে ভালো ব্রেন
কিন্তু কেনো পিছে?
নয়তো মিছেমিছে...
সামনে আঁধার কিংবা ছিলো ড্রেন !!
...
পাদটীকা: আজ চালক ছাড়াই এক ট্রেন চলেছে ২৭ কিমি। পিছনের দিকে।

Friday, April 10, 2015

সৃজনশীলচর্চায় অনলাইন মিডিয়া

~এক~
লেখালেখি মানুষের মজ্জাগত একটা বিষয়। এটা ভেতর থেকে আসে। আমরা মনের টানে লিখে থাকি। মনের ভালোলাগা বা মন্দলাগাটুকু আমাদের লেখায় ওঠে আসে। ওঠে আসে কষ্টবোধ বা সুখবোধ। তাই জোর করে লেখালেখি করা প্রায় অসম্ভব। তাই লেখালেখির এই প্রয়াস- একে বলা হয় সৃজনশীল কাজ। সৃজনশীল কাজে স্বভাবিকভাবেই থাকে - স্বতন্ত্র চিন্তা, বোধ ও চেতনার হৃদ্য প্রকাশ। জোর করে সৃজনশীল এই কাজ করা সম্ভব না হলেও, অনুশীলন ও শেখার আগ্রহ ভালো লেখক হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  তাছাড়া, পাঠকের পাঠ-প্রতিক্রিয়া এবং লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লেখার মান উন্নত করা সম্ভব। আগেকার দিনে, পাঠকের প্রতিক্রিয়া এবং লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি সাধারণত আড্ডা/আলোচনা আর চিঠিপত্রের মাধ্যমে হয়ে থাকতো।

~দুই~
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারলাভ করায় লেখালেখির মেজাজ ও মাধ্যমেও এসেছে (আসছে) অনেক পরিবর্তন। আগে নতুন কবি-লেখকগণের জন্য লেখা প্রকাশের মাধ্যম ছিলো খুব সীমিত। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতা, হাতেগোনা সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিলো লেখা প্রকাশের মূল মাধ্যম। ঈদ-পার্বণের বিশেষ সংখ্যাগুলোও বড় লক্ষ্য থাকতো অনেক লেখা প্রকাশের জন্য। এর বাইরে বিভিন্ন বিশেষ দিবসে স্মরণিকা বা ম্যাগাজিন বেরুতো তখন। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারিতে এসব ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতো নতুন ও পুরনোদের লেখা নিয়ে।  সপ্তাহের সাহিত্যপাতা কিংবা ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য কবি-লেখকদের অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতে হতো।

~তিন~
প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই দিনে অনেককিছুর সাথে পরিবর্তন ও নতুন সংযোজন এসেছে- লেখালেখি ও লেখা প্রকাশেও। আগে লেখালেখির ড্রাফট বা প্রাথমিক হতো কাগজে কলমে। আরএখন তা হচ্ছে ফিঙ্গারটিপে- কীবোর্ডে। লেখালেখির জন্য এখন প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি এসেছে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সাহিত্য-আশ্রয়ী ওয়েবসাইট/ব্লগ এবং ফেসবুক এদের মধ্যে অন্যতম। ফেসবুকে ইদানিং অনেক গ্রুপ আছে যারা সৃজনশীল লেখালেখি ও সাহিত্যচর্চাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রত্যয়দীপ্ত।  লেখালেখির জন্য অনলাইন সুবিধাসমূহ  অত্যন্ত সুন্দর মাধ্যম- যেখানে পাঠকের পর্যবেক্ষণমূলক প্রতক্রিয়া, লেখক-পাঠক মতবিনিময় এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে লেখার উৎকর্ষ সাধন করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে।  লেখালেখি/ মতপ্রকাশের অনলাইন এই মাধ্যমকে তাই ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই।

~চার~
স্বীকার্য যে, পত্রিকায় আর অনলাইন মাধ্যমে লেখার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। পত্রিকা বা প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা প্রকাশের আগে সম্পাদকের হাতে তা পরিমার্জিত হয়ে যায়। কিন্তু অনলাইন মিডিয়ায়, মানে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন আর ব্লগে  সেই ফিল্টারটা নেই। তাই অনেক কাঁচা ও অপরিপক্ক লেখা এখানে প্রকাশ হবার সুযোগ থেকে যায়। তবে অনলাইনে লেখালেখির কিছু ভালো দিকও আছে যা এখানে উল্লেখ করাটা প্রাসঙ্গিকভাবেই জরুরি। তাহলো - মত প্রকাশের স্বাধীনতা।  ব্লগ বা অনলাইন মিডিয়াতে, যে কেউ তার লেখাটি প্রকাশ করতে পারেন। আর সেই লেখায় -অন্যলেখক বা যেকোনো পাঠক মন্তব্য করতে পারেন। লেখক-পাঠকদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত ভালো জানেন, তাঁদের গঠনমূলক মন্তব্য/সমালোচনা লেখার মান উন্নত করতে পারে সহজেই। লেখার ভুলগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মার্জিতভাবে (কখনোই অন্যের অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে নয় ) ধরিয়ে দেবার  মধ্য দিয়েই সম্ভব অনলাইন লেখালেখির সুফলটা পাওয়া যেতে পারে।

~পাঁচ~
প্রযুক্তির কল্যাণে সৃজনশীল-চর্চার এই সুযোগকে সুস্থভাবে কাজে লাগানো উচিত। গঠনমূলক মন্তব্য/আলোচনা/ সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে যেমন দেখতে হবে; তেমনি কারো সেন্টিমেন্টে আঘাত দিয়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকতে হবে,   ভিন্ন ভিন্ন মত নিতে না না মতবাদের ধারক-বাহক হয়ে অনেক গ্রুপ ও ব্লগের অস্তিত্ব দেখা যায়। সেসব গ্রুপ, ব্লগ বা ওয়েবসাইট বাদ দিয়ে, শুধু সাহিত্য- ঘেঁষা মিডিয়ার কথা মাথায় রেখে বলা যায়- সৃজনশীলতার চর্চায় এই অনলাইন মিডিয়ার কার্যক্রমকে সুন্দর মানসিকতা নিয়ে মননশীল অবদানের মধ্যদিয়ে পারস্পারিক উৎকর্ষ সাধনে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
--- ---
সো আ প
১৮ মার্চ ২০১৫ 
 

Thursday, April 9, 2015

লতিফাঃ কবে হবে ইতি

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ
মরছে ম্যালা নিতি
দুদিন কেবল সরগরম রয়
তা'পরে সব স্মৃতি ।
ভাবনা কাঁদায়, এরূপ দুঃখের
কবে হবে ইতি। 
=
সো আ প
(০৯/০৪/১৫)
পাদটীকাঃ দুদিন আগে এক পরিবারের ৫ জন আর আজ এক দুর্ঘটনায় ২৪ মারা গেছেন। 

Tuesday, April 7, 2015

লতিফাঃ সড়ক-দুর্ঘটনা

পথে আহা দুর্ঘটনায় মরছে মানুষ রোজই
হারানো সেই জীবনগুলোর রাখছে না কেউ খোঁজই
মানবজীবন এ যেন নয়
পোকা-সম তা গোনা হয়
কান্না এবং  আর্তনাদে হচ্ছে নাতো কাজই
প্রতিরোধের ব্যবস্থাটা জরুরি তো আজই।

Sunday, April 5, 2015

লতিফাঃ বেকারের বাজেট ভাবনা

সকলস্তরে হচ্ছে দ্বিগুণ বেতনভাতা
সংশ্লিষ্টজন নিচ্ছে বুঝে বাজেটখাতা
বাড়িভাড়া বাজার দর!
কাঁপছি ভয়ে থরথর!!
কেউ আমারে দেয় নাতো সালামী ভাতা
বেকার আমার পাগল বুঝি হয় এ মাথা!

Friday, April 3, 2015

লিমেরিকঃ তোমার স্বপ্ন

তোমায় দেখে মুগ্ধ হৃদয় আঁখি
ভেবেই আকুল কোথায় বলো রাখি
উপমা তো পাইনে খুঁজে
জ্ঞানে বুঝে বা অবুঝে

তোমার স্বপ্ন রোজ আঁখিতে মাখি।
=
০৩/৪/১৫

লতিফাঃ তোমার স্বপ্ন



তোমায় দেখে মুগ্ধ হৃদয় আঁখি
ভেবেই আকুল কোথায় বলো রাখি
উপমা তো পাইনে খুঁজে
জ্ঞানে বুঝে বা অবুঝে
জানলে না হায় তুমি মন-পাখি
তোমার স্বপ্ন রোজ আঁখিতে মাখি।
=
০৩/৪/১৫

থমকে থাকি তোমার উঠোনে



নবমীর চাঁদ আঁধারে মুখ লুকালে
বোধের কোমল জানালা খুলে যায়
আলগোছে
নিভৃত;
ঘুম ভেঙ্গে গেলেও আয়েশটা ধরে রাখি
বৃষ্টিদিনের গরম চায়ের কাপের মতো
যতনে
আদরে।

যতোবার তোমায় দেখি-
দুর্নিবার শিহরণ বাজে হৃদয়তন্ত্রীতে
আলোড়িত বিমুগ্ধ নিজস্ব অলিগলি
কতোবার কণ্ঠনালি ছুঁয়ে যায়-
সুন্দরীতমা
অনন্যা
মোনালিসা
বনলতা
সুরঞ্জনা
লাবণ্য
জয়িতা
কিংবা
দীপাবলী ...

দ্বিধার পাথর-দেয়াল ঠিক বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়
কোনো উপমাই ঠেকে না যথার্থ
তোমাকে বুঝাতে
কিছুই বলা হয় না আমার
জানো না তুমি ঘুণাক্ষরেও কিছু।

আমি থমকে থাকি
তোমার উঠোনেই ঘুরেফিরে
আজীবন।
=
০৩/০৪/২০১৫

লতিফাঃ স্মৃতিরা

ভোরের শুচি-স্নিগ্ধ হাওয়ায়
বসে নাগরিক এই দাওয়ায়
ভাবছি কেবল তোমায়,
সেই যে 'একটু আসি' বলে
নিঠুর কবেই গেলে চলে
স্মৃতিরা কি ঘুমায়!
--
০৩/৪/১৫

Thursday, April 2, 2015

লতিফাঃ তোমার তরে ভালোবাসা

চৈতালি বাউরি হাওয়ায়
যায় মনে দিয়ে দোলা,
থাকো যে তুমি  ঘুরেফিরে
দায় তো বড়োই ভোলা ।
তোমার তরে ভালোবাসা
হৃদয় কুটিরে তোলা। 
--
০২/৪/১৫



Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়