Sunday, November 30, 2014

অহনা ও অহনা

অহনা ও অহনা
এতো ডাকি
শোন না কি
কথা কেনো কহ না?

অহনা ও অহনা
চাই যে পাশেই
বারো মাসেই
তবু কেনো রহ না?

অহনা ও অহনা
মনের টানে
উছল প্রাণে
কেনো তবু বহ না?

অহনা ও অহনা
সুখে অসুখে
তনু ও মুখে
প্রেমাগুনটা সহ না!

অহনা ও অহনা
তুমি হৃদে
দিবা ও নিদে
দূরের কোনো গ্রহ না। 

অহনা ও অহনা
তোমার তরে
পরান পোড়ে
তুমি হৃদয় মোহনা।

Saturday, November 29, 2014

লিমেরিকঃ স্কুল-ব্যাগের ভার



জানো মাগো ব্যাগটা আমার লাগে ভীষণ ভারি
রোজ সকালে কষ্ট যে হয়, বইতে বোঝা তারি
একটু মাগো দাও কমিয়ে বোঝা
চলি আমি বুক ফুলিয়ে সোজা
এটুকু তো চাওয়া শুধু, পেতে কি তা পারি?

ছবিঃ ইন্টারনেট

Friday, November 21, 2014

শীতের বুড়ি

শীতের বুড়ি
তোমার বিয়ে
আসছো কি গো
ঘোমটা দিয়ে?

নেই আমাদের
কাঁথা-কম্বল,
ছোট্ট কুটির
সেইতো সম্বল।

তোমায় বরণ
করবো কীসে...
ভাবছি বসে
পাইনে দিশে।

আমি কেবল তোমার কষ্টপক্ষ ছুঁয়ে থাকতে চাই

তোমার সুখপক্ষে জানি হবে না আমার ঠাই
আক্ষেপও নেই কোনো
তুমি সুখ উদযাপন করো-
অন্তলীনা চাঁদবতী সুখ
খুব-ইচ্ছে-ডুবসাঁতার
ডাক-ডুবানো উম-আদর
আর ভালবাসা-ভেজা শ্রান্ত তনু
থাকুক মুখ গুঁজে তোমার স্পর্শ-বন্ধুর।
আমার কোনো অনুযোগ নেই
নেই কোনো আক্ষেপ।


শুধু এতোটুকুন প্রতীতি
জেগে আছে আজও মনে-
কষ্টপক্ষে তোমার
আমি ছুঁয়ে যাবো তোমার হৃদয়।

তোমার কষ্টটুকু ছুঁয়ে দেখতে দিও কেবল আমায় 
আমি তোমার কষ্ট-আধার হবো অনায়াস সুখে
রাখবো বন্দি তা
ভেতরবাড়ির ছোট্ট ঘরে
যতনে।

তোমার সুখপক্ষে আমার নাইবা হলো ঠাই
আমি কেবল তোমার কষ্টপক্ষ ছুঁয়েছুঁয়ে থাকতে চাই।





পরানের কথা ০২২

ঘুষ বলে নেইতো কিছু হায়
“স্পীড মানি, স্পীড মানি”
এ কথাটাই বুঝে না মন
হাউ ফানি, হাউ ফানি।

Sunday, November 16, 2014

পরানের কথা ০২১

কাজের কাজ হোক কিবা না হোক
লোক দেখানো মূখ্য
আসল কাজী'র রয় না খবর
হোক তা ভালো সূক্ষ্ম...

Thursday, November 13, 2014

লিমেরিকঃ জীবন-চাকা


একটুখানি বাঁচার আশায় জমিয়ে পাড়ি ঢাকায়
আদরের ধন নিয়ে শেষে  ঠাঁই হয়েছে চাকায়
ফুল বেচে রাজপথে
খোঁড়ায় জীবন-রথে
দিনের শেষে হুতাশ থাকে, ভাগ্য ঝুলে ফাঁকায়।
##২০১৪১১১৩(১৩৯)##

Friday, November 7, 2014

খাঁচার পাখি


একটা ছিলো
ছোট্ট পাখির ছানা,
মনের সুখে উড়তো সে যে
মেলে কমল ডানা।


নাচতো সে যে
তা ধিনধিন তা না,
আকাশজুড়ে নীড় ছিলো তার
ছিলো না তো মানা।


মা যে তাকে করতো আদর
খাইয়ে দিতো দানা,
ভালোবাসার মেলা ছিলো
সুখ ছিলো একটানা।


এক শিকারি নিদয় অতি
ধরলো ছানাখানা,
খাঁচার ভেতর সময় কাটে
সুখ হলো অজানা।


Tuesday, November 4, 2014

একলা আঁধার


বাস থেকে নেমে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো দীপা। এখান থেকে তার বাসা রিকশায় দশ মিনিটের পথ। ভাড়া ফুরিয়ে রিকশায় উঠে বসে সে। একটা শিনশিনে কষ্টে তার বুকটা বিষিয়ে উঠে। ঘৃণায় মন মেঘাচ্ছন্ন হয়। বাসে আজকের ব্যাপারটা কোনোভাবেই ভুলতে পারছে না দীপা।

ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করার পর প্রায় একবছর  হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজেছে দীপা। বিডিজবস ডট কমের মাধ্যমে অনেক এপ্লিকেশন করেছে সে চাকরির জন্য। সাড়া পেয়েছে খুব কম। একবার ইন্টারভিউতে ডাক এসেছিলো। চাকরি যদিও হয়নি। দেশের চাকরির বাজার যে খুব খারাপ তা বেশ টের পায় দীপা।


অবশেষে প্রতিবেশী ইমরান সাহেবের রেফারেন্সে এক প্রাইভেট কোম্পনিতে চাকরি হয় তার। ফ্রন্টডেস্ক এক্সিকিউটিভ। অফিস বনানীতে। নয়টা -ছয়টা অফিস তার। পাবলিক বাসে করেই যাতায়াত করতে হয় তাকে।  এ ঢাকায় একজন মেয়ের জন্য একা যাতায়াত যে সুখের হবে না - এটা জেনেও সাহস করেছে দীপা।

প্রতিদিন চলার পথে আশপাশের কিছু মানুষের লোভাতুর দৃষ্টি, লালসার চোখ - সে বেশ বুঝতে পারে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল টিপ্পনি ও মন্তব্য তার কানে আসে। দীপা এসব এড়িয়ে যায়। সচেতনভাবেই।

আজ বিকেলে অফিস ছুটির পর বাসস্ট্যান্ডে এসে লম্বা লাইনের প্রায় পঞ্চাশ জনের পেছনে দাঁড়াতে পারে দীপা। অফিস ছুটির পর এ সময়টায় প্রতিদিনই এমন ভিড় দেখা যায়। তবু রক্ষে যে, এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার  ব্যবস্থাটা আছে।

প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট অপেক্ষার পর গাড়িতে উঠার চান্স পায় দীপা। বাসের ভেতরে লোকে গিজগিজ করছে। বসার জন্য কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। সামনের দিকেই থাকার চেষ্টা করলো দীপা। মহিলা সিটের কাছাকাছি। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে সামনের দিককার এ জায়গাটায় ভিড় থাকে বেশি।

দীপা যেখানে দাড়িয়েছে, তার পাশেই দুজন উঠতি বয়সের ছেলে বসে আছে। এরা দুজন বন্ধু হবে হয়তো। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। দীপার দিকে তাকাচ্ছে। একটু অন্যরকমভাবেই তাকাচ্ছে। চলন্তবাসে ব্যালেন্স রাখতে দীপা ডান হাত দিয়ে উপরের রডে ধরে আছে। ছেলেদুটি নিজেদের মধ্যে কথা বলছে, আর হাসছে।

পরের স্টপ থেকে ভিড় আরো বাড়ে। গায়ের সাথে গা লেগে যাচ্ছে একএকজনের। দীপা টের পায়, তার পেছনে একজন লোক খুব ঘেঁষে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। অস্বস্থি লাগে তার। পেছন ফিরে দেখলো দীপা। লোকটির বয়েস চল্লিশের বেশি হবে। বেশ গোছানো ভদ্রলোক টাইপের। দীপার তাকানো দেখে হাসার চেষ্টা করলো লোকটি। লোকটির হাসি একটু বিচ্ছিরি ঠেকলো দীপার কাছে। সারা-শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে তার। কিছুক্ষণ চলার পর, বাসটি হঠাৎ ব্রেক করলে লোকটি একেবারে দীপার উপরে এসে পড়ে। সাথেসাথে  দীপার পেছনে অশ্লীলভাবে ছুঁয়ে দিয়ে হাত সরিয়ে নেয়।

দুঃখে, কষ্টে ম্রিয়মাণ দীপা ঘৃণার আগুন চোখে নিয়ে লোকটির দিকে ফেরে। একটু যেনো ভয় পেলো লোকটা। একটু দূরে সরে যায় সে। চোখের কোণে পানি এসে যায় দীপার।

--"এই যে আফা, মসজিদের কাছে না নামবেন,  আইস্যা পড়ছি ত। নামবেন না..."

রিকশাওয়ালার কথায় ভাবনায় ছেদ পড়ে দীপার। বাসার সামনে এসে গেছে সে। এখন নামতে হবে।
অতপর, প্রস্তুতি আরেকটি আগামীকালের...।

ছবিঃ ইন্টারনেট
====

২০১৪১০০৪
ঢাকা








Monday, November 3, 2014

প্রেমগাঁথা

ও বন্ধু তুই মনের বাঁধন খুলিস না
চিরটা কাল বাসবো ভালো
দোহাই তোর আমায় কভু ভুলিস না।

সন্দেহ আর মনপীড়ায় দুলিস না
আমিতো সে আগের আমি
ভালোবাসার হৃদয়টাকে ছুলিস না।

সত্য-মিথ্যা এক আধারে গুলিস না
আগুনপোড়া নুড়ি এ মন
ভেজাল আছে- এমন প্রশ্ন তুলিস না।

অন্য আলোর রঙিন আভায় ঢুলিস না
সময় এখন পাথর সময়
মিথ্যা প্রেমের প্রলোভনে ঝুলিস না ।

আমিতো সেই বন্ধু আমি, আইন কিংবা পুলিশ না
থাকিস আমার জীবনভরে
আশায় আমি বুক বেঁধে রই, জানি যে তুই ফুলিশ না। 



Saturday, November 1, 2014

ঘুড়ি ১

উড়ছে ঘুড়ি বাজিয়ে তুড়ি আকাশে
গুণীজনদের ভালোবাসায় মাখা সে
আকাশ এবং বাইরে
যেতে মানা নাইরে
সৃজন আর টেকনো ধী-এ পাকা সে। 

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়