Sunday, June 21, 2015

বনলতা বিভ্রম

 প্রচণ্ড একটা চাপা উত্তেজনা কাজ  করে ভেতরে আমার
 বেশ পরিপাটি  সেজে বেরিয়ে পড়ি অনেক আগেই
 পৌঁছে যাই সময়ের ঢের আগে।
কলিংবেল চাপি দুরুদুরু বুকে
বারবার ভেতরের ঘরে চোখ রাখি। এই বুঝি এলো সে।
কিন্তু না। বেঁধে দেয়া সময়ের এক মিনিট আগেও  আসে না সে

কোমল স্বপ্নের কাঙ্ক্ষিত মানুষটি আজ সামনে আমার 
তাকাতে পারছিলাম না চোখ তুলে।
বনলতা সেন দৃঢ়পায়ে এগিয়ে এলো–
যেনো ভয় নেই কোনো, অকুণ্ঠচিত্তে বললো আমায়,
“অই ছোকরা, তুমি নাকি কবি?”
বনলতা সেনের সামনে নিজেকে সত্যিই অকিঞ্চিৎকর এক বালক মনে হয় নিজেকে।

মাথার ভেতরে সাজিয়ে রাখা কবিতা অকস্মাৎ যাই ভুলে।
মনে করতে  পারিনা কোনোদিন কবি ছিলাম আমি। 

ধমকে উঠে বনলতা সেন, 
” কী ভেবেছো? পাখির নীড়ের মতো চোখ তোলে জানতে চা'বো– এতোদিন কোথায় ছিলেন?”
সামনে আমি অকূল পাথার ছাড়া কিছু দেখতে পাইনা।
বনলতারা বদলায়!!
মাথার কাছে রাখা স্মার্টফোনে তখন ক্রমাগত বেজে চলছে অ্যালার্মটা।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

কষ্টযাপন

তাদের কষ্টবিলাস থাকে আমার কষ্ট বোধযাপন, আমার রঙের আকাশ দেখে ভাবে তারা উদযাপন। #অণুঅনুভব

জনপ্রিয়